বরগুনায় দুই সাংসদের কাণ্ড!
বরগুনা-১ আসনের (সদর-আমতলী-তালতলী) সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সাংসদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
একই দিন বিকেলে বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান ওরফে রিমনের নির্দেশে একটি সালিসে এক গৃহবধূর মাথায় বিষ্ঠা ঢেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সাংসদ এই অভিযোগ স্বীকার করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চারজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বরগুনা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে গত রোববার দুপুরে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আগাম একটি মহড়ার আয়োজন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলার অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কক্ষ থেকে অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সেখানে উপস্থিত হন এবং হঠাৎ আবদুল মালেকের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে সাংসদ তাঁর (নির্বাহী প্রকৌশলী) জামার কলার ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় সাংসদ উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকেন, ‘লাঠি কোথায়? ওকে লাঠিপেটা করব।’ ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানে উপস্থিত জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হতভম্ব হয়ে যান। এরপর সাংসদ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ঢোকেন এবং প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মহড়ায় যোগ দেন। বিষয়টি সন্ধ্যায় জানাজানি হয়।
আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে সাংসদ আমাকে ফোন করে জেলার আমতলী উপজেলার সেকান্দারখালী এলাকায় বাঁধের গাছ কাটার কথা জানান। এরপর ১১টার দিকে পুনরায় সাংসদ ফোন করলে আমি তাঁকে বলি, ‘স্যার, সেখানে লোক পাঠিয়েছি, খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি। এ কথা বলার পরপরই সাংসদ কিছুটা রাগ হয়ে আমার ফোন রেখে দেন। পরে আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে আগাম মহড়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে যাই। সেখানে আমাকে তিনি কিল-ঘুষি মারেন।’
বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম গতকাল দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি। উনি (নির্বাহী প্রকৌশলী) আমাকে বলেছেন, এ ঘটনায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন।’
সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলী ঠিকাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সাড়ে ১৯ কিলোমিটার বাঁধের সবুজ বেষ্টনীর গাছ কেটে ফেলেছে, যার আর্থিক মূল্য ১০০ কোটি টাকা। আমি এ জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর সঙ্গে রাগারাগি করেছি, মারধর করিনি।’
এদিকে পাথরঘাটা উপজেলার গহরপুর গ্রামের এক গৃহবধূ দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় লোকজনকে মিথ্যা মামলা ও থানায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন এমন অভিযোগে রোববার বিকেলে সালিস বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে দোষী সাব্যস্ত করে স্থানীয় সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান ওই নারীকে জুতাপেটা করেন। একই সঙ্গে তাঁর মাথায় মানুষের বিষ্ঠা ঢেলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন পার্শ্ববর্তী শৌচাগার থেকে এক বালতি বিষ্ঠা এনে ওই নারীর মাথায় ঢেলে দেন।
সালিস বৈঠকে সাংসদ ছাড়াও উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন, পাথরঘাটা পৌরসভার নারী কাউন্সিলর ইয়াছিন আরা এবং পৌর কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক ও বাবুল মিস্ত্রি উপস্থিত ছিলেন।
সাংসদ বিষ্ঠা ঢালার কথা স্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই নারী অনেক মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। এর জন্য মারলে আমার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ আসতে পারে। তাই বিষ্ঠা ঢেলে দেওয়ার রায় দিয়েছি।’
একই দিন বিকেলে বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান ওরফে রিমনের নির্দেশে একটি সালিসে এক গৃহবধূর মাথায় বিষ্ঠা ঢেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সাংসদ এই অভিযোগ স্বীকার করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চারজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বরগুনা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে গত রোববার দুপুরে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আগাম একটি মহড়ার আয়োজন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলার অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কক্ষ থেকে অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সেখানে উপস্থিত হন এবং হঠাৎ আবদুল মালেকের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে সাংসদ তাঁর (নির্বাহী প্রকৌশলী) জামার কলার ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় সাংসদ উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকেন, ‘লাঠি কোথায়? ওকে লাঠিপেটা করব।’ ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানে উপস্থিত জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হতভম্ব হয়ে যান। এরপর সাংসদ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ঢোকেন এবং প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মহড়ায় যোগ দেন। বিষয়টি সন্ধ্যায় জানাজানি হয়।
আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে সাংসদ আমাকে ফোন করে জেলার আমতলী উপজেলার সেকান্দারখালী এলাকায় বাঁধের গাছ কাটার কথা জানান। এরপর ১১টার দিকে পুনরায় সাংসদ ফোন করলে আমি তাঁকে বলি, ‘স্যার, সেখানে লোক পাঠিয়েছি, খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি। এ কথা বলার পরপরই সাংসদ কিছুটা রাগ হয়ে আমার ফোন রেখে দেন। পরে আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে আগাম মহড়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে যাই। সেখানে আমাকে তিনি কিল-ঘুষি মারেন।’
বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম গতকাল দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি। উনি (নির্বাহী প্রকৌশলী) আমাকে বলেছেন, এ ঘটনায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন।’
সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলী ঠিকাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সাড়ে ১৯ কিলোমিটার বাঁধের সবুজ বেষ্টনীর গাছ কেটে ফেলেছে, যার আর্থিক মূল্য ১০০ কোটি টাকা। আমি এ জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর সঙ্গে রাগারাগি করেছি, মারধর করিনি।’
এদিকে পাথরঘাটা উপজেলার গহরপুর গ্রামের এক গৃহবধূ দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় লোকজনকে মিথ্যা মামলা ও থানায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন এমন অভিযোগে রোববার বিকেলে সালিস বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে দোষী সাব্যস্ত করে স্থানীয় সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান ওই নারীকে জুতাপেটা করেন। একই সঙ্গে তাঁর মাথায় মানুষের বিষ্ঠা ঢেলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন পার্শ্ববর্তী শৌচাগার থেকে এক বালতি বিষ্ঠা এনে ওই নারীর মাথায় ঢেলে দেন।
সালিস বৈঠকে সাংসদ ছাড়াও উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন, পাথরঘাটা পৌরসভার নারী কাউন্সিলর ইয়াছিন আরা এবং পৌর কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক ও বাবুল মিস্ত্রি উপস্থিত ছিলেন।
সাংসদ বিষ্ঠা ঢালার কথা স্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই নারী অনেক মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। এর জন্য মারলে আমার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ আসতে পারে। তাই বিষ্ঠা ঢেলে দেওয়ার রায় দিয়েছি।’
No comments