রংপুর বিভাগ- অর্ধেকের কম গাড়ি চলেছে by আরিফুল হক
(রংপুরে বাস চলাচল কমে গেছে। বাস না চলায় মানুষ বিকল্প পরিবহন ব্যবহার করছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দ্বারস্থ হচ্ছে অনেকে। ছবিটি গতকাল বেলা তিনটায় রংপুর নগরের সিটি বাজারের সামনে চার লেন সড়কের l প্রথম আলো) রংপুর
বিভাগীয় শহর থেকে অন্যান্য জেলায় স্বাভাবিক দিনে প্রতিদিন গাড়ি চলাচল করত
৩৫০টি। অবরোধ-হরতালে গতকাল বৃহস্পতিবার গাড়ি চলেছে অর্ধেকের কম, অর্থাৎ
১২৫টি।
অন্যদিকে অবরোধের শুরুতে বন্ধ হওয়া রংপুর থেকে লালমনিরহাট জেলা ও পাটগ্রামগামী ৩০টি বাস গতকাল পর্যন্ত চালু হয়নি।
এসব বাসে স্বাভাবিক সময়ে গড়ে ৪০-৫০ জন যাত্রী প্রতিদিন চলাচল করলেও এখন প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ জনের মতো যাত্রী চলাচল করছেন।
জেলা মোটর মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগীয় শহর থেকে কয়েকটি জেলায় সরাসরি বাস চললেও দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায় সরাসরি বাস চলছে না। এ তিন জেলায় চলাচল করার জন্য সৈয়দপুরে যেতে হবে। সেখান থেকে এ তিন জেলায় যেতে আবার বাস ধরতে হবে। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়—এই তিন জেলায় ৯১টি বাস চলাচলের কথা থাকলেও গতকাল চলেছে মাত্র ৩৪টি।
গাইবান্ধায় ২২টি বাসের মধ্যে চলেছে আটটি। এদিকে কুড়িগ্রাম জেলায় লোকাল ও মেইল বাস (কোথাও থামে না) চলাচল করে প্রতিদিন ৫৪টি। সেখানে গতকাল চলেছে ১৮টি বাস।
এ ছাড়া রংপুর বিভাগীয় শহর থেকে নীলফামারী, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়াসহ আরও কিছু দূরের জেলায় ৯০টির বেশি বাস চলাচল করলেও সেখানে গতকাল বাস চলেছে ৩৫টির মতো।
শহরের কামারপাড়া থেকে ঢাকায় স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৬০টির ওপরে বাস চলাচল করত। সেখানে গতকাল বাস ছেড়েছে ২০টির মতো।
মেডিকেল মোড় থেকে গতকাল বেলা একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টায় চারটি বাস পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ তিনটি বাসে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন করে যাত্রী ছিল।
ঠাকুরগাঁও যেতে মেডিকেল মোড়ে বাসের যাত্রী ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘চাকরির কারণে শিক্ষা বোর্ডে ছুটে যেতে হচ্ছে। এখন জীবনের থেকে চাকরি বড় হয়ে গেছে।’
সৈয়দপুর থেকে বাসে করে রংপুরে এসেছেন ব্যবসায়ী ইমরান আলী। তিনি বলেন, ‘বাস চলতে চলতে সজাগ ছিলাম। যদি কোনো অঘটন ঘটে তাহলে যেন দ্রুত নামতে পারি।’
শহরের মেডিকেল মোড়ে বাসচালক রমজান আলী বলেন, ‘প্রতিদিন দিনের বেলা একাধিকবার টিপ নিয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত বাস চালাচ্ছি। পেটোত ভাত জোটে না, তাই বাস না চালাইলে খামো কী? তাই বাধ্য হয়া বাস চালাচ্ছি।’
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকেরা প্রতিদিন গাড়ি চালিয়ে সংসার চালান। একটানা অবরোধ-হরতালে শ্রমিকদের কী যে কষ্ট হইছে, তা কেউ বুঝতে চাইল না।’
জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি আবু আজগর আহমেদ বলেন, বাস চলাচল করলেও মালিকদের কোনো লাভও হচ্ছে না। কেননা যাত্রী একেবারেই কম। খরচও উঠছে না।
অন্যদিকে অবরোধের শুরুতে বন্ধ হওয়া রংপুর থেকে লালমনিরহাট জেলা ও পাটগ্রামগামী ৩০টি বাস গতকাল পর্যন্ত চালু হয়নি।
এসব বাসে স্বাভাবিক সময়ে গড়ে ৪০-৫০ জন যাত্রী প্রতিদিন চলাচল করলেও এখন প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ জনের মতো যাত্রী চলাচল করছেন।
জেলা মোটর মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগীয় শহর থেকে কয়েকটি জেলায় সরাসরি বাস চললেও দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায় সরাসরি বাস চলছে না। এ তিন জেলায় চলাচল করার জন্য সৈয়দপুরে যেতে হবে। সেখান থেকে এ তিন জেলায় যেতে আবার বাস ধরতে হবে। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়—এই তিন জেলায় ৯১টি বাস চলাচলের কথা থাকলেও গতকাল চলেছে মাত্র ৩৪টি।
গাইবান্ধায় ২২টি বাসের মধ্যে চলেছে আটটি। এদিকে কুড়িগ্রাম জেলায় লোকাল ও মেইল বাস (কোথাও থামে না) চলাচল করে প্রতিদিন ৫৪টি। সেখানে গতকাল চলেছে ১৮টি বাস।
এ ছাড়া রংপুর বিভাগীয় শহর থেকে নীলফামারী, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়াসহ আরও কিছু দূরের জেলায় ৯০টির বেশি বাস চলাচল করলেও সেখানে গতকাল বাস চলেছে ৩৫টির মতো।
শহরের কামারপাড়া থেকে ঢাকায় স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৬০টির ওপরে বাস চলাচল করত। সেখানে গতকাল বাস ছেড়েছে ২০টির মতো।
মেডিকেল মোড় থেকে গতকাল বেলা একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টায় চারটি বাস পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ তিনটি বাসে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন করে যাত্রী ছিল।
ঠাকুরগাঁও যেতে মেডিকেল মোড়ে বাসের যাত্রী ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘চাকরির কারণে শিক্ষা বোর্ডে ছুটে যেতে হচ্ছে। এখন জীবনের থেকে চাকরি বড় হয়ে গেছে।’
সৈয়দপুর থেকে বাসে করে রংপুরে এসেছেন ব্যবসায়ী ইমরান আলী। তিনি বলেন, ‘বাস চলতে চলতে সজাগ ছিলাম। যদি কোনো অঘটন ঘটে তাহলে যেন দ্রুত নামতে পারি।’
শহরের মেডিকেল মোড়ে বাসচালক রমজান আলী বলেন, ‘প্রতিদিন দিনের বেলা একাধিকবার টিপ নিয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত বাস চালাচ্ছি। পেটোত ভাত জোটে না, তাই বাস না চালাইলে খামো কী? তাই বাধ্য হয়া বাস চালাচ্ছি।’
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকেরা প্রতিদিন গাড়ি চালিয়ে সংসার চালান। একটানা অবরোধ-হরতালে শ্রমিকদের কী যে কষ্ট হইছে, তা কেউ বুঝতে চাইল না।’
জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি আবু আজগর আহমেদ বলেন, বাস চলাচল করলেও মালিকদের কোনো লাভও হচ্ছে না। কেননা যাত্রী একেবারেই কম। খরচও উঠছে না।
No comments