বরগুনায় এমপি শম্ভুর হাতে প্রকৌশলী লাঞ্ছিত
বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ
শম্ভু স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে মারধর করেছেন বলে
অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রশাসনের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সরকারি বেড়িবাঁধের প্রায় দেড় কোটি
টাকার গাছ টেন্ডার ছাড়া বিক্রির অভিযোগ এনে এমপি ওই প্রকৌশলীকে মারধর করেন
বলে জানা গেছে। তবে ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে
বলেছেন, তাকে বকাঝকা করেছি মাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে রোববার দুপুরে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আগাম মহড়ার আয়োজন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলার অন্য সরকারি-বেসরকারি বিভাগসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পাউবোর বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কক্ষে যাওয়ার সময় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সেখানে উপস্থিত হন এবং আকস্মিক তার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মালেকের জামার কলার ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকেন, লাঠি কোথায়? ওকে (নির্বাহী প্রকৌশলী) লাঠিপেটা করব। ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানে উপস্থিত জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হতভম্ব হয়ে যান। এরপর ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু জেলা প্রশাসকের কক্ষে ঢোকেন এবং প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মহড়ায় যোগ দেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রকৌশলী মালেক বলেন, রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে সংসদ সদস্য আমাকে ফোন করে জেলার আমতলী উপজেলায় সেকান্দারখালী এলাকায় বাঁধের গাছ কাটার কথা জানান। এরপর ১১টার দিকে পুনরায় ফোন করলে আমি তাকে বলি, স্যার সেখানে লোক পাঠিয়েছি খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি। একথা বলার পর পরই তিনি কিছুটা রাগান্বিত হয়ে আমার ফোন রেখে দেন। পরে আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর টেলি কনফারেন্স উপলক্ষে আগাম মহড়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাই। সেখানে আমাকে তিনি কিল-ঘুষি মারেন। আমি বিষয়টি পানিসম্পদমন্ত্রী, পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিশ্বব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।
আবদুল মালেক বলেন, বাঁধ সংস্কারের জন্য গাছ কাটা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ মামলা করতে পারে। এটাকে ইস্যু করে এমপি সাহেব আমাকে মারতে পারেন না। তিনি জানান, জেলায় সোয়া ২শ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে; এটার একটা হিস্যা পাবেন না; তা জেনেই জেলা প্রশাসক, এসপিসহ অনেক কর্মকর্তার সামনে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে এমপি শম্ভুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধভাবে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে বললেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি পাউবোর ওই প্রকৌশলী। যে কারণে তাকে সামন্য বকাঝকা করেছি। গায়ে হাত তোলার প্রশ্নই আসে না।
বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি জানান, জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সরকারি বেড়িবাঁধের ৮ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন জাতের গাছ টেন্ডার ছাড়াই প্রায় দেড় কোটি টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুু, আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম দেলোয়ার হোসেন ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বাঁধ পরিদর্শন করে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, আমতলী উপজেলার দফাদার ব্রিজ ও সেকান্দারখালীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতের নামে কয়েক হাজার গাছ টেন্ডার ছাড়াই কেটে নেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক জানান, আমরা গাছ কাটার কোনো নির্দেশ দেইনি। বন বিভাগ আমাদের ওপর দোষ চাপিয়েছে। যদি কেউ গাছ কেটে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বন বিভাগ মামলা করতে পারে। পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দে জানান, গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগ কিছু জানে না। যা কিছু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো রকম প্রক্রিয়া ছাড়াই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে ফেলেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে রোববার দুপুরে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আগাম মহড়ার আয়োজন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলার অন্য সরকারি-বেসরকারি বিভাগসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পাউবোর বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কক্ষে যাওয়ার সময় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সেখানে উপস্থিত হন এবং আকস্মিক তার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মালেকের জামার কলার ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকেন, লাঠি কোথায়? ওকে (নির্বাহী প্রকৌশলী) লাঠিপেটা করব। ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানে উপস্থিত জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হতভম্ব হয়ে যান। এরপর ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু জেলা প্রশাসকের কক্ষে ঢোকেন এবং প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মহড়ায় যোগ দেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রকৌশলী মালেক বলেন, রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে সংসদ সদস্য আমাকে ফোন করে জেলার আমতলী উপজেলায় সেকান্দারখালী এলাকায় বাঁধের গাছ কাটার কথা জানান। এরপর ১১টার দিকে পুনরায় ফোন করলে আমি তাকে বলি, স্যার সেখানে লোক পাঠিয়েছি খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি। একথা বলার পর পরই তিনি কিছুটা রাগান্বিত হয়ে আমার ফোন রেখে দেন। পরে আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর টেলি কনফারেন্স উপলক্ষে আগাম মহড়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাই। সেখানে আমাকে তিনি কিল-ঘুষি মারেন। আমি বিষয়টি পানিসম্পদমন্ত্রী, পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিশ্বব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।
আবদুল মালেক বলেন, বাঁধ সংস্কারের জন্য গাছ কাটা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ মামলা করতে পারে। এটাকে ইস্যু করে এমপি সাহেব আমাকে মারতে পারেন না। তিনি জানান, জেলায় সোয়া ২শ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে; এটার একটা হিস্যা পাবেন না; তা জেনেই জেলা প্রশাসক, এসপিসহ অনেক কর্মকর্তার সামনে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে এমপি শম্ভুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধভাবে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে বললেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি পাউবোর ওই প্রকৌশলী। যে কারণে তাকে সামন্য বকাঝকা করেছি। গায়ে হাত তোলার প্রশ্নই আসে না।
বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি জানান, জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সরকারি বেড়িবাঁধের ৮ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন জাতের গাছ টেন্ডার ছাড়াই প্রায় দেড় কোটি টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুু, আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম দেলোয়ার হোসেন ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বাঁধ পরিদর্শন করে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, আমতলী উপজেলার দফাদার ব্রিজ ও সেকান্দারখালীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতের নামে কয়েক হাজার গাছ টেন্ডার ছাড়াই কেটে নেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক জানান, আমরা গাছ কাটার কোনো নির্দেশ দেইনি। বন বিভাগ আমাদের ওপর দোষ চাপিয়েছে। যদি কেউ গাছ কেটে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বন বিভাগ মামলা করতে পারে। পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দে জানান, গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগ কিছু জানে না। যা কিছু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো রকম প্রক্রিয়া ছাড়াই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে ফেলেছে।
No comments