নাগরিক সমাজের উদ্যোগ ব্যর্থ হলে পরিণতি ভয়াবহ -সুজন
নাগরিক
সমাজের উদ্যোগ ব্যর্থ হলে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ
করে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এ
উদ্যোগ ব্যর্থ হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। গতকাল সকালে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয়
জাদুঘরের সামনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ
আশঙ্কার কথা জানান। ‘শান্তি-সম্প্রতি ও সমঝোতা’র দাবিতে এ মানববন্ধনের
আয়োজন করে সুজন। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষ যারা রাজনীতির সঙ্গে
জড়িত নন, তারাই এ অবরোধ ও সহিংসতায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। রাজনীতি আজ
রাজনীতিবিদদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, যা দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত
ক্ষতিকর হতে পারে।
বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশ ও রাজনীতিবিদদের জন্য ভাল নয়। সঙ্কট নিরসনে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রতিপক্ষকে রাজনীতি করার সুযোগ দিতে হবে। রাজনীতিবিদরা যখন সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তখনই নাগরিক সমাজ এগিয়ে এসে উদ্যোগ নিয়েছে। আমি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। সরকার ও বিএনপির উচিত এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে একটি সমঝোতায় আসা। না হয় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। পরিণতি হবে ভয়াবহ। তিনি বলেন, রাজনীতি ক্রমেই রাজনীতিবিদদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই পুরোপুরি রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতের বাইরে চলে যাবে, যা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।
মানববন্ধনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, মৃত্যুর কাফেলা দিন দিন ভারি হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা প্রায় ৯০ জন নিরীহ জনগণকে হারিয়েছি। চারদিকে লাশের গন্ধ পাই। যারা এসব কর্মে লিপ্ত, তারা সবাই অপরাধী এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি বলেন, অবিলম্বে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা এবং কারও গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন না করার আহ্বান জানাই।
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, দেশের চলমান সঙ্কট সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীকেন্দ্রিক। সরকার যতই অস্বীকার করুক এটা রাজনীতি সঙ্কট না, তা কারও কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার সংলাপের বাস্তবতা উপলব্ধি করে দ্রুত একটি সংলাপের আয়োজন করার উচিত বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, যারা নাগরিক সমাজের উদ্যোগকে কটাক্ষ করছেন তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চান অথবা এ সঙ্কটকে দীর্ঘায়িত করতে চান।
সুজনের নির্বাহী সদস্য হামিদা হোসেন বলেন, প্রতি পাঁচ বছর পরপর আমরা ক্ষমতার পালাবদল দেখি, কিন্তু এতে আমাদের রাজনীতির গুণগত মানে তেমন কোন পরিবর্তন দেখতে পাই না। প্রতিনিয়তই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। এই অবরোধে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি আজ চরমে পৌঁছেছে। বিশ্বাস না হলে আপনারা ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখতে পারেন। গণতান্ত্রিক দেশে এখন যা হচ্ছে তা গণতান্ত্রিক নয়। গণতান্ত্রিক অধিকার যখন হরণ করা হয়, তখনই এ ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়। তাই সবাইকে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া উচিত।
সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এ অবস্থা আর চলতে পারে না। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যে সহিংসতা হচ্ছে, অতীতে কখনও হয়নি। এ সঙ্কটের কারণ চিহ্নিত করে দুই পক্ষকে একটি সমঝোতায় আসার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা যখন সমাধান করতে ব্যর্থ হন, তখনই নাগরিক সমাজ এগিয়ে আসে। সঙ্কট সমাধানে তারা যে প্রস্তাব দিয়েছে তা আপনাদের পছন্দ নাও হতে পারে, তাই বলে তাদের কটাক্ষ করে বক্তব্য দেবেন তা হতে পারে না। এতে সঙ্কট আরও ঘনীভূক্ত হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন করে গণতান্ত্রিক সরকার চলতে পারে। দ্রুত এ অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, নাগরিক সমাজের উদ্যোগ ব্যর্থ হলে সঙ্কট আরও ঘনীভূক্ত হবে। তাই একটি সংলাপের মাধ্যমে জাতীয় একটি সনদ প্রণয়ন করা দরকার। সংলাপ ছাড়া এ সঙ্কটের সমাধান সম্ভব নয়। সমস্যার সমাধানও রাজনৈতিক দলগুলোকেই করতে হবে। এ রাজনৈতিক সঙ্কটের টেকসই সমাধানে জাতীয় সনদ প্রণয়ন করে অবিলম্বে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করতে হবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুজন সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন, জাতীয় কমিটির সদস্য নাজমা হাসিন, রাজনীতিবিদ হুমায়ূন কবির হিরু ও আতাউল করিম ফারুক, সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, আবুল হাসনাত, কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, ক্যামেলিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম, জাহাঙ্গীর যুবরাজ, শামীম আরা নীপা, রওশন আরা ডেইজী, জাভেদ জাহান প্রমুখ। এছাড়া বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ নাগরিক উদ্যোগ, ব্রতী, গণস্বাক্ষরতা অভিযান, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, অরুণোদয়ের তরুণ দল, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার, আদি ঢাকাবাসী ফোরামও সুজনের মানববন্ধনে যোগদান করে সংহতি প্রকাশ করে। সহিংসতা বন্ধ, সংলাপ ও সমঝোতার দাবিতে সুজনের পক্ষ থেকে সারা দেশে একই ধরনের কর্মসূচি পালিত হয়।
বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশ ও রাজনীতিবিদদের জন্য ভাল নয়। সঙ্কট নিরসনে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রতিপক্ষকে রাজনীতি করার সুযোগ দিতে হবে। রাজনীতিবিদরা যখন সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তখনই নাগরিক সমাজ এগিয়ে এসে উদ্যোগ নিয়েছে। আমি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। সরকার ও বিএনপির উচিত এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে একটি সমঝোতায় আসা। না হয় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। পরিণতি হবে ভয়াবহ। তিনি বলেন, রাজনীতি ক্রমেই রাজনীতিবিদদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই পুরোপুরি রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতের বাইরে চলে যাবে, যা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।
মানববন্ধনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, মৃত্যুর কাফেলা দিন দিন ভারি হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা প্রায় ৯০ জন নিরীহ জনগণকে হারিয়েছি। চারদিকে লাশের গন্ধ পাই। যারা এসব কর্মে লিপ্ত, তারা সবাই অপরাধী এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি বলেন, অবিলম্বে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা এবং কারও গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন না করার আহ্বান জানাই।
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, দেশের চলমান সঙ্কট সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীকেন্দ্রিক। সরকার যতই অস্বীকার করুক এটা রাজনীতি সঙ্কট না, তা কারও কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার সংলাপের বাস্তবতা উপলব্ধি করে দ্রুত একটি সংলাপের আয়োজন করার উচিত বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, যারা নাগরিক সমাজের উদ্যোগকে কটাক্ষ করছেন তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চান অথবা এ সঙ্কটকে দীর্ঘায়িত করতে চান।
সুজনের নির্বাহী সদস্য হামিদা হোসেন বলেন, প্রতি পাঁচ বছর পরপর আমরা ক্ষমতার পালাবদল দেখি, কিন্তু এতে আমাদের রাজনীতির গুণগত মানে তেমন কোন পরিবর্তন দেখতে পাই না। প্রতিনিয়তই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। এই অবরোধে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি আজ চরমে পৌঁছেছে। বিশ্বাস না হলে আপনারা ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখতে পারেন। গণতান্ত্রিক দেশে এখন যা হচ্ছে তা গণতান্ত্রিক নয়। গণতান্ত্রিক অধিকার যখন হরণ করা হয়, তখনই এ ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়। তাই সবাইকে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া উচিত।
সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এ অবস্থা আর চলতে পারে না। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যে সহিংসতা হচ্ছে, অতীতে কখনও হয়নি। এ সঙ্কটের কারণ চিহ্নিত করে দুই পক্ষকে একটি সমঝোতায় আসার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা যখন সমাধান করতে ব্যর্থ হন, তখনই নাগরিক সমাজ এগিয়ে আসে। সঙ্কট সমাধানে তারা যে প্রস্তাব দিয়েছে তা আপনাদের পছন্দ নাও হতে পারে, তাই বলে তাদের কটাক্ষ করে বক্তব্য দেবেন তা হতে পারে না। এতে সঙ্কট আরও ঘনীভূক্ত হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন করে গণতান্ত্রিক সরকার চলতে পারে। দ্রুত এ অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, নাগরিক সমাজের উদ্যোগ ব্যর্থ হলে সঙ্কট আরও ঘনীভূক্ত হবে। তাই একটি সংলাপের মাধ্যমে জাতীয় একটি সনদ প্রণয়ন করা দরকার। সংলাপ ছাড়া এ সঙ্কটের সমাধান সম্ভব নয়। সমস্যার সমাধানও রাজনৈতিক দলগুলোকেই করতে হবে। এ রাজনৈতিক সঙ্কটের টেকসই সমাধানে জাতীয় সনদ প্রণয়ন করে অবিলম্বে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করতে হবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুজন সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন, জাতীয় কমিটির সদস্য নাজমা হাসিন, রাজনীতিবিদ হুমায়ূন কবির হিরু ও আতাউল করিম ফারুক, সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, আবুল হাসনাত, কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, ক্যামেলিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম, জাহাঙ্গীর যুবরাজ, শামীম আরা নীপা, রওশন আরা ডেইজী, জাভেদ জাহান প্রমুখ। এছাড়া বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ নাগরিক উদ্যোগ, ব্রতী, গণস্বাক্ষরতা অভিযান, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, অরুণোদয়ের তরুণ দল, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার, আদি ঢাকাবাসী ফোরামও সুজনের মানববন্ধনে যোগদান করে সংহতি প্রকাশ করে। সহিংসতা বন্ধ, সংলাপ ও সমঝোতার দাবিতে সুজনের পক্ষ থেকে সারা দেশে একই ধরনের কর্মসূচি পালিত হয়।
No comments