বাঁধ সংস্কারে গিয়ে কাটা হলো ৩৫০টি গাছ
(বরগুনার
আমতলী উপজেলার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার করতে গিয়ে বাঁধের দুই পাশের
৩৫০টি গাছ কেটে ফেলেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। ছবিটি গত রোববার
দুপুরে সেকান্দারখালী মুসল্লিবাড়ি এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো)
বরগুনার
আমতলী উপজেলায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার করতে গিয়ে বাঁধের দুই পাশের
কমপক্ষে সাড়ে ৩০০ গাছ কেটে ফেলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। অভিযোগ
পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গত রোববার বাঁধ সংস্কারকাজ
সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এদিকে এক মাস ধরে গাছ কাটা হলেও বন
বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর কিছুই জানে না বলে জানা গেছে।
উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বন বিভাগের
সঙ্গে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ করতে বলা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আমতলী উপজেলার দফাদারবাড়ি সেতু থেকে সুবন্ধী বাঁধ হয়ে সেকান্দারখালী পর্যন্ত আট কিলোমিটার বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান-প্রক্রিয়া শেষ হয়। বাঁধের দুই পাশের গাছগুলো কাটা অবস্থায় ফেলে রাখা আছে। কিছু জায়গায় শ্রমিকেরা কুড়াল দিয়ে গাছ কাটছেন। কেটে ফেলা গাছের মধ্যে রয়েছে শিশু, আকাশমণি, রেইনট্রি, বাবলা, মেহগনি ও চাম্বল।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯৯৯-২০০০ সালে সবুজবেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় বন বিভাগ ৪৩/১ নম্বর পোল্ডারের দফাদারবাড়ি সেতু থেকে সুবন্ধী বাঁধ হয়ে সেকান্দারখালী পর্যন্ত ১০ হাজার ফলদ ও বনজ চারা রোপণ করে। সরকারি চুক্তি অনুযায়ী, এসব গাছ ২০ বছর পর কাটার কথা। গত নভেম্বর মাসের শুরুতে পাউবো বাঁধটি মেরামতের কাজ শুরু করে। বাংলাদেশের মহিউদ্দিন বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এমবিইএল) ও ভারতের কলকাতার ভারতীয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এই কাজ করছে। পাউবোর আওতায় প্রকল্পটির কাজ পেয়েছে তারা। এর অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমবিইএলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক নুরুজ্জামান বলেন, ‘গাছ কেটে ফেলা ছাড়া সংস্কার সম্ভব না। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে কাজ করছি।’ আর পাউবোর বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক বলছেন, ‘আমরা গাছ কাটার কোনো নির্দেশনা দিইনি। কেউ গাছ কাটলে তার বিরুদ্ধে বন বিভাগ মামলা করতে পারে।’
আমতলী উপজেলার বন কর্মকর্তা সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমরা গাছ কাটার ব্যাপারে কিছুই জানি না।’ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দো বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো রকম প্রক্রিয়া ছাড়াই বাঁধের গাছ কেটে ফেলেছে। আমরা সেসব গাছ সংরক্ষণ করছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাউবোর এক প্রকৌশলী জানান, বাঁধের দুই পাশের এসব গাছ কেটে ফেলায় বাঁধের স্থায়িত্ব হুমকিতে পড়বে।
জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল হক জানান, গাছ কাটা বন্ধে আমতলীর ইউএনওকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউএনও ব্যবস্থা নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আমতলী উপজেলার দফাদারবাড়ি সেতু থেকে সুবন্ধী বাঁধ হয়ে সেকান্দারখালী পর্যন্ত আট কিলোমিটার বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান-প্রক্রিয়া শেষ হয়। বাঁধের দুই পাশের গাছগুলো কাটা অবস্থায় ফেলে রাখা আছে। কিছু জায়গায় শ্রমিকেরা কুড়াল দিয়ে গাছ কাটছেন। কেটে ফেলা গাছের মধ্যে রয়েছে শিশু, আকাশমণি, রেইনট্রি, বাবলা, মেহগনি ও চাম্বল।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯৯৯-২০০০ সালে সবুজবেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় বন বিভাগ ৪৩/১ নম্বর পোল্ডারের দফাদারবাড়ি সেতু থেকে সুবন্ধী বাঁধ হয়ে সেকান্দারখালী পর্যন্ত ১০ হাজার ফলদ ও বনজ চারা রোপণ করে। সরকারি চুক্তি অনুযায়ী, এসব গাছ ২০ বছর পর কাটার কথা। গত নভেম্বর মাসের শুরুতে পাউবো বাঁধটি মেরামতের কাজ শুরু করে। বাংলাদেশের মহিউদ্দিন বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এমবিইএল) ও ভারতের কলকাতার ভারতীয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এই কাজ করছে। পাউবোর আওতায় প্রকল্পটির কাজ পেয়েছে তারা। এর অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমবিইএলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক নুরুজ্জামান বলেন, ‘গাছ কেটে ফেলা ছাড়া সংস্কার সম্ভব না। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে কাজ করছি।’ আর পাউবোর বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক বলছেন, ‘আমরা গাছ কাটার কোনো নির্দেশনা দিইনি। কেউ গাছ কাটলে তার বিরুদ্ধে বন বিভাগ মামলা করতে পারে।’
আমতলী উপজেলার বন কর্মকর্তা সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমরা গাছ কাটার ব্যাপারে কিছুই জানি না।’ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দো বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো রকম প্রক্রিয়া ছাড়াই বাঁধের গাছ কেটে ফেলেছে। আমরা সেসব গাছ সংরক্ষণ করছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাউবোর এক প্রকৌশলী জানান, বাঁধের দুই পাশের এসব গাছ কেটে ফেলায় বাঁধের স্থায়িত্ব হুমকিতে পড়বে।
জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল হক জানান, গাছ কাটা বন্ধে আমতলীর ইউএনওকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউএনও ব্যবস্থা নিয়েছেন।
No comments