চট্টগ্রাম বিভাগ- দূরপাল্লার বাস কম, নগরে যানজট by একরামুল হক
(কিছু বাস চললেও তাতে যাত্রী ছিল কম। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরের। জিইসি মোড় এলাকার ছবিটি গতকাল বেলা তিনটায় তোলা l প্রথম আলো) টানা
অবরোধ ও হরতালের কারণে চট্টগ্রাম সদরের সঙ্গে বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী
বাস চলাচল আগের চেয়ে কমে গেছে। তবে নগরের ভেতর যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
অনেক স্থানে যানজট হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সদরের সঙ্গে ১০টি জেলার সড়ক যোগাযোগ আছে। লক্ষ্মীপুরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ কার্যত অচল রয়েছে। পেট্রলবোমা হামলার কারণে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। তাই প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছে বলে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন।
তবে চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম নগরের সঙ্গে লক্ষ্মীপুরসহ ১০ জেলার সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক আছে। তবে যাত্রী কমে যাওয়ায় বাস চলাচল কমেছে।
জানা গেছে, অবরোধ কর্মসূচির আগে রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামে ৩০-৩২টি বাস যাত্রী পরিবহন করত। গত ৫ জানুয়ারির পর চার-পাঁচটি বাসে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। একইভাবে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে দিনের বেলায় প্রতি ৪০ মিনিটে একটি বাস যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে রওনা হতো। এখন দিনে সাকল্যে চার থেকে পাঁচটি বাসে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগও প্রায় একই অবস্থায় রয়েছে। যাত্রীর অভাবে সেখানেও চার থেকে পাঁচটির বেশি বাস চলাচল করছে না।
পরিবহনমালিক ও শ্রমিক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিপর্যস্ত। যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে বিলাসবহুল বাস গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করছে। তবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস চলাচল খুব কম।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শাহ আমানত সেতুর ওপর দিয়ে দিনে-রাতে প্রায় তিন হাজার গাড়ি চলাচল কমেছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর টোল আদায় করে জিএসআই-এসইএল টমা-জেভি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক জহির উদ্দিন বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার গাড়ি পারাপার হতো। এখন ১০ হাজারে নেমে এসেছে। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে।’
এদিকে গতকাল নগরের ইিপজেড মোড়, আগ্রাবাদ, জিইসি মোড়, কর্নেল হাট, বহদ্দরহাটসহ বেশ কয়েকটি স্থান ঘুরে যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। এসব স্থানে ক্ষণে ক্ষণে যানজটও হয়েছে।
বিভিন্ন টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের সঙ্গে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি। যাত্রীর অভাবে এসব জেলার সঙ্গে বাস চলাচল এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে বলে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক গ্রুপ জানিয়েছে। নগরের কদমতলী, অলংকার মোড়, বড়পুল থেকে বৃহত্তর নোয়াখালী ও বৃহত্তর কুমিল্লার ২৮টি সড়কপথে যাত্রী পরিবহন করা হয়। স্বাভাবিক সময়ে ৮০০ থেকে ৮৫০টি বাস যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে গন্তব্যে রওনা হতো।
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম বলেন, যাত্রীর অভাবে বাস চলাচল কমে গেছে। এখন ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ বাস যাত্রী বোঝাই করে গন্তব্যে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সদরের সঙ্গে ১০টি জেলার সড়ক যোগাযোগ আছে। লক্ষ্মীপুরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ কার্যত অচল রয়েছে। পেট্রলবোমা হামলার কারণে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। তাই প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছে বলে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন।
তবে চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম নগরের সঙ্গে লক্ষ্মীপুরসহ ১০ জেলার সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক আছে। তবে যাত্রী কমে যাওয়ায় বাস চলাচল কমেছে।
জানা গেছে, অবরোধ কর্মসূচির আগে রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামে ৩০-৩২টি বাস যাত্রী পরিবহন করত। গত ৫ জানুয়ারির পর চার-পাঁচটি বাসে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। একইভাবে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে দিনের বেলায় প্রতি ৪০ মিনিটে একটি বাস যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে রওনা হতো। এখন দিনে সাকল্যে চার থেকে পাঁচটি বাসে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগও প্রায় একই অবস্থায় রয়েছে। যাত্রীর অভাবে সেখানেও চার থেকে পাঁচটির বেশি বাস চলাচল করছে না।
পরিবহনমালিক ও শ্রমিক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিপর্যস্ত। যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে বিলাসবহুল বাস গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করছে। তবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস চলাচল খুব কম।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শাহ আমানত সেতুর ওপর দিয়ে দিনে-রাতে প্রায় তিন হাজার গাড়ি চলাচল কমেছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর টোল আদায় করে জিএসআই-এসইএল টমা-জেভি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক জহির উদ্দিন বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার গাড়ি পারাপার হতো। এখন ১০ হাজারে নেমে এসেছে। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে।’
এদিকে গতকাল নগরের ইিপজেড মোড়, আগ্রাবাদ, জিইসি মোড়, কর্নেল হাট, বহদ্দরহাটসহ বেশ কয়েকটি স্থান ঘুরে যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। এসব স্থানে ক্ষণে ক্ষণে যানজটও হয়েছে।
বিভিন্ন টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের সঙ্গে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি। যাত্রীর অভাবে এসব জেলার সঙ্গে বাস চলাচল এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে বলে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক গ্রুপ জানিয়েছে। নগরের কদমতলী, অলংকার মোড়, বড়পুল থেকে বৃহত্তর নোয়াখালী ও বৃহত্তর কুমিল্লার ২৮টি সড়কপথে যাত্রী পরিবহন করা হয়। স্বাভাবিক সময়ে ৮০০ থেকে ৮৫০টি বাস যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে গন্তব্যে রওনা হতো।
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম বলেন, যাত্রীর অভাবে বাস চলাচল কমে গেছে। এখন ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ বাস যাত্রী বোঝাই করে গন্তব্যে যাচ্ছে।
No comments