বরিশাল থেকে বাস ও লঞ্চ দুই–ই কমেছে by সাইফুর রহমান
(একজন ক্রেতাও নেই। বেকার বসে আছেন কর্মচারীরা। বরিশাল নগরের চকবাজারের একটি দোকানে গতকাল দুপুরের চিত্র l প্রথম আলো) প্রায়
দেড় মাস ধরে চলা হরতাল-অবরোধে বরিশাল নগরের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের
উপস্থিতি কমে গেছে। বিভাগীয় শহর থেকে দূরপাল্লা ও আন্তজেলায় যাত্রীবাহী বাস
ও লঞ্চ চলাচল কমে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের চকবাজার, বাজার রোড, হেমায়েত উদ্দিন সড়ক, সদর রোড, হাসপাতাল রোড, সিঅ্যান্ডবি রোড এলাকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাশূন্য। খোলা আছে স্কুল-কলেজসহ সব বিভাগীয় কার্যালয়। যানবাহন চলাচল করছে স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু যাত্রী কম।
নগরের বাজার রোড এলাকার এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভেতরে ভেতরে ব্যবসায়ীরা দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। দোকানে বেচাকেনা নাই। দোকান বন্ধ রাখার দায়ে অভিযুক্ত না হই, সেই ভয়ে দোকান খুলে বসেছি।’
ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘তাঁরা রাজনীতি করেন আর আমরা খেসারত দিই। আমরা তো রাজনীতি করি না। তাহলে আমরা কেন নিঃস্ব হচ্ছি? কর্মচারীদের বেতন দেওয়া দায় হয়ে পড়েছে।’
বরিশাল জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আফতাব হোসেন বলেন, নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আগে বিভিন্ন জেলায় ২০০টি বাস যাতায়াত করত। এখন ১০০-এর মতো যাতায়াত করছে। এ ছাড়া স্বাভাবিক সময়ে গড়ে ১৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করলেও হরতাল-অবরোধে করছে গড়ে পাঁচ হাজারের মতো। সেই সঙ্গে নগরের রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লাগামী বাস আগে চলত ৩৫০টি। এখন ১০০-এরও কম চলছে। যাত্রীও এখন যাতায়াত করছে গড়ে চার হাজারের মতো।
নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে জুয়েল পরিবহনের চালক আবদুর জলিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভয় তো আছেই। তার পরও পেটের দায়ে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামছি। অন্য জেলা থেকে মানুষ খুব একটা আসছে না।’
রূপাতলী বাস কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আনিসুর রহমান জানান, সকাল থেকে সব জেলার সঙ্গেই গাড়ি চলাচল করছে। তবে তিনটি গাড়ি টার্মিনাল থেকে মাত্র পাঁচজন যাত্রী নিয়ে গেছে।
লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও লঞ্চ ও যাত্রী উভয়ের সংখ্যাই কমেছে। আগে ঢাকাগামী লঞ্চ ছিল পাঁচটি। এখন চলছে চারটি। আর স্বাভাবিক সময়ে ভোলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াতকারী লঞ্চের সংখ্যা ছিল ৩৮-৪০টি। এখন চলছে ৩৩টি। এসব লঞ্চে কেবিনে যাত্রী থাকলেও ডেকের যাত্রী নেই বললেই চলে। বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ-নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আবুল বাসার মজুমদার বলেন, কেবিনে কিছু যাত্রী হলেও পুরো তৃতীয় শ্রেণি খালি পড়ে থাকে। আগে গড়ে প্রায় ১০ হাজার যাত্রী ঢাকা-বরিশাল যাতায়াত করত। এখন গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার যাতায়াত করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের চকবাজার, বাজার রোড, হেমায়েত উদ্দিন সড়ক, সদর রোড, হাসপাতাল রোড, সিঅ্যান্ডবি রোড এলাকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাশূন্য। খোলা আছে স্কুল-কলেজসহ সব বিভাগীয় কার্যালয়। যানবাহন চলাচল করছে স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু যাত্রী কম।
নগরের বাজার রোড এলাকার এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভেতরে ভেতরে ব্যবসায়ীরা দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। দোকানে বেচাকেনা নাই। দোকান বন্ধ রাখার দায়ে অভিযুক্ত না হই, সেই ভয়ে দোকান খুলে বসেছি।’
ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘তাঁরা রাজনীতি করেন আর আমরা খেসারত দিই। আমরা তো রাজনীতি করি না। তাহলে আমরা কেন নিঃস্ব হচ্ছি? কর্মচারীদের বেতন দেওয়া দায় হয়ে পড়েছে।’
বরিশাল জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আফতাব হোসেন বলেন, নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আগে বিভিন্ন জেলায় ২০০টি বাস যাতায়াত করত। এখন ১০০-এর মতো যাতায়াত করছে। এ ছাড়া স্বাভাবিক সময়ে গড়ে ১৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করলেও হরতাল-অবরোধে করছে গড়ে পাঁচ হাজারের মতো। সেই সঙ্গে নগরের রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লাগামী বাস আগে চলত ৩৫০টি। এখন ১০০-এরও কম চলছে। যাত্রীও এখন যাতায়াত করছে গড়ে চার হাজারের মতো।
নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে জুয়েল পরিবহনের চালক আবদুর জলিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভয় তো আছেই। তার পরও পেটের দায়ে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামছি। অন্য জেলা থেকে মানুষ খুব একটা আসছে না।’
রূপাতলী বাস কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আনিসুর রহমান জানান, সকাল থেকে সব জেলার সঙ্গেই গাড়ি চলাচল করছে। তবে তিনটি গাড়ি টার্মিনাল থেকে মাত্র পাঁচজন যাত্রী নিয়ে গেছে।
লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও লঞ্চ ও যাত্রী উভয়ের সংখ্যাই কমেছে। আগে ঢাকাগামী লঞ্চ ছিল পাঁচটি। এখন চলছে চারটি। আর স্বাভাবিক সময়ে ভোলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াতকারী লঞ্চের সংখ্যা ছিল ৩৮-৪০টি। এখন চলছে ৩৩টি। এসব লঞ্চে কেবিনে যাত্রী থাকলেও ডেকের যাত্রী নেই বললেই চলে। বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ-নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আবুল বাসার মজুমদার বলেন, কেবিনে কিছু যাত্রী হলেও পুরো তৃতীয় শ্রেণি খালি পড়ে থাকে। আগে গড়ে প্রায় ১০ হাজার যাত্রী ঢাকা-বরিশাল যাতায়াত করত। এখন গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার যাতায়াত করছে।
No comments