সাদিয়ার গুগল–যাত্রা by মেহেদী হাসান
বুয়েটের শিক্ষার্থী সাদিয়া চাকরি নিয়ে যাচ্ছেন গুগলে |
‘আমি
ওকে বলেছিলাম গুগল জয় করে দেখাও। ও দেখিয়েছে!’ কথাগুলো ফৌজিয়া রহমানের,
তাঁর মেয়ে সাদিয়া নাহ্রীন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল
ইনকরপোরেটেডে নিয়োগ পেয়েছেন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে যে সাতজন শিক্ষার্থীর গুগলে চাকরি নিশ্চিত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একমাত্র মেয়ে সাদিয়া। স্নাতক পর্যায় থেকে সরাসরি গুগলে বাংলাদেশের কোনো মেয়ে হিসেবে সাদিয়াই প্রথম সুযোগ পেলেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি সম্পন্ন করে গুগেল যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের ফারহানা আশরাফ।
৯ ফেব্রুয়ারি কথা হয় সাদিয়া নাহ্রীনের সঙ্গে। কক্সবাজারে জন্ম, কিন্তু সাদিয়া বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। হলিক্রস বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি আর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ২০০৯ সালে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার-কৌশল বিভাগে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সাদিয়ার স্নাতক শেষ হবে। তার পরেই পাড়ি জমাবেন যুক্তরাষ্ট্রের মাউনটেইন ভিউয়ে, গুগলের প্রধান কার্যালয়ে।
গুগল সার্চ, ইউটিউব ও জিমেইলের মতো জনপ্রিয় সেবাগুলো যে প্রতিষ্ঠানের, সেখানে বিশ্বের মানুষের জন্য কাজ করা যায়। এই রোমাঞ্চ থেকেই গুগলে কাজ করার কথা ভাবতে থাকেন সাদিয়া। তিনি বলেন, ‘গুগলে কাজের ক্ষেত্র অনেক বড়। নিজের মেধার পূর্ণ ব্যবহার করা যাবে ওখানে।’
গুগলের নিয়োগ পাওয়ার প্রক্রিয়া জানালেন সাদিয়া। এবারই প্রথমবারের মতো অনলাইনে চারটি পরীক্ষা নিয়েছে গুগল, যেকোনো একটিতে অংশ নিলেই হলো। পরীক্ষাগুলো প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের প্রতিযোগিতা ‘কোড জ্যাম’-এর মতো। অ্যালগরিদম-ভিত্তিক সমস্যা দেওয়া থাকে, খুঁজে বের করতে হবে সম্ভাব্য সমাধান। উত্তীর্ণ হলে ডাক পড়বে সাক্ষাৎকারের জন্য। এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে সাক্ষাৎকারপর্ব সেরেছে গুগল। প্রতিটি ৪৫ মিনিট করে মোট চারটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
সাদিয়া বললেন, ‘এবার যাঁরা গুগলে সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের সবাই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। আমরা এই পরিবেশের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত। নির্দিষ্ট সময়ে সেরা সমাধানটা দেওয়ার অনুশীলনে আমরা অভ্যস্ত।’
সাদিয়া নাহ্রীনের বাসায় ঢুকে প্রথম চোখে পড়ে তাঁর বাইসাইকেল, যা এখন তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী। বিড়াল পুষতেও ভালোবাসেন তিনি। স্কুল-কলেজে গান করলেও প্রোগ্রামিংয়ে হাতেখড়ি বুয়েটে এসে। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ওয়েবসাইট কোডফোর্সেস ডটকমে তৃতীয় বাংলাদেশি রেড কোডার (গ্র্যান্ডমাস্টার) হিসেবে নাম লিখিয়েছেন সম্প্রতি।
জানুয়ারি মাসে সাদিয়াদের সাক্ষাৎকার নিতে যে দলটি আসে গুগল থেকে, সেটিতে ছিলেন গুগলের কারিগরি পণ্য ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ শিশির খান। এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি কাজ করছেন গুগলে। টেলিফোনে শিশির জানালেন, গুগলে নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা হয় বুদ্ধিমত্তা। বললেন, ‘প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের বেলায় প্রার্থী “আউট অব দ্য বক্স” কতটা ভাবতে পারে, সেটা বিশেষভাবে দেখি আমরা। সাদিয়া দ্রুত বুঝতে পারে, প্রচলিত সমাধানের বাইরে ভাবতে পারে।’ িশশির জানালেন, গুগল চাইছে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ুক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। নারীদের আরও বেশি উৎসাহ দিতে চাইছে গুগল।
ফরিদ আহমেদ আখতার ও ফৌজিয়া রহমান দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে বড় সাদিয়া নাহ্রীন। বাবাও ছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থী, এখন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনে কর্মরত।
ভবিষ্যৎ পেশাজীবন নিয়ে এখনই ভাবতে চাইছেন না সাদিয়া। কোন কাজে বেশি পারদর্শী, কী করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, অর্থাৎ নিজের যোগ্যতা যাচাই করে তারপর ভবিষ্যৎ ঠিক করবেন। তবে একটা সময় অবশ্যই দেশে ফিরে আসবেন, জানালেন সাদিয়া।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে যে সাতজন শিক্ষার্থীর গুগলে চাকরি নিশ্চিত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একমাত্র মেয়ে সাদিয়া। স্নাতক পর্যায় থেকে সরাসরি গুগলে বাংলাদেশের কোনো মেয়ে হিসেবে সাদিয়াই প্রথম সুযোগ পেলেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি সম্পন্ন করে গুগেল যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের ফারহানা আশরাফ।
৯ ফেব্রুয়ারি কথা হয় সাদিয়া নাহ্রীনের সঙ্গে। কক্সবাজারে জন্ম, কিন্তু সাদিয়া বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। হলিক্রস বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি আর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ২০০৯ সালে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার-কৌশল বিভাগে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সাদিয়ার স্নাতক শেষ হবে। তার পরেই পাড়ি জমাবেন যুক্তরাষ্ট্রের মাউনটেইন ভিউয়ে, গুগলের প্রধান কার্যালয়ে।
গুগল সার্চ, ইউটিউব ও জিমেইলের মতো জনপ্রিয় সেবাগুলো যে প্রতিষ্ঠানের, সেখানে বিশ্বের মানুষের জন্য কাজ করা যায়। এই রোমাঞ্চ থেকেই গুগলে কাজ করার কথা ভাবতে থাকেন সাদিয়া। তিনি বলেন, ‘গুগলে কাজের ক্ষেত্র অনেক বড়। নিজের মেধার পূর্ণ ব্যবহার করা যাবে ওখানে।’
গুগলের নিয়োগ পাওয়ার প্রক্রিয়া জানালেন সাদিয়া। এবারই প্রথমবারের মতো অনলাইনে চারটি পরীক্ষা নিয়েছে গুগল, যেকোনো একটিতে অংশ নিলেই হলো। পরীক্ষাগুলো প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের প্রতিযোগিতা ‘কোড জ্যাম’-এর মতো। অ্যালগরিদম-ভিত্তিক সমস্যা দেওয়া থাকে, খুঁজে বের করতে হবে সম্ভাব্য সমাধান। উত্তীর্ণ হলে ডাক পড়বে সাক্ষাৎকারের জন্য। এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে সাক্ষাৎকারপর্ব সেরেছে গুগল। প্রতিটি ৪৫ মিনিট করে মোট চারটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
সাদিয়া বললেন, ‘এবার যাঁরা গুগলে সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের সবাই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। আমরা এই পরিবেশের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত। নির্দিষ্ট সময়ে সেরা সমাধানটা দেওয়ার অনুশীলনে আমরা অভ্যস্ত।’
সাদিয়া নাহ্রীনের বাসায় ঢুকে প্রথম চোখে পড়ে তাঁর বাইসাইকেল, যা এখন তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী। বিড়াল পুষতেও ভালোবাসেন তিনি। স্কুল-কলেজে গান করলেও প্রোগ্রামিংয়ে হাতেখড়ি বুয়েটে এসে। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ওয়েবসাইট কোডফোর্সেস ডটকমে তৃতীয় বাংলাদেশি রেড কোডার (গ্র্যান্ডমাস্টার) হিসেবে নাম লিখিয়েছেন সম্প্রতি।
জানুয়ারি মাসে সাদিয়াদের সাক্ষাৎকার নিতে যে দলটি আসে গুগল থেকে, সেটিতে ছিলেন গুগলের কারিগরি পণ্য ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ শিশির খান। এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি কাজ করছেন গুগলে। টেলিফোনে শিশির জানালেন, গুগলে নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা হয় বুদ্ধিমত্তা। বললেন, ‘প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের বেলায় প্রার্থী “আউট অব দ্য বক্স” কতটা ভাবতে পারে, সেটা বিশেষভাবে দেখি আমরা। সাদিয়া দ্রুত বুঝতে পারে, প্রচলিত সমাধানের বাইরে ভাবতে পারে।’ িশশির জানালেন, গুগল চাইছে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ুক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। নারীদের আরও বেশি উৎসাহ দিতে চাইছে গুগল।
ফরিদ আহমেদ আখতার ও ফৌজিয়া রহমান দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে বড় সাদিয়া নাহ্রীন। বাবাও ছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থী, এখন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনে কর্মরত।
ভবিষ্যৎ পেশাজীবন নিয়ে এখনই ভাবতে চাইছেন না সাদিয়া। কোন কাজে বেশি পারদর্শী, কী করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, অর্থাৎ নিজের যোগ্যতা যাচাই করে তারপর ভবিষ্যৎ ঠিক করবেন। তবে একটা সময় অবশ্যই দেশে ফিরে আসবেন, জানালেন সাদিয়া।
No comments