পাঁচ বছরে ঘুষমুক্ত করব দিল্লিকে -শপথ নিয়ে কেজরিওয়াল by সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
রামলীলায় জনতাকে কেজরিওয়ালের অভিবাদন |
পাঁচ
বছরের মধ্যে দিল্লিকে ভারতের প্রথম ঘুষমুক্ত শহর করে তোলা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়ে গতকাল শনিবারের বারবেলায় রামলীলা ময়দানে উপস্থিত
জনসমুদ্রকে এই প্রতিশ্রুতি দিলেন দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ
কেজরিওয়াল। ভিআইপি সংস্কৃতি বন্ধ করতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লির উপরাজ্যপাল নাজিব জং কেজরিওয়াল ছাড়াও শপথবাক্য পাঠ করান আরও ছয় পূর্ণ মন্ত্রীকে। তাঁরা হলেন মনীশ সিসোদিয়া, আসিম আহমেদ খান, গোপাল রাই, জিতেন্দ্র সিং টোমার, সত্যেন্দ্র জৈন ও সন্দীপ কুমার। শপথ নেওয়ার পর ভাষণ শেষ করে কেজরিওয়াল সদলে যান রাজঘাটে জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে। সেখান থেকেই সোজা সচিবালয়। শপথ নেওয়ার দিনসহ ২৪ ঘণ্টাই তিনি ও তাঁর মন্ত্রীরা কাজ করবেন, ঘোষণা দিয়েছেন এএপির প্রধান।
ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত দিল্লি গড়তে দুর্নীতিবাজদের কীভাবে পাকড়াও করতে হবে, জনতাকে তাও বুঝিয়ে দিলেন কেজরিওয়াল। বললেন, সরকারি কর্মীরা ঘুষ চাইলে রাজি হয়ে যান। তারপর পকেটে রাখা মোবাইল ফোনটা অন করে কথাবার্তা রেকর্ড করুন এবং সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিন। সরকার ঠিক ব্যবস্থা নেবে।
নতুন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি নিজের হাতে কোনো মন্ত্রণালয় রাখেননি, যাতে শুধু সরকারি কাজে আবদ্ধ না থেকে দলকে আরও বেশি সময় দিতে পারেন। অর্থ, রাজস্ব, শিক্ষা, যোজনার ভার দেওয়া হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার হাতে।
দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন করে রাজনীতির শীর্ষে উঠে আসা কেজরিওয়াল ও তাঁর আম আদমি পার্টির (এএপি) কাছে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন অবশ্যই একটা স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়াও তাঁর প্রাথমিক কাজ। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে জমায়েতকে উদ্দেশ করে কেজরিওয়াল বলেন, ‘প্রথমবার আমাদের মধ্যে এ নিয়ে একটা “রোমান্টিসিজম” ছিল। কিন্তু এবার আমরা আরও আস্থাবান। দুর্নীতিমুক্ত দিল্লি গড়া সম্ভব বলেই আমরা মনে করি।’
বিপুল জয়টা যে তাঁদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এবং সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে না পারলে লোকে ক্ষমা করবে না, কেজরিওয়াল তা প্রথমেই উপলব্ধি করেছিলেন। সেই কারণেই তিনি ফল প্রকাশের দিনই অনুশাসন মানা ও অহংকার না করার তাগিদ দিয়েছিলেন। গতকাল সেই কথাই আবার মনে করিয়ে দিয়ে দলীয় পদস্থ কর্মকর্তা, সমর্থক ও কর্মীদের উদ্দেশে কেজরিওয়াল বলেন, ‘কংগ্রেস অহংকারী হয়েছিল বলেই মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। লোকসভায় বিপুল জয়ের পর দিল্লিতে বিজেপিও অহংকারী হয়ে পড়ে। তার ফল তারা পেয়েছে। আমরা যেন অহংকারী না হই।’
আগেরবারের কথা উল্লেখ করে কেজরিওয়াল বলেন, ‘২৮টি আসন পেয়ে ভেবেছিলাম সারা দেশই জিতে নেব। সে জন্য চার শর বেশি লোকসভা আসনে লড়াই করি। এবং হারি। অহংকারের শাস্তি ঈশ্বর দিয়েছেন। এবার পাঁচ বছর দিল্লিতেই থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করব।’
সংঘাতের রাজনীতি থেকে সরে সহযোগিতার রাজনীতিকে এএপি আঁকড়ে ধরেছে। প্রসঙ্গটা তুলে কেজরিওয়াল বলেন, ‘কিরণ বেদীকে আমি শ্রদ্ধা করি। পুলিশ ও প্রশাসনে তাঁর অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের। অজয় মাকেনেরও বিস্তর অভিজ্ঞতা। এঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রশাসন চালাব।’ প্রথাগত রাজনৈতিক সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে নতুন ধরনের রাজনীতির পথে চলারই ইঙ্গিত দিলেন কেজরিওয়াল।
দিল্লির উপরাজ্যপাল নাজিব জং কেজরিওয়াল ছাড়াও শপথবাক্য পাঠ করান আরও ছয় পূর্ণ মন্ত্রীকে। তাঁরা হলেন মনীশ সিসোদিয়া, আসিম আহমেদ খান, গোপাল রাই, জিতেন্দ্র সিং টোমার, সত্যেন্দ্র জৈন ও সন্দীপ কুমার। শপথ নেওয়ার পর ভাষণ শেষ করে কেজরিওয়াল সদলে যান রাজঘাটে জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে। সেখান থেকেই সোজা সচিবালয়। শপথ নেওয়ার দিনসহ ২৪ ঘণ্টাই তিনি ও তাঁর মন্ত্রীরা কাজ করবেন, ঘোষণা দিয়েছেন এএপির প্রধান।
ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত দিল্লি গড়তে দুর্নীতিবাজদের কীভাবে পাকড়াও করতে হবে, জনতাকে তাও বুঝিয়ে দিলেন কেজরিওয়াল। বললেন, সরকারি কর্মীরা ঘুষ চাইলে রাজি হয়ে যান। তারপর পকেটে রাখা মোবাইল ফোনটা অন করে কথাবার্তা রেকর্ড করুন এবং সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিন। সরকার ঠিক ব্যবস্থা নেবে।
নতুন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি নিজের হাতে কোনো মন্ত্রণালয় রাখেননি, যাতে শুধু সরকারি কাজে আবদ্ধ না থেকে দলকে আরও বেশি সময় দিতে পারেন। অর্থ, রাজস্ব, শিক্ষা, যোজনার ভার দেওয়া হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার হাতে।
দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন করে রাজনীতির শীর্ষে উঠে আসা কেজরিওয়াল ও তাঁর আম আদমি পার্টির (এএপি) কাছে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন অবশ্যই একটা স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়াও তাঁর প্রাথমিক কাজ। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে জমায়েতকে উদ্দেশ করে কেজরিওয়াল বলেন, ‘প্রথমবার আমাদের মধ্যে এ নিয়ে একটা “রোমান্টিসিজম” ছিল। কিন্তু এবার আমরা আরও আস্থাবান। দুর্নীতিমুক্ত দিল্লি গড়া সম্ভব বলেই আমরা মনে করি।’
বিপুল জয়টা যে তাঁদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এবং সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে না পারলে লোকে ক্ষমা করবে না, কেজরিওয়াল তা প্রথমেই উপলব্ধি করেছিলেন। সেই কারণেই তিনি ফল প্রকাশের দিনই অনুশাসন মানা ও অহংকার না করার তাগিদ দিয়েছিলেন। গতকাল সেই কথাই আবার মনে করিয়ে দিয়ে দলীয় পদস্থ কর্মকর্তা, সমর্থক ও কর্মীদের উদ্দেশে কেজরিওয়াল বলেন, ‘কংগ্রেস অহংকারী হয়েছিল বলেই মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। লোকসভায় বিপুল জয়ের পর দিল্লিতে বিজেপিও অহংকারী হয়ে পড়ে। তার ফল তারা পেয়েছে। আমরা যেন অহংকারী না হই।’
আগেরবারের কথা উল্লেখ করে কেজরিওয়াল বলেন, ‘২৮টি আসন পেয়ে ভেবেছিলাম সারা দেশই জিতে নেব। সে জন্য চার শর বেশি লোকসভা আসনে লড়াই করি। এবং হারি। অহংকারের শাস্তি ঈশ্বর দিয়েছেন। এবার পাঁচ বছর দিল্লিতেই থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করব।’
সংঘাতের রাজনীতি থেকে সরে সহযোগিতার রাজনীতিকে এএপি আঁকড়ে ধরেছে। প্রসঙ্গটা তুলে কেজরিওয়াল বলেন, ‘কিরণ বেদীকে আমি শ্রদ্ধা করি। পুলিশ ও প্রশাসনে তাঁর অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের। অজয় মাকেনেরও বিস্তর অভিজ্ঞতা। এঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রশাসন চালাব।’ প্রথাগত রাজনৈতিক সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে নতুন ধরনের রাজনীতির পথে চলারই ইঙ্গিত দিলেন কেজরিওয়াল।
No comments