ঘরের মানুষের কাছে সুবোধ বালক কেজরিওয়াল
রাজনীতিতে যুক্তিবাদী নেতা ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হিসেবে পরিচিত অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা এক কথায় ঘরের মানুষের কাছে একেবারেই সুবোধ বালক। গত বিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে সুনিতার সঙ্গে ঝগড়া দূরে থাক সামান্য মতপার্থক্যও হয়নি। ২০১৩ সালে প্রথমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পরও নিজেদের জীবনযাপনে অতিরিক্ত বিলাসিতা আসেনি। প্রতিদিন স্ত্রীর রান্না করা খাবারের বক্স নিয়ে বাসা থেকে বের হতেন। বিয়ের পর হতে চাকরি করা, গণঅধিকার আদায়ে রাস্তায় নামা কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে যোগদান- যে কোনো সময়েই সার্বক্ষণিক সঙ্গী স্ত্রী সুনিতা। নির্বাচনে ভাবনাতীত বিজয়ের পর তাই প্রথমে তাকেই ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কেজরিওয়ালের এক বন্ধু জানান, ‘এই যুগলের মধ্যে কখনও তর্কও দেখিনি।
কোনো বিষয়ে কখনও মতপার্থক্য চোখে পড়েনি। বহু বছর ধরে আমরা তাদেরকে খুব কাছ থেকে দেখছি।’ আন্দোলন সংগ্রামে কেজরিওয়াল বাইরে থাকলে সুনিতা সব সময় নিশ্চিত করেছে ছেলেমেয়েদের নিয়ে তিনি ভালোই আছেন। ৪৯ দিন মুখ্যমন্ত্রী শেষে ক্ষমতা ছাড়ার পরই সরকারি বাসা ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেজরিওয়াল অনুরোধ করেছিলেন, ‘মেয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের থাকতে দিন। ভাড়া পরিশোধ করবো।’ মেয়ে হারশিতা বোর্ড পরীক্ষায় ৯৬ শতাংশ মার্কস পেয়ে বাবার মতো আইআইটিতে চান্স পেয়েছে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সিভিল সার্ভিসের রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণকালে পরিচয় হয় কেজরিওয়াল-সুনিতার। একদিন কেজরিওয়াল সুনিতার দরজায় গিয়ে বলেন, ‘আপনি কি আমাকে বিয়ে করবেন?’ প্রস্তাব গ্রহণ করেন সুনিতা। সেই থেকে চলছে যৌথ জীবন। হিন্দুস্থান টাইমস।
No comments