দ্বিধাহীনচিত্তে রক্ত ঢেলে দেয়ার নাম বর্ণমালা by মেজবাহ উদদীন
বর্ণমালার
৫০টি বর্ণের জন্য বুকের তাজা রক্ত যারা ঢেলে দিতে পারে দ্বিধাহীনচিত্তে;
তাদের আবেগ প্রশ্নাতীত। আবেগ মিশ্রিত সে বর্ণ যে ভাষার উপাদান সেই বাংলা
ভাষার বইমেলা ইতিমধ্যে ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে
ফেব্রুয়ারিজুড়েই চলবে বাঙালির এ প্রাণের মেলা।
ফেব্রুয়ারি শেষ, সাহিত্যানুরাগী হিসেবে আপনার মন খারাপ। কিন্তু জ্ঞানের প্রতি আপনার ক্ষুধা যদি হয় অসীম, জানার ইচ্ছা যদি হয় সু-তীব্র, ভাবনা যদি হয় সু-গভীর, নিজের জানা পৃথিবীটাকে যদি তুলনা করতে চান বৈশিকতায়; আন্তর্জাতিক বইমেলা হতে পারে আপনার তৃপ্তির ষোল-আনা পূরণের একটি বড় উপলক্ষ।
যে পৃথিবীতে আমরা স্মার্টফোন, ইন্টারনেট এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে খুব সহজেই যে কোনো তথ্য পেয়ে থাকি, সেখানেও কোনো বিষয়ে গভীরভাবে জানার জন্য আমাদের অনেকেই বইয়ের কাছে ফিরে যায়।
‘বই হল চির বিশ্বস্ত এবং অবিচল বন্ধু; এরা অনেক উপভোগ্য এবং বিজ্ঞ পরামর্শক, যা আমাদের ধৈর্য শিক্ষা দেয়’।
চার্লস ডব্লিউ ইলিয়ট (প্রেসিডেন্ট অব হারবার্ড ইউনিভার্সিটি)
আন্তর্জাতিক বইমেলা এমন একটি জায়গা যেখানে নতুন নতুন বই এবং লেখকের জন্ম হয়, আন্তর্জাতিক প্রকাশক এবং পরিবেশকরা নিজেদের অধিকার নিয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা করতে পারে। পাঠকরা পুরো পৃথিবীর বিখ্যাত বইগুলো খুঁজে নিতে পারে নিজেদের পছন্দমতো। প্রকাশক, লেখক এবং পাঠকের পারস্পরিক সহযোগিতার কারণে আন্তর্জাতিক বইমেলা পৃথিবীব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আপনি যদি হোন একজন সাহিত্যপ্রেমী; বলার অপেক্ষা রাখে না, পরের অংশটুকু আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১৪ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ নিউ দিল্লি বইমেলা দিয়ে শুরু করে নভেম্বর-ডিসেম্বরে মেক্সিকো বইমেলা দিয়ে শেষ হতে পারে আপনার এ বিশ্বভ্রমণ। মাঝখানে যেসব জায়গায় আপনি যেতে পারেন-
৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল ২০১৫ বলগনা, ইটালি।
লন্ডন বইমেলা, ১৪ থেকে ১৬ এপ্রিল ২০১৫।
২৩ এপ্রিল থেকে ১১ মে ২০১৫, বুয়েন্স আয়ার্স বইমেলা, আর্জেন্টিনা।
আবুধাবি আন্তর্জাতিক বইমেলা ৭ থেকে ১৩ মে, ২০১৫।
নিউইয়র্ক সিটি, অ্যামেরিকা ২৭ থেকে ২৯ মে, ২০১৫।
১৯ থেকে ২১ জুন, ২০১৫ সাউথ আফ্রিকান বইমেলা।
টকিও আন্তর্জাতিক বইমেলা, জাপান ১ থেকে ৪ জুলাই, ২০১৫।
হংকং বইমেলা ১৫ থেকে ২১ জুলাই, ২০১৫।
বেইজিং আন্তর্জাতিক বইমেলা ২৬ থেকে ৩০ আগস্ট, ২০১৫।
১৪ থেকে ১৮ অক্টোবর ফ্যাঙ্কফুট বইমেলা, জার্মানি।
ম্যাক্সিকো বইমেলা ২৮ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বইমেলা হল ফ্যাঙ্কফুট বইমেলা। বই প্রকাশনায় ভালো করতে চায় এমন লোকদের অবশ্যই এখানে ভ্রমণ করা উচিত। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত এ মেলায় ১০২ দেশের ৭,২৭৫ প্রদর্শক, ৯,৩০০ সাংবাদিক, ৬৩১ সাহিত্য প্রতিনিধি এবং ১,৭০,৬৬৪ জন পেশাদার দর্শনার্থীসহ মোট ২,৭৫,৩৪২ জন দর্শনার্থী এসেছিল।
ইংলিশ লেখকরা বিশ্ব সাহিত্যকে অনেক দিয়েছেন। তাই বিশ্ব বইমেলা দেখতে গিয়ে লন্ডন বইমেলায় যাওয়া না হলে বিশ্ব সাহিত্যের অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে। আজকের পৃথিবীতে বিভন্ন দেশের আন্তর্জাতিক বইমেলার মধ্যে ফ্যাঙ্কফুট বইমেলার পর লন্ডন বইমেলাকে দ্বিতীয় গূরুত্বপূর্ণ বইমেলা মনে করা হয়। এটাকে ইউরোপিয়ান প্রকাশক, বই বিক্রেতা, স্বত্বাধিকারী এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বের মক্কা মনে করা হয়।
ইতিহাসের অনেক বড় বড় নেতা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে জানার আরেকটি সুযোগ হিসেবে নিয়েছিলেন এবং যখনই সময় পেয়েছেন নিজেদের জ্ঞানের পৃথিবীকে নিয়ে গেছেন আরও বিস্তৃত দিগন্তে। মাহাত্মা গান্ধী এবং নেলসন ম্যান্ডেলা বর্ণনা কেরছেন কীভাবে তারা তাদের জেলের জীবনকে বই পড়ার কাজে ব্যবহার করতেন এবং পরে নিজেদের বইতে তাদের ধারণাগুলো পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছেন, যা তাদের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য কেরছিল।
ইংরেজ কবি ক্রিস্টোফার মরলের মতে- ‘যখন তুমি কারো কাছে একটি বই বিক্রি করলে; তুমি তার কাছে কয়েক আউন্স কাগজ, কালি আর আঠা বিক্রি করনি- তুমি তার কাছে একটি নতুন জীবন বিক্রি করেছ”।
‘বইমেলায় শিশুদের বই, বাণিজ্য, সমাজ বিজ্ঞান, ব্যবসা, বৈজ্ঞানিক, খেলাধুলা এবং কৌশল সংক্রান্ত নতুন নতুন বই পাওয়া যায়। বইমেলা পাঠককে জীবনের সব রং যোগান দিয়ে যায় সময় অনুযায়ী। তাই সময় সুযোগ সব কিছু মিলে গেলে বিশ্ব সাহিত্যের আয়নায় একবার দেখে আসুন বিশ্বকে এবং ক্ষানিকা নিজেকেও।
ফেব্রুয়ারি শেষ, সাহিত্যানুরাগী হিসেবে আপনার মন খারাপ। কিন্তু জ্ঞানের প্রতি আপনার ক্ষুধা যদি হয় অসীম, জানার ইচ্ছা যদি হয় সু-তীব্র, ভাবনা যদি হয় সু-গভীর, নিজের জানা পৃথিবীটাকে যদি তুলনা করতে চান বৈশিকতায়; আন্তর্জাতিক বইমেলা হতে পারে আপনার তৃপ্তির ষোল-আনা পূরণের একটি বড় উপলক্ষ।
যে পৃথিবীতে আমরা স্মার্টফোন, ইন্টারনেট এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে খুব সহজেই যে কোনো তথ্য পেয়ে থাকি, সেখানেও কোনো বিষয়ে গভীরভাবে জানার জন্য আমাদের অনেকেই বইয়ের কাছে ফিরে যায়।
‘বই হল চির বিশ্বস্ত এবং অবিচল বন্ধু; এরা অনেক উপভোগ্য এবং বিজ্ঞ পরামর্শক, যা আমাদের ধৈর্য শিক্ষা দেয়’।
চার্লস ডব্লিউ ইলিয়ট (প্রেসিডেন্ট অব হারবার্ড ইউনিভার্সিটি)
আন্তর্জাতিক বইমেলা এমন একটি জায়গা যেখানে নতুন নতুন বই এবং লেখকের জন্ম হয়, আন্তর্জাতিক প্রকাশক এবং পরিবেশকরা নিজেদের অধিকার নিয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা করতে পারে। পাঠকরা পুরো পৃথিবীর বিখ্যাত বইগুলো খুঁজে নিতে পারে নিজেদের পছন্দমতো। প্রকাশক, লেখক এবং পাঠকের পারস্পরিক সহযোগিতার কারণে আন্তর্জাতিক বইমেলা পৃথিবীব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আপনি যদি হোন একজন সাহিত্যপ্রেমী; বলার অপেক্ষা রাখে না, পরের অংশটুকু আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১৪ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ নিউ দিল্লি বইমেলা দিয়ে শুরু করে নভেম্বর-ডিসেম্বরে মেক্সিকো বইমেলা দিয়ে শেষ হতে পারে আপনার এ বিশ্বভ্রমণ। মাঝখানে যেসব জায়গায় আপনি যেতে পারেন-
৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল ২০১৫ বলগনা, ইটালি।
লন্ডন বইমেলা, ১৪ থেকে ১৬ এপ্রিল ২০১৫।
২৩ এপ্রিল থেকে ১১ মে ২০১৫, বুয়েন্স আয়ার্স বইমেলা, আর্জেন্টিনা।
আবুধাবি আন্তর্জাতিক বইমেলা ৭ থেকে ১৩ মে, ২০১৫।
নিউইয়র্ক সিটি, অ্যামেরিকা ২৭ থেকে ২৯ মে, ২০১৫।
১৯ থেকে ২১ জুন, ২০১৫ সাউথ আফ্রিকান বইমেলা।
টকিও আন্তর্জাতিক বইমেলা, জাপান ১ থেকে ৪ জুলাই, ২০১৫।
হংকং বইমেলা ১৫ থেকে ২১ জুলাই, ২০১৫।
বেইজিং আন্তর্জাতিক বইমেলা ২৬ থেকে ৩০ আগস্ট, ২০১৫।
১৪ থেকে ১৮ অক্টোবর ফ্যাঙ্কফুট বইমেলা, জার্মানি।
ম্যাক্সিকো বইমেলা ২৮ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বইমেলা হল ফ্যাঙ্কফুট বইমেলা। বই প্রকাশনায় ভালো করতে চায় এমন লোকদের অবশ্যই এখানে ভ্রমণ করা উচিত। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত এ মেলায় ১০২ দেশের ৭,২৭৫ প্রদর্শক, ৯,৩০০ সাংবাদিক, ৬৩১ সাহিত্য প্রতিনিধি এবং ১,৭০,৬৬৪ জন পেশাদার দর্শনার্থীসহ মোট ২,৭৫,৩৪২ জন দর্শনার্থী এসেছিল।
ইংলিশ লেখকরা বিশ্ব সাহিত্যকে অনেক দিয়েছেন। তাই বিশ্ব বইমেলা দেখতে গিয়ে লন্ডন বইমেলায় যাওয়া না হলে বিশ্ব সাহিত্যের অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে। আজকের পৃথিবীতে বিভন্ন দেশের আন্তর্জাতিক বইমেলার মধ্যে ফ্যাঙ্কফুট বইমেলার পর লন্ডন বইমেলাকে দ্বিতীয় গূরুত্বপূর্ণ বইমেলা মনে করা হয়। এটাকে ইউরোপিয়ান প্রকাশক, বই বিক্রেতা, স্বত্বাধিকারী এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বের মক্কা মনে করা হয়।
ইতিহাসের অনেক বড় বড় নেতা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে জানার আরেকটি সুযোগ হিসেবে নিয়েছিলেন এবং যখনই সময় পেয়েছেন নিজেদের জ্ঞানের পৃথিবীকে নিয়ে গেছেন আরও বিস্তৃত দিগন্তে। মাহাত্মা গান্ধী এবং নেলসন ম্যান্ডেলা বর্ণনা কেরছেন কীভাবে তারা তাদের জেলের জীবনকে বই পড়ার কাজে ব্যবহার করতেন এবং পরে নিজেদের বইতে তাদের ধারণাগুলো পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছেন, যা তাদের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য কেরছিল।
ইংরেজ কবি ক্রিস্টোফার মরলের মতে- ‘যখন তুমি কারো কাছে একটি বই বিক্রি করলে; তুমি তার কাছে কয়েক আউন্স কাগজ, কালি আর আঠা বিক্রি করনি- তুমি তার কাছে একটি নতুন জীবন বিক্রি করেছ”।
‘বইমেলায় শিশুদের বই, বাণিজ্য, সমাজ বিজ্ঞান, ব্যবসা, বৈজ্ঞানিক, খেলাধুলা এবং কৌশল সংক্রান্ত নতুন নতুন বই পাওয়া যায়। বইমেলা পাঠককে জীবনের সব রং যোগান দিয়ে যায় সময় অনুযায়ী। তাই সময় সুযোগ সব কিছু মিলে গেলে বিশ্ব সাহিত্যের আয়নায় একবার দেখে আসুন বিশ্বকে এবং ক্ষানিকা নিজেকেও।
No comments