দেশ জ্বলছে, অস্ত্র দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না : বি. চৌধুরী
বিকল্পধারা
বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা
চৌধুরী রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে দুই নেত্রীকে আলোচনায় বসার জন্য আবারো আহ্বান
জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন জ্বলছে। এই ভয়াবহ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর
দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। সঙ্কট সমাধানে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিয়ে
এগিয়ে আসতে হবে। কথা তাকে বলতেই হবে। ২০ দলীয় জোট নেত্রীকেও কথা বলতে হবে।
দেশ ও জনগণের ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই তাদের কথা বলতে হবে। দেশের ১৮ কোটি
মানুষের দাবি সঙ্কট নিরসনে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। গতকাল দলের
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রতীকী গণ-অনশন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিকল্পধারার নেতাদের মধ্যে যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা
মাহবুব আলী, সাহিদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা হারুন খান, হাফিজুর রহমান ঝান্টু,
ইঞ্জিনিয়ার মো: ইউসুফ, শওকত হোসেন বেপারী, শাহ আহমেদ বাদল, মাহফুজুর
রহমান, বেগ মাহতাব, ওবায়েদ মৃধা, আসাদুজ্জামান বাচ্চু, সাইফুল ইসলাম শোভন,
বি এম নিজাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এ সময় বি. চৌধুরীর সাথে সাাৎ ও তাদের
কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা
ডা: জাফরউল্লাহ চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক
রুহুল আমিন গাজী, বিএসএমএমইউর সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আবদুল মান্নান,
বিএফইউজের মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেস কাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল
আহাম্মদ, ড্যাব নেতা ডা: এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অধ্যাপক রফিকুল কবির
লাবু, অধ্যাপক মোস্তাক রহিম স্বপন, সাংবাদিক শহীদুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয়
নেতা ডা: রফিক চৌধুরী, মুসলিম লীগের সভাপতি নূরুল হক মজুমদার, নির্বাহী
সভাপতি আবদুল আজিজ হাওলাদার, মহাসচিব আবুল খায়ের, ন্যাশনাল লেবার পার্টির
চেয়ারম্যান (এনএলপি) আবদুল্লাহ জিয়া, মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ
হোসেন, দেশপ্রেমিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসানউল্লাহ শামীম, ভাসানী অনুসারী
পরিষদের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ। বেলা ১১টায় এই প্রতীকী অনশন
শুরু হয় এবং বিকেল ৫টায় রিকশাচালক মাহবুব বি. চৌধুরীকে পানি পান করিয়ে অনশন
ভঙ্গ করান।
বি. চৌধুরী বলেন, ১৮ কোটি মানুষের একটাই দাবিÑ দেশে শান্তি নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ বলেছিল, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল নিয়মরার নির্বাচন। বিএনপিও এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে এ রকম একটি নির্বাচন করেছিল।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বি. চৌধুরী বলেন, আপনার উপদেষ্টারা আপনাকে ভালো পরামর্শ দেন না। আপনি শুভ বুদ্ধি ব্যবহার করুন। না হলে, আপনার দলের লোকজনের কারণে আপনাকে বিপজ্জনক অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনি ৫৭ জন বিডিআর কর্মকর্তা হত্যার সাথে জড়িতদের সঙ্গে ঘরে বসে কথা বলেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্রোহী নেতার সাথে কথা বলেছেন। তা হলে তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর খালেদা জিয়ার সাথে কেন কথা বলবেন না। তিনি বলেন, বিদেশীদের চাপে যখন কথা বলবেন, তখন তো দেশের মর্যাদা বাড়বে না। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার হবে। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। ক্রসফায়ার ও অস্ত্র দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। এটা গণতন্ত্রের ভাষা নয়। তিনি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী আগামীকালই বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আলোচনায় বসেন এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে একমত হন, তা হলে আগামী তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব।
বি. চৌধুরী বলেন, ১৮ কোটি মানুষের একটাই দাবিÑ দেশে শান্তি নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ বলেছিল, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল নিয়মরার নির্বাচন। বিএনপিও এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে এ রকম একটি নির্বাচন করেছিল।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বি. চৌধুরী বলেন, আপনার উপদেষ্টারা আপনাকে ভালো পরামর্শ দেন না। আপনি শুভ বুদ্ধি ব্যবহার করুন। না হলে, আপনার দলের লোকজনের কারণে আপনাকে বিপজ্জনক অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনি ৫৭ জন বিডিআর কর্মকর্তা হত্যার সাথে জড়িতদের সঙ্গে ঘরে বসে কথা বলেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্রোহী নেতার সাথে কথা বলেছেন। তা হলে তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর খালেদা জিয়ার সাথে কেন কথা বলবেন না। তিনি বলেন, বিদেশীদের চাপে যখন কথা বলবেন, তখন তো দেশের মর্যাদা বাড়বে না। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার হবে। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। ক্রসফায়ার ও অস্ত্র দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। এটা গণতন্ত্রের ভাষা নয়। তিনি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী আগামীকালই বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আলোচনায় বসেন এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে একমত হন, তা হলে আগামী তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব।
No comments