জাতিসত্তাগুলোর ভাষাচর্চা কোন পথে? by পুলক চাকমা
বাংলাদেশে
ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর পরিসংখ্যান নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। ধারণা করা
হয়, এ দেশে প্রায় ৪৫টির অধিক জাতিগোষ্ঠী রয়েছে, যারা চারটি ভাষা পরিবারের
(ইন্দো-ইউরোপিয়ান, অস্ট্রো-এশিয়াটিক, চীনা-তিব্বতি ও দ্রাবিড়) প্রায়
৩০টির অধিক ভাষায় ভাব প্রকাশ করে। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা
নিয়ে খুব বেশি গবেষণা না হলেও বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কাজ হয়েছে।
তার মধ্যে জি এ গ্রিয়ারসনের লিংগুইস্টিক সার্ভে অব ইন্ডিয়া, অধ্যাপক
মনিরুজ্জামানের চাকমা, রাখাইন ও তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার ওপর গবেষণা, সুগত চাকমার
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভাষা ও উপভাষার শ্রেণীকরণ এবং সৌরভ সিকদারের
বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি বান্দরবানে দীর্ঘ ১৬ বছর
গবেষণা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমুথ কলেজের অধ্যাপক ডেভিড এ পিটারসন
অধুনা বিলুপ্ত ‘রেংমিটচা’ ভাষাটি পুনরুদ্ধার করার ঘোষণা দেন। যথাযথ
পৃষ্ঠপোষকতা ও সংরক্ষণের অভাবে এ দেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর অনেক ভাষা
ইতিমধ্যে হারিয়ে গেছে, আর কিছু কিছু ভাষা বিপন্ন অবস্থায় আছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সমতলে বসবাসরত বর্মণ, কোচ, রাজোয়ার ও রাজবংশী জনগোষ্ঠীর ভাষা প্রতাপশালী বাংলা ভাষার মধ্যে আত্তীকরণ হয়ে গেছে। এ ছাড়া বর্তমানে হাজং ও কঁুড়ুখ ভাষাও বিপন্নপ্রায়। দৈনন্দিন কর্মে সাদরি ও বাংলার অত্যধিক ব্যবহারের ফলে কুঁড়ুখ ভাষা সাদরি (ওরাওঁ, মুন্ডা, সাঁওতাল, মাহালি, রাজোয়ার সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত ভাষা) ভাষার কাছে প্রায় বিলীন হতে বসেছে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেলায় প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। সেখানে বাংলা ভাষার কাছে নয়, প্রতিবেশী ভাষার দাপটে কিছু কিছু ভাষা হারিয়ে যেতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। যেমন বান্দরবানে মারমা ভাষার সর্বাধিক ব্যবহারের ফলে চাক, খুমি, খিয়াংদের ভাষা ভবিষ্যতে মারমা ভাষার সঙ্গে একীভূত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা, সেখানে প্রধান কয়েকটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মারমা ভাষা সর্বাধিক প্রচলিত। চাক, খুমি, খিয়াংদের ভাষিক সংখ্যা কম হওয়ায় এ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আশার বিষয় হলো বান্দরবানে মেনরুম ম্রো ‘রিয়েন’ নামে ম্রো ফন্ট ও মমং চাক সম্প্রতি চাক ভাষার ফন্ট আবিষ্কার করেছেন। চাক ভাষা ও ম্রো ভাষা সংরক্ষণে নিঃসন্দেহে এটি একটি ইতিবাচক ধাপ।
সমতলের ক্ষেত্রে আরও লক্ষ করা যায় গারোদের ওপর বাংলাভাষী খ্রিষ্টানদের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। গারো ভাষায় ধর্মীয় গ্রন্থ রচিত হলেও ধর্মচর্চায় গারোরা বাংলায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ফলে দেখা যায় নিজেদের মধ্যেও ভাব বিনিময়ে তারা অতিমাত্রায় বাংলায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে সাম্প্রতিক কালে রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সচেতনতার কারণে গারো সমাজের তরুণেরা নিজ ভাষার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়ছেন। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বম, লুসাই, পাংখোয়া খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী হলেও তারা নিজেদের ভাষার বিশেষত্ব ধরে রেখেছে। বম, লুসাই, পাংখোয়া সম্প্রদায় জাতিগত অবস্থান থেকে কাছাকাছি হওয়ায় তাদের ওপর বাংলা বা অন্য কোনো ভাষার প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম। এ ছাড়া ভারতের মিজোরামের সঙ্গে এ দেশের পাংখোয়াদের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের ভাষিক পরিস্থিতি যথেষ্ট মজবুত। যদিও সৌরভ সিকদার এক গবেষণায় পাংখোয়া ভাষা হারাতে বসেছে বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ম্রো সম্প্রদায় মাতৃভাষা চর্চায় যথেষ্ট সংগঠিত, তাই তারা সংখ্যায় কম হলেও তাদের ভাষা এখনো বিপন্ন নয়।
আমাদের দেশে শুধু জাতিসত্তাগুলোর ভাষা নয়, একইভাবে বর্ণমালাও বিপন্নপ্রায়। ভাষার ক্ষেত্রে বর্ণমালার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও অনেক ভাষাতাত্ত্বিক ভাষা রক্ষায় বর্ণমালার বাধ্যবাধকতাকে অস্বীকার করেন। সমতলের ক্ষেত্রে দেখা যায়, গারোরা ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ জনগোষ্ঠী হলেও ভাষাচর্চায় তারা পিছিয়ে আছে। তাদের একসময় নিজস্ব উদ্ভাবিত বর্ণমালা ছিল। কিন্তু জাতিগত ঐক্য সুদৃঢ় করার মানসে তারা নিজেদের উদ্ভাবিত বর্ণমালা বিসর্জন দিয়ে ভারতে বসবাসরত গারোদের মতোই রোমান হরফ আত্তীকরণ করে। তবে খাসিয়াদের ভাষা বর্ণমালাহীন হলেও বিপন্ন নয়।
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো, বর্ণমালার ওপর ধর্মীয় প্রভাব একটি বড় ব্যাপার হিসেবে কাজ করছে। যারা খ্রিষ্টান ধর্মানুসারী, তারা রোমান হরফকে, আর যারা ধর্মান্তরিত হয়নি, তারা বাংলা হরফকে প্রাধান্য দিতে চায়। এটি সাঁওতালদের ক্ষেত্রে বেশি দৃশ্যমান। এ বিভক্তির কারণে সরকারি উদ্যোগে মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার প্রকল্পে (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, সাদরি, সাঁওতাল) সাঁওতাল ভাষা নিয়ে কাজ করার প্রকল্পটি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে মণিপুরিদের মধ্যেও জাতিগত স্বীকৃতির প্রশ্নে নিজেদের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। মৈতৈলোন ও বিষ্ণুপ্রিয়া নামে মণিপুরিদের দুটি ভিন্ন ভিন্ন ভাষা আছে।
মোটকথা, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর ভাষাচর্চায় অন্যতম সমস্যা হচ্ছে ভাষাসংক্রান্ত নীতি বা স্বীকৃতি না থাকা। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহের মাতৃভাষায় শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইনে (২০১০) উল্লেখ আছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ক্ষুদ্র জাতিসমূহের ভাষা সংরক্ষণ, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং যেসব জাতিগোষ্ঠীর ভাষার লেখ্যরূপ নেই, সেসব ভাষার লেখ্যরূপ প্রবর্তন করা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ২০১০ সাল থেকে যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করেছে, এখন সে আশার দ্বার উন্মোচন হতে শুরু করেছে। বর্তমানে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট নৃভাষা বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে দেশের জাতিসত্তাগুলোর ভাষিক পরিস্থিতি ও তাদের সংখ্যা নির্ণয় করা সহজতর হবে। এতে দীর্ঘদিনের বিতর্কের অবসানও হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
পুলক চাকমা: সহকারী পরিচালক: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।
pulakchakma21@gmail.com
গবেষণায় দেখা গেছে, সমতলে বসবাসরত বর্মণ, কোচ, রাজোয়ার ও রাজবংশী জনগোষ্ঠীর ভাষা প্রতাপশালী বাংলা ভাষার মধ্যে আত্তীকরণ হয়ে গেছে। এ ছাড়া বর্তমানে হাজং ও কঁুড়ুখ ভাষাও বিপন্নপ্রায়। দৈনন্দিন কর্মে সাদরি ও বাংলার অত্যধিক ব্যবহারের ফলে কুঁড়ুখ ভাষা সাদরি (ওরাওঁ, মুন্ডা, সাঁওতাল, মাহালি, রাজোয়ার সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত ভাষা) ভাষার কাছে প্রায় বিলীন হতে বসেছে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেলায় প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। সেখানে বাংলা ভাষার কাছে নয়, প্রতিবেশী ভাষার দাপটে কিছু কিছু ভাষা হারিয়ে যেতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। যেমন বান্দরবানে মারমা ভাষার সর্বাধিক ব্যবহারের ফলে চাক, খুমি, খিয়াংদের ভাষা ভবিষ্যতে মারমা ভাষার সঙ্গে একীভূত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা, সেখানে প্রধান কয়েকটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মারমা ভাষা সর্বাধিক প্রচলিত। চাক, খুমি, খিয়াংদের ভাষিক সংখ্যা কম হওয়ায় এ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আশার বিষয় হলো বান্দরবানে মেনরুম ম্রো ‘রিয়েন’ নামে ম্রো ফন্ট ও মমং চাক সম্প্রতি চাক ভাষার ফন্ট আবিষ্কার করেছেন। চাক ভাষা ও ম্রো ভাষা সংরক্ষণে নিঃসন্দেহে এটি একটি ইতিবাচক ধাপ।
সমতলের ক্ষেত্রে আরও লক্ষ করা যায় গারোদের ওপর বাংলাভাষী খ্রিষ্টানদের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। গারো ভাষায় ধর্মীয় গ্রন্থ রচিত হলেও ধর্মচর্চায় গারোরা বাংলায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ফলে দেখা যায় নিজেদের মধ্যেও ভাব বিনিময়ে তারা অতিমাত্রায় বাংলায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে সাম্প্রতিক কালে রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সচেতনতার কারণে গারো সমাজের তরুণেরা নিজ ভাষার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়ছেন। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বম, লুসাই, পাংখোয়া খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী হলেও তারা নিজেদের ভাষার বিশেষত্ব ধরে রেখেছে। বম, লুসাই, পাংখোয়া সম্প্রদায় জাতিগত অবস্থান থেকে কাছাকাছি হওয়ায় তাদের ওপর বাংলা বা অন্য কোনো ভাষার প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম। এ ছাড়া ভারতের মিজোরামের সঙ্গে এ দেশের পাংখোয়াদের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের ভাষিক পরিস্থিতি যথেষ্ট মজবুত। যদিও সৌরভ সিকদার এক গবেষণায় পাংখোয়া ভাষা হারাতে বসেছে বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ম্রো সম্প্রদায় মাতৃভাষা চর্চায় যথেষ্ট সংগঠিত, তাই তারা সংখ্যায় কম হলেও তাদের ভাষা এখনো বিপন্ন নয়।
আমাদের দেশে শুধু জাতিসত্তাগুলোর ভাষা নয়, একইভাবে বর্ণমালাও বিপন্নপ্রায়। ভাষার ক্ষেত্রে বর্ণমালার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও অনেক ভাষাতাত্ত্বিক ভাষা রক্ষায় বর্ণমালার বাধ্যবাধকতাকে অস্বীকার করেন। সমতলের ক্ষেত্রে দেখা যায়, গারোরা ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ জনগোষ্ঠী হলেও ভাষাচর্চায় তারা পিছিয়ে আছে। তাদের একসময় নিজস্ব উদ্ভাবিত বর্ণমালা ছিল। কিন্তু জাতিগত ঐক্য সুদৃঢ় করার মানসে তারা নিজেদের উদ্ভাবিত বর্ণমালা বিসর্জন দিয়ে ভারতে বসবাসরত গারোদের মতোই রোমান হরফ আত্তীকরণ করে। তবে খাসিয়াদের ভাষা বর্ণমালাহীন হলেও বিপন্ন নয়।
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো, বর্ণমালার ওপর ধর্মীয় প্রভাব একটি বড় ব্যাপার হিসেবে কাজ করছে। যারা খ্রিষ্টান ধর্মানুসারী, তারা রোমান হরফকে, আর যারা ধর্মান্তরিত হয়নি, তারা বাংলা হরফকে প্রাধান্য দিতে চায়। এটি সাঁওতালদের ক্ষেত্রে বেশি দৃশ্যমান। এ বিভক্তির কারণে সরকারি উদ্যোগে মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার প্রকল্পে (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, সাদরি, সাঁওতাল) সাঁওতাল ভাষা নিয়ে কাজ করার প্রকল্পটি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে মণিপুরিদের মধ্যেও জাতিগত স্বীকৃতির প্রশ্নে নিজেদের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। মৈতৈলোন ও বিষ্ণুপ্রিয়া নামে মণিপুরিদের দুটি ভিন্ন ভিন্ন ভাষা আছে।
মোটকথা, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর ভাষাচর্চায় অন্যতম সমস্যা হচ্ছে ভাষাসংক্রান্ত নীতি বা স্বীকৃতি না থাকা। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহের মাতৃভাষায় শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইনে (২০১০) উল্লেখ আছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ক্ষুদ্র জাতিসমূহের ভাষা সংরক্ষণ, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং যেসব জাতিগোষ্ঠীর ভাষার লেখ্যরূপ নেই, সেসব ভাষার লেখ্যরূপ প্রবর্তন করা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ২০১০ সাল থেকে যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করেছে, এখন সে আশার দ্বার উন্মোচন হতে শুরু করেছে। বর্তমানে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট নৃভাষা বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে দেশের জাতিসত্তাগুলোর ভাষিক পরিস্থিতি ও তাদের সংখ্যা নির্ণয় করা সহজতর হবে। এতে দীর্ঘদিনের বিতর্কের অবসানও হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
পুলক চাকমা: সহকারী পরিচালক: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।
pulakchakma21@gmail.com
No comments