মারমাদের কেয়াংকেন্দ্রিক চর্চা by রাজীব নূর
বান্দরবান
জেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে রোয়াংছড়ি গিয়ে আলাপ হলো উপজেলা
পরিষদের কয়েকজন নির্বাচিত প্রতিনিধির সঙ্গে। সরেজমিনে ১৪ থেকে ২৩ জানুয়ারি
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি ঘোরার
মাঝামাঝি পর্যায়ে একদিন সেখানে থামা হয়। বর্ণমালা নিয়ে রাঙামাটিতে চাকমাদের
সঙ্গে আলাপের অভিজ্ঞতার কারণে সংশয়ের সঙ্গে ওই জনপ্রতিধিদের কাছে মারমা
বর্ণমালায় তারা নিজেদের নাম লিখতেপারেন কি-না জানতে চাওয়া হলো। চাকমাদের
শতাধিক শিক্ষিতজনের মাত্র দু'জন চাকমা বর্ণমালায় নিজের নাম লিখতে পারলেও
রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদে উপস্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান ক্য বা মং, ভাইস
চেয়ারম্যান ক্যসাইনু মার্মা, নারী ভাইস চেয়ারম্যান মাউসাং ও সাবেক ভাইস
চেয়ারম্যান পুহ্লাঅং মার্মা অবলীলায় মারমা বর্ণমালায় লিখে দিলেন নিজেদের
নাম।
বিস্ময় কাটানোর জন্য ক্য বা মং জানালেন, মূলত কেয়াংকেন্দ্রিক চর্চার কারণে মারমাদের বেশিরভাগেরই নিজেদের বর্ণমালাটা জানা আছে। এমন কী বাংলা-ইংরেজি কিছুই পড়তে না জানা মারমাদেরও অনেকে মাতৃভাষায় পড়তে ও লিখতে পারেন। প্রয়োজনীয় হিসাব-নিকাশও রাখতে পারেন। পরে আলাপ হলো বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের উজিমুখ হেডম্যানপাড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ উ সই ওয়াই না মহাথেরের সঙ্গে। তিনি বিহারে মারমা ভাষা শিক্ষাদান করছেন। আড়াই বছর ধরে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন রাতের বেলা আগ্রহী বয়স্ক শিক্ষার্থীদেরও মারমা ভাষায় শিক্ষা দিচ্ছেন এই ধর্মযাজক। মহাথের নিজে বাংলা ভাষা তেমন একটা বোঝেন না, বলতেও অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে নিজের মাতৃভাষা মারমায় অনর্গল বলতে ও লিখতে পারেন। মারমা ভাষা বিষয়ে তাকে একজন বিশেষজ্ঞ বলে মানেন সেখানকার লোকজন।
মারমা ভাষায় শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে উ সই ওয়াই না মহাথের বলেন, আমরা যারা কেয়াং পরিচালনা করি, তারা ভাষা শেখানোর ব্যাপারে উদ্যোগী না হলে এতদিন দিনে এই ভাষাটায় লিখতে জানা মানুষ হারিয়ে যেত। এখনও মারমাদের বেশিরভাগ মানুষ মারমা ভাষা বলতে পারলেও লিখতে জানে না। তাই মারমা শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাইকে ভাষা শেখার জন্য ডেকে আনি আমি।
বান্দরবান শহরের উজানিপাড়া মহা বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ উ চাই দাইনদা উয়ারা মহাথের জানান, এখানে কেয়াং পরিচালিত পাঠশালায় মারমাদের ভাষা শিক্ষা দানের পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্ক শেখানো হয়। তবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিশেষভাবে মারমা ভাষা শেখানো হয়। ভাষা রক্ষার্থে বান্দরবানের অন্য কেয়াংগুলোতে এ কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে বলে জানালেন মহাথের।
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার মধ্যে বান্দরবানে সবচেয়ে বেশি মারমার বসবাস। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেসব আদিবাসীর বসতি রয়েছে, তাদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে মারমারা দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। কিছুসংখ্যক মারমা উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে বাস করে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বঙ্গু, খোয়ে, শিলো, থৌলে ও সাব্রুম এলাকায়, মিজোরামের রাইনক্ষ্যং ও সাংলাকক্ষ্যং এলাকায়, মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশের লেমাই গোয়ং, পুলুতং ও নাজিরোওয়া এবং ইয়াঙ্গুন শহরে মারমা জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
গবেষক মংক্যশোয়েনু নেভি বলেন, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে এক লাখ ৫৪ হাজার ২১৬ জন মারমা ভাষাভাষী রয়েছেন, যার মধ্যে ৫১ হাজার ২৩৫ জন পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস করেন। মারমা ভাষা বিষয়ক এই গবেষক জানান, এটি তিব্বতি-বর্মি শাখার বর্মি দলভুক্ত একটি ভাষা। ১৩টি স্বরবর্ণ ও ৩৬টি ব্যঞ্জনবর্ণ নিয়ে মারমা বর্ণমালা। এ বর্ণমালাকে ম্রাইমাজা বলা হয়। মারমা বর্ণমালার উৎস মন খমের নাকি না ব্রাহ্মী লিপি- এ নিয়ে বিতর্ক শেষ হয়নি। মারমা সমাজে সঙ্গীত ও গীতিনাট্যে মারমা লিপির ব্যবহার সুপ্রাচীন। পবিত্রগ্রন্থ ত্রিপিটক থেকে শুরু করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুরই মারমা অনুবাদ রয়েছে।
বান্দরবানের কবি চৌধুরী বাবুল বড়ূয়া বলেন, মারমাদের লিখিত সাহিত্যের সমান্তরালে রয়েছে লোকসাহিত্যের দীর্ঘ ঐতিহ্য। মারমাদের মধ্যে কাইপ্যা, পাংখুংসহ নানান ধরনের লোক গান ও নাটকের প্রচলন রয়েছে। মারমা সমাজে প্রচলিত এক ধরনের লোকগীতিকে বলা হয় চাগায়াং। কাহিনীভিত্তিক আরেক ধরনের গানকে বলে সাইংগ্যাই। রদুও এক ধরনের কাহিনীনির্ভর মারমা লোকগীতি। বাংলা জারিগানের মতো তালে তালে একই সুরে ও ছন্দে দলীয়ভাবে এক দল কর্তৃক অন্য দলের উদ্দেশে বিভিন্ন ধরনের বিবরণমূলক যে গান গাওয়া হয় তাকে সাইংগ্যাই বলে ডাকে। ভগবান বুদ্ধের জীবন নিয়ে রচিত সাহিত্যকে বলা হয় লুংদি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্যাঞ্চলের শিল্পসাহিত্য নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে এটি নিশ্চিত করেছেন যে বাংলাদেশে মারমাদের মৌখিক রীতির লোকসাহিত্য এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে তুলনায় লিখিত সাহিত্য পিছিয়ে যাচ্ছে।
নিরবচ্ছিন্ন রাষ্ট্রীয় উপেক্ষার পরিণতিতে এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন মারমা ভাষায় শিক্ষা প্রবর্তনের জন্য গঠিত অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ক্য শৈ প্রু। তিনি বলেন, মারমারা ধর্ম, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রক্ষার্থে এখনও বর্ণমালা শেখার চর্চা টিকিয়ে রেখেছে। বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষরা বিহারে থাকা ছাত্রদের মারমা ভাষার শিক্ষা দিয়ে থাকেন। কিন্তু আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের সরকারি উদ্যোগ এখনও ইটিং-মিটিং পর্যায়ে রয়ে গেছে। তবে সাম্প্রতিককালে সেভ দ্য চিলড্রেন ও ইউএস এইডের সহযোগিতায় পার্বত্যাঞ্চলে শিক্ষা নিয়ে কর্মরত জাবারাং কল্যাণ সমিতি ও ইকো ডেভেলপমেন্ট মারমা ভাষাসহ আরও দুটি ভাষায় পাঠ্য উপকরণ তৈরির কাজ শেষ করে এনেছে বলে তিনি জানান।
শুধু পাঠ্যপুস্তক হলেই তো চলবে না, তাই চলছে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও। এরই মধ্যে ইউএস এইডের সহযোগিতায় পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের অনুমোদনক্রমে ইকো ডেভেলপমেন্ট বান্দরবানের ১২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫০ জন শিক্ষককে প্রথম ধাপে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এ প্রশিক্ষণ চলতে থাকবে। তার বিশ্বাস এই সব কিছুই মারমাদের ভাষার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বিস্ময় কাটানোর জন্য ক্য বা মং জানালেন, মূলত কেয়াংকেন্দ্রিক চর্চার কারণে মারমাদের বেশিরভাগেরই নিজেদের বর্ণমালাটা জানা আছে। এমন কী বাংলা-ইংরেজি কিছুই পড়তে না জানা মারমাদেরও অনেকে মাতৃভাষায় পড়তে ও লিখতে পারেন। প্রয়োজনীয় হিসাব-নিকাশও রাখতে পারেন। পরে আলাপ হলো বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের উজিমুখ হেডম্যানপাড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ উ সই ওয়াই না মহাথেরের সঙ্গে। তিনি বিহারে মারমা ভাষা শিক্ষাদান করছেন। আড়াই বছর ধরে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন রাতের বেলা আগ্রহী বয়স্ক শিক্ষার্থীদেরও মারমা ভাষায় শিক্ষা দিচ্ছেন এই ধর্মযাজক। মহাথের নিজে বাংলা ভাষা তেমন একটা বোঝেন না, বলতেও অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে নিজের মাতৃভাষা মারমায় অনর্গল বলতে ও লিখতে পারেন। মারমা ভাষা বিষয়ে তাকে একজন বিশেষজ্ঞ বলে মানেন সেখানকার লোকজন।
মারমা ভাষায় শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে উ সই ওয়াই না মহাথের বলেন, আমরা যারা কেয়াং পরিচালনা করি, তারা ভাষা শেখানোর ব্যাপারে উদ্যোগী না হলে এতদিন দিনে এই ভাষাটায় লিখতে জানা মানুষ হারিয়ে যেত। এখনও মারমাদের বেশিরভাগ মানুষ মারমা ভাষা বলতে পারলেও লিখতে জানে না। তাই মারমা শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাইকে ভাষা শেখার জন্য ডেকে আনি আমি।
বান্দরবান শহরের উজানিপাড়া মহা বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ উ চাই দাইনদা উয়ারা মহাথের জানান, এখানে কেয়াং পরিচালিত পাঠশালায় মারমাদের ভাষা শিক্ষা দানের পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্ক শেখানো হয়। তবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিশেষভাবে মারমা ভাষা শেখানো হয়। ভাষা রক্ষার্থে বান্দরবানের অন্য কেয়াংগুলোতে এ কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে বলে জানালেন মহাথের।
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার মধ্যে বান্দরবানে সবচেয়ে বেশি মারমার বসবাস। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেসব আদিবাসীর বসতি রয়েছে, তাদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে মারমারা দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। কিছুসংখ্যক মারমা উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে বাস করে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বঙ্গু, খোয়ে, শিলো, থৌলে ও সাব্রুম এলাকায়, মিজোরামের রাইনক্ষ্যং ও সাংলাকক্ষ্যং এলাকায়, মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশের লেমাই গোয়ং, পুলুতং ও নাজিরোওয়া এবং ইয়াঙ্গুন শহরে মারমা জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
গবেষক মংক্যশোয়েনু নেভি বলেন, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে এক লাখ ৫৪ হাজার ২১৬ জন মারমা ভাষাভাষী রয়েছেন, যার মধ্যে ৫১ হাজার ২৩৫ জন পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস করেন। মারমা ভাষা বিষয়ক এই গবেষক জানান, এটি তিব্বতি-বর্মি শাখার বর্মি দলভুক্ত একটি ভাষা। ১৩টি স্বরবর্ণ ও ৩৬টি ব্যঞ্জনবর্ণ নিয়ে মারমা বর্ণমালা। এ বর্ণমালাকে ম্রাইমাজা বলা হয়। মারমা বর্ণমালার উৎস মন খমের নাকি না ব্রাহ্মী লিপি- এ নিয়ে বিতর্ক শেষ হয়নি। মারমা সমাজে সঙ্গীত ও গীতিনাট্যে মারমা লিপির ব্যবহার সুপ্রাচীন। পবিত্রগ্রন্থ ত্রিপিটক থেকে শুরু করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুরই মারমা অনুবাদ রয়েছে।
বান্দরবানের কবি চৌধুরী বাবুল বড়ূয়া বলেন, মারমাদের লিখিত সাহিত্যের সমান্তরালে রয়েছে লোকসাহিত্যের দীর্ঘ ঐতিহ্য। মারমাদের মধ্যে কাইপ্যা, পাংখুংসহ নানান ধরনের লোক গান ও নাটকের প্রচলন রয়েছে। মারমা সমাজে প্রচলিত এক ধরনের লোকগীতিকে বলা হয় চাগায়াং। কাহিনীভিত্তিক আরেক ধরনের গানকে বলে সাইংগ্যাই। রদুও এক ধরনের কাহিনীনির্ভর মারমা লোকগীতি। বাংলা জারিগানের মতো তালে তালে একই সুরে ও ছন্দে দলীয়ভাবে এক দল কর্তৃক অন্য দলের উদ্দেশে বিভিন্ন ধরনের বিবরণমূলক যে গান গাওয়া হয় তাকে সাইংগ্যাই বলে ডাকে। ভগবান বুদ্ধের জীবন নিয়ে রচিত সাহিত্যকে বলা হয় লুংদি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্যাঞ্চলের শিল্পসাহিত্য নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে এটি নিশ্চিত করেছেন যে বাংলাদেশে মারমাদের মৌখিক রীতির লোকসাহিত্য এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে তুলনায় লিখিত সাহিত্য পিছিয়ে যাচ্ছে।
নিরবচ্ছিন্ন রাষ্ট্রীয় উপেক্ষার পরিণতিতে এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন মারমা ভাষায় শিক্ষা প্রবর্তনের জন্য গঠিত অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ক্য শৈ প্রু। তিনি বলেন, মারমারা ধর্ম, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রক্ষার্থে এখনও বর্ণমালা শেখার চর্চা টিকিয়ে রেখেছে। বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষরা বিহারে থাকা ছাত্রদের মারমা ভাষার শিক্ষা দিয়ে থাকেন। কিন্তু আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের সরকারি উদ্যোগ এখনও ইটিং-মিটিং পর্যায়ে রয়ে গেছে। তবে সাম্প্রতিককালে সেভ দ্য চিলড্রেন ও ইউএস এইডের সহযোগিতায় পার্বত্যাঞ্চলে শিক্ষা নিয়ে কর্মরত জাবারাং কল্যাণ সমিতি ও ইকো ডেভেলপমেন্ট মারমা ভাষাসহ আরও দুটি ভাষায় পাঠ্য উপকরণ তৈরির কাজ শেষ করে এনেছে বলে তিনি জানান।
শুধু পাঠ্যপুস্তক হলেই তো চলবে না, তাই চলছে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও। এরই মধ্যে ইউএস এইডের সহযোগিতায় পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের অনুমোদনক্রমে ইকো ডেভেলপমেন্ট বান্দরবানের ১২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫০ জন শিক্ষককে প্রথম ধাপে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এ প্রশিক্ষণ চলতে থাকবে। তার বিশ্বাস এই সব কিছুই মারমাদের ভাষার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
No comments