বস্ত্রখাতের ব্যবসায়ীদের অনশনে ককটেল হামলা- বিল পরিশোধ না করাসহ কঠোর কর্মসূচির হুমকি
দেশের
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি শিগগির স্থিতিশীল না হলে গ্যাস-বিদ্যুতের বিল
পরিশোধ বন্ধ করে দেয়াসহ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছেন বস্ত্র
খাতের অনশনরত ব্যবসায়ীরা। রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করে দেশের অর্থনীতিকে
রক্ষার দাবিতে গতকাল দিনভর বিজিএমইএ ভবনের সামনে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি
পালন করেন তারা। হরতাল-অবরোধের কারণে এ খাতের ৪৪ লাখ শ্রমিক এবং তাদের
পরিবার পথে বসার উপক্রম হয়েছে জানিয়ে তারা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের
নিয়ে রাস্তায় নামলে তার জন্য রাজনীতিবিদদের চরম মূল্য দিতে হবে। কর্মসূচি
চলাকালে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সমাবেশের অদূরে দু’টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে আহত দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, সাবেক প্রথম সহসভাপতি জসিম উদ্দীন, বিটিএমইএ সভাপতি তপন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন, বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম, রিয়াজ বিন মাহমুদ ও এম এ মান্নান কচি, গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাফেজ আলম, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম, বিকেএমইএর সহসভাপতি আসলাম সানি, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস প্রমুখ অনশনে যোগদান করেন। বস্ত্র খাতের প্রধান তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ আয়োজিত অনশন কর্মসূচিতে এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিল্পের ব্যবসায়ী নেতারাও যোগ দেন। দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও আসেন সংহতি প্রকাশ করতে।
অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এস এ কাদের কিরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি যেভাবে পারেন সহিংসতা বন্ধ করুন। এ দায়িত্ব আপনার, আমরা আপনাকে ট্যাক্স দিই। চলমান সঙ্কট যত দিন থাকবে তত দিন আমরা বিদ্যুৎ বিল দেবো না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল বন্ধ করে দেয়ারও ঘোষণা দেন বক্তারা। রাজনীতিবিদদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, আপনারা (রাজনীতিবিদরা) আপনাদের সমস্যা সমাধান করুন। আমাদেরকে তি করবেন না। আমাদেরকে আর রাস্তায় নামাবেন না। একবার রাস্তায় নামালে সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, দেশে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তাতে ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে পোশাক শিল্প তিগ্রস্ত হচ্ছে। সঙ্কটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি। গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাফেজ আলম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি যেভাবে হোক বন্ধ করুন। এটা সংলাপের মাধ্যমেও হতে পারে আবার আইনের মাধ্যমেও হতে পারে। আমাদেরকে নিরাপত্তা দিন। সভাপতির বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, রাজনীতিবিদরা আমাদের (ব্যবসায়ীদের) মেরে ফেলতে চাইছেন। নাশকতা করে, বোমা মেরে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন ঠেকানো যাবে না।
এক ব্যবসায়ীকে ধাওয়া : রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিজিএমইএ ভবনের সামনে প্রতীকী অনশনে ককটেল হামলার পর প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বক্তব্য দেয়ায় সীমা জাহান নামে এক ব্যবসায়ীকে বের করে দেয় অনশনরত অন্য ব্যবসায়ীরা। তিনি জাহান ফ্যাশন লিমিটেডের পরিচালক। বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অনশনস্থলে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বুঝে সীমা জাহানের সহযোগীরা তাকে বিজিএমইএ ভবনে নিয়ে যান। পরে তার পিছু পিছু ধাওয়া করেন কিছু ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, সাবেক প্রথম সহসভাপতি জসিম উদ্দীন, বিটিএমইএ সভাপতি তপন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন, বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম, রিয়াজ বিন মাহমুদ ও এম এ মান্নান কচি, গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাফেজ আলম, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম, বিকেএমইএর সহসভাপতি আসলাম সানি, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস প্রমুখ অনশনে যোগদান করেন। বস্ত্র খাতের প্রধান তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ আয়োজিত অনশন কর্মসূচিতে এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিল্পের ব্যবসায়ী নেতারাও যোগ দেন। দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও আসেন সংহতি প্রকাশ করতে।
অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এস এ কাদের কিরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি যেভাবে পারেন সহিংসতা বন্ধ করুন। এ দায়িত্ব আপনার, আমরা আপনাকে ট্যাক্স দিই। চলমান সঙ্কট যত দিন থাকবে তত দিন আমরা বিদ্যুৎ বিল দেবো না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল বন্ধ করে দেয়ারও ঘোষণা দেন বক্তারা। রাজনীতিবিদদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, আপনারা (রাজনীতিবিদরা) আপনাদের সমস্যা সমাধান করুন। আমাদেরকে তি করবেন না। আমাদেরকে আর রাস্তায় নামাবেন না। একবার রাস্তায় নামালে সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, দেশে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তাতে ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে পোশাক শিল্প তিগ্রস্ত হচ্ছে। সঙ্কটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি। গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাফেজ আলম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি যেভাবে হোক বন্ধ করুন। এটা সংলাপের মাধ্যমেও হতে পারে আবার আইনের মাধ্যমেও হতে পারে। আমাদেরকে নিরাপত্তা দিন। সভাপতির বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, রাজনীতিবিদরা আমাদের (ব্যবসায়ীদের) মেরে ফেলতে চাইছেন। নাশকতা করে, বোমা মেরে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন ঠেকানো যাবে না।
এক ব্যবসায়ীকে ধাওয়া : রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিজিএমইএ ভবনের সামনে প্রতীকী অনশনে ককটেল হামলার পর প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বক্তব্য দেয়ায় সীমা জাহান নামে এক ব্যবসায়ীকে বের করে দেয় অনশনরত অন্য ব্যবসায়ীরা। তিনি জাহান ফ্যাশন লিমিটেডের পরিচালক। বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অনশনস্থলে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বুঝে সীমা জাহানের সহযোগীরা তাকে বিজিএমইএ ভবনে নিয়ে যান। পরে তার পিছু পিছু ধাওয়া করেন কিছু ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
No comments