‘বাঁচা-মরার’ আন্দোলন-প্রস্তুতি বিএনপির by সেলিম জাহিদ
এবারের
আন্দোলনকে ‘বাঁচা-মরার লড়াই’ হিসেবে দেখছে বিএনপি। দলটির নেতাদের ভাষায়,
‘হয় এসপার, না হয় ওসপার’—এমন মনোভাব নিয়েই আন্দোলনের পরিকল্পনা ও
প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলটির শীর্ষস্থানীয় ও মধ্যম
পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫
জানুয়ারিকে ঘিরে এ ধাপের আন্দোলন শুরুর চিন্তা করছেন বিএনপির
নীতিনির্ধারকেরা। অল্প সময়ের মধ্যে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়ার
লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তাঁরা। শিগগির বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
আন্দোলনের একটা রূপরেখা ঘোষণা করতে পারেন। এর মধ্যে কর্মসূচি ও কর্মপন্থা
ঠিক করতে গত রোববার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় বৈঠক করেন বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের ঢাকা মহানগর কমিটি
পুনর্গঠনের সঙ্গে যুক্ত নেতারা। দলীয় সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারি সংসদ
নির্বাচনের দিনকে ‘কালো দিন’ বা ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করবে
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রথম
বর্ষপূর্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশে জোটগতভাবে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
বিএনপি। তবে ৫ জানুয়ারির আগেই রাজধানী ঢাকায় দুটি বড় জমায়েত করার
পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। সম্ভাব্য দুটি তারিখ হচ্ছে ২৪ ডিসেম্বর ও ৩
জানুয়ারি। এ ছাড়া ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে ২০-দলীয় জোটের জনসভার কর্মসূচি
ঘোষণা করা হয়েছে। এতে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি থাকবেন। এদিকে ৩ ও ৫
জানুয়ারির জনসভার জন্য গতকাল সোমবার গণপূর্ত ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে
পৃথক আবেদন করেছে বিএনপি। আবেদনে মতিঝিলের শাপলা চত্বর, নয়াপল্টন অথবা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ৩ জানুয়ারির জনসভার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৫ জানুয়ারির আগাম প্রস্তুতি হিসেবে। আর ২৪ ডিসেম্বরের জমায়েতটি অঘোষিতভাবে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত মামলায় আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ধার্য রয়েছে। এ দুটি মামলার জন্য সরকার সম্প্রতি নতুন বিচারক নিয়োগ দিয়েছে। এদিন রাজধানীতে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিতে গত রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির সঙ্গে দলের অন্য অঙ্গ সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের যৌথ সভা হয়। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, তাঁদের আশঙ্কা, ৫ জানুয়ারি কর্মসূচি পালনে তাঁরা বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। ওই দিন পুলিশ জনসভার অনুমতি না দিলে বা কর্মসূচি পালনে বাধা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে হরতাল আহ্বান করা হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘উই মাস্ট ডু সামথিং।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, সংসদ ও সরকার চাই। আমরা এক বছর সরকারকে সময় দিয়েছি। সরকার তাতে কান দেয়নি। উল্টো অবমাননাকর কথাবার্তা বলেছে। দেশের সব ক্ষেত্রে যে অস্বস্তিকর অবস্থা, তাতে চুপ করে থাকার আর সুযোগ নেই।’
অবশ্য রাজধানী ঢাকায় সংগঠনকে অগোছালো রেখে বাঁচা-মরার এ আন্দোলন কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে বিএনপির নেতাদের অনেকের সংশয় আছে। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের তিনজন নেতা জানান, জানুয়ারির শুরু থেকে আন্দোলনের চিন্তা করা হলেও ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে দুই ধাপের বিশ্ব ইজতেমা। তা ছাড়া একটা বড় আন্দোলনের আগে যে ধরনের ‘নড়াচড়া’ দরকার, এখন পর্যন্ত তেমন আভাস নেই। অল্প কজন ছাড়া বেশির ভাগ নেতাই আন্দোলনের রূপরেখা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত অবগত নন। তবে এই তিন নেতা এ-ও মনে করেন, কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায়, সর্বত্র নেতা-কর্মীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, গা বাঁচিয়ে চলার আর উপায় নেই। অস্তিত্বের স্বার্থে ছোট-বড় সব নেতাকে সর্বশক্তি দিয়ে নামতে হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, ঢাকায় যাতে আন্দোলন জোরালো হয়, সে জন্য দুই সপ্তাহ ধরে বিএনপিসহ দলের চারটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। কয়েকটি পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর তিনজন দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গেও একাধিকবার কথা বলেছেন তিনি। সর্বাত্মক আন্দোলনে নামতে জামায়াতও প্রস্তুত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিটা মাঝখানে এসে ঠেকে গেছে। এখন তা শেষ প্রান্তে। জনগণ আর সহ্য করতে পারছে না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আন্দোলনের মাধ্যমে হোক, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হোক, সরকারকে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতেই হবে।
কর্মসূচি ঘোষণার পর নেতাদের মধ্যে যাতে ভালো সমন্বয় থাকে, সে জন্য বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে বিরাজমান দূরত্ব ঘোচানোরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত শনিবার এ ধরনের একটি উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস (একই সঙ্গে ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক) ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে তাঁরা কোলাকুলি করেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর মধ্যস্থতায় এ বৈঠক হয় বলে জানা গেছে। এরপর গতকাল আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর বিএনপির সঙ্গে ২০-দলীয় জোটের মহানগর কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জোটের শরিক দলের একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, গতকালের বৈঠকে রাজধানীর প্রতিটি থানায় ২০ দলের লিয়াজোঁ কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া আন্দোলনের কর্মসূচি দিলে সবাইকে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী মাঠে নামার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধও মিটমাট হয়েছে। পদবঞ্চিত বিক্ষুব্ধ নেতাদের কমিটিতে সমন্বয় করার নির্দেশনা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। সংগঠনের ‘বিদ্রোহী’ দুই নেতা আবু সাঈদ ও আনিসুর রহমান তালুকদারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের যুবদলের কমিটিতে ভালো পদে রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে। বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা জানান, তাঁরা মনে করেন, এবার আন্দোলন ব্যর্থ হলে দলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। নেতা-কর্মীরা হামলা-মামলায় আরও বিপর্যস্ত হবেন। তাই ‘এবার কিছু করতেই হবে’—এমন মনোভাব নিয়ে মাঠে নামতে কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম মনে করেন, প্রশাসন, বিচার, শিক্ষাঙ্গন, সমাজ ও রাষ্ট্র—সব জায়গায় একটা হতাশা ও হাহাকার চলছে। এ অবস্থায় যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলনের সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলে একটি গণবিস্ফোরণ ঘটতে বাধ্য।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ৩ জানুয়ারির জনসভার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৫ জানুয়ারির আগাম প্রস্তুতি হিসেবে। আর ২৪ ডিসেম্বরের জমায়েতটি অঘোষিতভাবে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত মামলায় আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ধার্য রয়েছে। এ দুটি মামলার জন্য সরকার সম্প্রতি নতুন বিচারক নিয়োগ দিয়েছে। এদিন রাজধানীতে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিতে গত রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির সঙ্গে দলের অন্য অঙ্গ সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের যৌথ সভা হয়। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, তাঁদের আশঙ্কা, ৫ জানুয়ারি কর্মসূচি পালনে তাঁরা বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। ওই দিন পুলিশ জনসভার অনুমতি না দিলে বা কর্মসূচি পালনে বাধা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে হরতাল আহ্বান করা হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘উই মাস্ট ডু সামথিং।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, সংসদ ও সরকার চাই। আমরা এক বছর সরকারকে সময় দিয়েছি। সরকার তাতে কান দেয়নি। উল্টো অবমাননাকর কথাবার্তা বলেছে। দেশের সব ক্ষেত্রে যে অস্বস্তিকর অবস্থা, তাতে চুপ করে থাকার আর সুযোগ নেই।’
অবশ্য রাজধানী ঢাকায় সংগঠনকে অগোছালো রেখে বাঁচা-মরার এ আন্দোলন কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে বিএনপির নেতাদের অনেকের সংশয় আছে। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের তিনজন নেতা জানান, জানুয়ারির শুরু থেকে আন্দোলনের চিন্তা করা হলেও ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে দুই ধাপের বিশ্ব ইজতেমা। তা ছাড়া একটা বড় আন্দোলনের আগে যে ধরনের ‘নড়াচড়া’ দরকার, এখন পর্যন্ত তেমন আভাস নেই। অল্প কজন ছাড়া বেশির ভাগ নেতাই আন্দোলনের রূপরেখা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত অবগত নন। তবে এই তিন নেতা এ-ও মনে করেন, কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায়, সর্বত্র নেতা-কর্মীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, গা বাঁচিয়ে চলার আর উপায় নেই। অস্তিত্বের স্বার্থে ছোট-বড় সব নেতাকে সর্বশক্তি দিয়ে নামতে হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, ঢাকায় যাতে আন্দোলন জোরালো হয়, সে জন্য দুই সপ্তাহ ধরে বিএনপিসহ দলের চারটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। কয়েকটি পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর তিনজন দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গেও একাধিকবার কথা বলেছেন তিনি। সর্বাত্মক আন্দোলনে নামতে জামায়াতও প্রস্তুত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিটা মাঝখানে এসে ঠেকে গেছে। এখন তা শেষ প্রান্তে। জনগণ আর সহ্য করতে পারছে না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আন্দোলনের মাধ্যমে হোক, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হোক, সরকারকে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতেই হবে।
কর্মসূচি ঘোষণার পর নেতাদের মধ্যে যাতে ভালো সমন্বয় থাকে, সে জন্য বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে বিরাজমান দূরত্ব ঘোচানোরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত শনিবার এ ধরনের একটি উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস (একই সঙ্গে ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক) ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে তাঁরা কোলাকুলি করেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর মধ্যস্থতায় এ বৈঠক হয় বলে জানা গেছে। এরপর গতকাল আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর বিএনপির সঙ্গে ২০-দলীয় জোটের মহানগর কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জোটের শরিক দলের একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, গতকালের বৈঠকে রাজধানীর প্রতিটি থানায় ২০ দলের লিয়াজোঁ কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া আন্দোলনের কর্মসূচি দিলে সবাইকে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী মাঠে নামার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধও মিটমাট হয়েছে। পদবঞ্চিত বিক্ষুব্ধ নেতাদের কমিটিতে সমন্বয় করার নির্দেশনা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। সংগঠনের ‘বিদ্রোহী’ দুই নেতা আবু সাঈদ ও আনিসুর রহমান তালুকদারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের যুবদলের কমিটিতে ভালো পদে রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে। বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা জানান, তাঁরা মনে করেন, এবার আন্দোলন ব্যর্থ হলে দলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। নেতা-কর্মীরা হামলা-মামলায় আরও বিপর্যস্ত হবেন। তাই ‘এবার কিছু করতেই হবে’—এমন মনোভাব নিয়ে মাঠে নামতে কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম মনে করেন, প্রশাসন, বিচার, শিক্ষাঙ্গন, সমাজ ও রাষ্ট্র—সব জায়গায় একটা হতাশা ও হাহাকার চলছে। এ অবস্থায় যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলনের সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলে একটি গণবিস্ফোরণ ঘটতে বাধ্য।
No comments