ডেটলাইন ৫ জানুয়ারি- মাঠ দখলের পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের by উৎপল রায়
আলোচিত
নির্বাচনের বছরপূর্তি হচ্ছে ৫ই জানুয়ারি। সেদিন দেশজুড়ে বড় শোডাউন করতে
চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এছাড়া, জানুয়ারি থেকে বিরোধী জোট আন্দোলনের যে
ঘোষণা দিয়েছে এর বিপরীতে মাঠে থাকার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ।
এজন্য দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দলীয়
সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজনে ১৪ দলসহ সমমনা দলগুলোকেও কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত
করা হবে। দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে মার্চ হবে
রাজনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। আর এ সময়কে ঘিরেই বিএনপিকে
মোকাবিলার জন্য আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোরেশোরে। কর্মসূচির
প্রাথমিক অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির
সম্মেলন দ্রুত শেষ করার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলা ও
উপজেলার নির্বাচন ও কমিটি গঠনের কাজ শেষ হয়েছে। কিছু জেলা-উপজেলার সম্মেলন
চলছে। সম্মেলন শেষ করে কমিটি গঠনের মাধ্যমে দলকে চাঙ্গা করা হবে। সূত্র
জানিয়েছে, জানুয়ারিতে বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণাকে আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে
গুরুত্ব না দিলেও রাজনীতির মাঠ দখল ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা
পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ইতিমধ্যে বিএনপি
নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের দিকে বিশেষ নজরদারি শুরু করা হয়েছে
প্রশাসনিকভাবে। যদিও দলের নেতারা জানিয়েছেন, বিরোধী জোটকে রাজনৈতিকভাবেই
মোকাবিলা করা হবে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নূহ-উল-আলম লেনিন
মানবজমিনকে বলেন, সরকার মনে করে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি’র অংশগ্রহণ
না করা ছিল চরম রাজনৈতিক ভুল। এখন সেই ভুলের মাশুল জনগণ কেন দেবে? বাস্তবতা
বলে বিএনপির আন্দোলনের হুঙ্কার তাদের কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য। এসব আমরা
ধর্তব্যের মধ্যে নিতে চাই না। বিএনপি’র আন্দোলনের কর্মসূচির সঙ্গে আওয়ামী
লীগ ও ১৪ দলের কর্মসূচির যোগসূত্র আছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপি
বারবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েও মাঠে নামেনি। তাই আমাদের দলীয় কর্মসূচির
সঙ্গে বিএনপি’র আন্দোলনের হুমকি-ধমকির কোন সম্পর্ক নেই। আগে তারা আন্দোলন
শুরু করুক, তখন না হয় দেখা যাবে। তবে সত্যিই যদি তারা আন্দোলনে নামে ও ২০১৩
সালের পুনরাবৃত্তি করতে চায় কিংবা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চায় তাহলে
সরকার বা আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না। কঠোরভাবে তাদের মোকাবিলা করবে।
সূত্র জানায়, বিরোধী জোটকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে জানুয়ারির শুরু থেকেই ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে দলটি ৫ই জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ ও ‘সংবিধান রক্ষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ লক্ষ্যে আগামী ৫ই জানুয়ারি সারা দেশের সকল নির্বাচনী এলাকাসহ জেলা-উপজেলায় মিছিল-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকায় করা হবে বিশাল জনসভা। এছাড়া, আওয়ামী লীগের নিজস্ব দলীয় কর্মসূচির বাইরে জানুয়ারিতে ১৪ দলের শরিকরাও সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে। এ লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির বিরুদ্ধে তৃণমূলকে সংগঠিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে ১৪ দল। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে গত ১০ই ডিসেম্বর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ই জানুয়ারি থেকে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় সভা-সমাবেশ করবে ১৪ দল। এরই মধ্যে এর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে বলে জানান ১৪ দলের কয়েকজন নেতা। শুক্রবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত ১৪ দলের শরিক গণতন্ত্রী পার্টির সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, জানুয়ারি মাস থেকে ১৪ দল মাঠে নামবে। গ্রামেগঞ্জে ও রাজপথে থাকবে। তখন বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাদেরকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, বিগত ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ৩ মাস বাংলার মানুষ বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য-অত্যাচার দেখেছে। আর এক মুহূর্তের জন্যও এ ধরনের অত্যাচার করতে বিএনপি-জামায়াতকে রাজপথে নামতে দেয়া হবে না। সবখানেই ১৪ দলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকবে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা জানান, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত ও বিএনপি’র যুদ্ধাপরাধীদের একের পর এক বিচারের রায় এবং ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা ও নাশকতামূলক ঘটনায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। বিএনপি ও জামায়াতের এ সহিংস আন্দোলন মোকাবিলায় সরকারের কৌশলগত ব্যর্থতার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও ব্যর্থতা ছিল। কিন্তু এবার আর সে ভুল করতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। সরকার মনে করে ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনকে ঘিরে দেশ- বিদেশে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সরকার তা কাটিয়ে ওঠতে পেরেছে। সূত্র জানায়, রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি প্রশাসনিকভাবেও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সরকার। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের তালিকা ধরে প্রশাসনে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কোথাও রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হলে প্রশাসনিকভাবেই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপনের লক্ষ্যে আগামী ৫ই জানুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশে বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে মিছিল-সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালন করা হবে। গত ১১ই ডিসেম্বর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আয়োজিত যৌথসভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। গত ১৫ই ডিসেম্বর ধানমন্ডি কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জানুয়ারিতে বিএনপি-জামায়াত সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সজাগ ও প্রস্তুত থাকার জন্য দলীয় হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ই জানুয়ারির কর্মসূচির পর ১০ই জানুয়ারি ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’। এ উপলক্ষে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এই জনসভায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর লক্ষ্য রয়েছে আওয়ামী লীগের। সে জন্য আগাম প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। সূত্র জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, উপজেলা সম্মেলন শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে বেশির ভাগ সম্মেলন শেষ হয়ে যাবে। এইসব সম্মেলন শেষ করার পর তৃণমূল পর্যায়ে জনসভার কর্মসূচি নেয়া হতে পারে।
সূত্র জানায়, বিরোধী জোটকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে জানুয়ারির শুরু থেকেই ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে দলটি ৫ই জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ ও ‘সংবিধান রক্ষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ লক্ষ্যে আগামী ৫ই জানুয়ারি সারা দেশের সকল নির্বাচনী এলাকাসহ জেলা-উপজেলায় মিছিল-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকায় করা হবে বিশাল জনসভা। এছাড়া, আওয়ামী লীগের নিজস্ব দলীয় কর্মসূচির বাইরে জানুয়ারিতে ১৪ দলের শরিকরাও সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে। এ লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির বিরুদ্ধে তৃণমূলকে সংগঠিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে ১৪ দল। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে গত ১০ই ডিসেম্বর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ই জানুয়ারি থেকে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় সভা-সমাবেশ করবে ১৪ দল। এরই মধ্যে এর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে বলে জানান ১৪ দলের কয়েকজন নেতা। শুক্রবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত ১৪ দলের শরিক গণতন্ত্রী পার্টির সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, জানুয়ারি মাস থেকে ১৪ দল মাঠে নামবে। গ্রামেগঞ্জে ও রাজপথে থাকবে। তখন বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাদেরকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, বিগত ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ৩ মাস বাংলার মানুষ বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য-অত্যাচার দেখেছে। আর এক মুহূর্তের জন্যও এ ধরনের অত্যাচার করতে বিএনপি-জামায়াতকে রাজপথে নামতে দেয়া হবে না। সবখানেই ১৪ দলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকবে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা জানান, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত ও বিএনপি’র যুদ্ধাপরাধীদের একের পর এক বিচারের রায় এবং ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা ও নাশকতামূলক ঘটনায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। বিএনপি ও জামায়াতের এ সহিংস আন্দোলন মোকাবিলায় সরকারের কৌশলগত ব্যর্থতার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও ব্যর্থতা ছিল। কিন্তু এবার আর সে ভুল করতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। সরকার মনে করে ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনকে ঘিরে দেশ- বিদেশে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সরকার তা কাটিয়ে ওঠতে পেরেছে। সূত্র জানায়, রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি প্রশাসনিকভাবেও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সরকার। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের তালিকা ধরে প্রশাসনে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কোথাও রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হলে প্রশাসনিকভাবেই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপনের লক্ষ্যে আগামী ৫ই জানুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশে বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে মিছিল-সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালন করা হবে। গত ১১ই ডিসেম্বর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আয়োজিত যৌথসভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। গত ১৫ই ডিসেম্বর ধানমন্ডি কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জানুয়ারিতে বিএনপি-জামায়াত সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সজাগ ও প্রস্তুত থাকার জন্য দলীয় হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ই জানুয়ারির কর্মসূচির পর ১০ই জানুয়ারি ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’। এ উপলক্ষে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এই জনসভায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর লক্ষ্য রয়েছে আওয়ামী লীগের। সে জন্য আগাম প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। সূত্র জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, উপজেলা সম্মেলন শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে বেশির ভাগ সম্মেলন শেষ হয়ে যাবে। এইসব সম্মেলন শেষ করার পর তৃণমূল পর্যায়ে জনসভার কর্মসূচি নেয়া হতে পারে।
No comments