হোয়াইট হাউস গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি উ. কোরিয়ার
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস
গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের সনি হ্যাকিংয়ে
উত্তর কোরিয়াকে অভিযুক্ত করার পর মার্কিন সরকার এবং অন্যান্য আমেরিকান
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরও হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে এই দেশটি। সনি
পিকচার্সের চলচ্চিত্র দ্য ইন্টারভিউ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে একনায়কতান্ত্রিক
দেশের পক্ষ থেকে এই হুমকি এল। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএতে প্রকাশিত দাম্ভিকতাপূর্ণ এক বার্তায় কোরিয়ান কর্তৃপক্ষ তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, তারা হোয়াইট হাউসকে গুঁড়িয়ে দিতে প্রস্তুত।
দ্য ইন্টারভিউয়ে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের হত্যা ফিল্ম প্রদর্শন করায় ক্ষুব্ধ হয়েছে পিয়ংইয়ং। দেশটির সরকারের দাবি, এটি স্পষ্ট প্রমাণ যে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের আক্রমণ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দ্য ইন্টারভিউ একটি প্রপাগান্ডা।
যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদের নর্দমা উল্লেখ করে কমিউনিস্ট একনায়কতন্ত্র হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের নাম উল্লেখ করে বলেন, এটি ইতিমধ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের দুর্গে পরিণত হয়েছে। কোরিয়ান ভাষায় তাদের এই বার্তায় বলা হয়, উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যে কঠোর পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। এই পাল্টা আক্রমণের লক্ষ্য হচ্ছে শুধু একটি মুভি প্রোডাকশন কোম্পানি নয়। আমাদের লক্ষ্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের সব দুর্গ, যা সব কোরিয়ানদের চরম ঘৃণার বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, মার্কিনিদের এই দুর্গ ধ্বংস করতে সাইবার যুদ্ধসহ সব ধরনের যুদ্ধ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী ও উত্তর কোরিয়ার জনগণ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।এই মারমুখো ভাষা সত্ত্বেও, রাষ্ট্রটি অব্যাহতভাবে অস্বীকার করছে যে, সনির মূল হ্যাকের সঙ্গে আরও কিছু করা হয়েছে। দেশটি নিজেদের শান্তির অভিভাবক বলে দাবি কর আসছে।
প্রযুক্তির ভুবনে বিখ্যাত নাম সনি। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির দাবি অনুযায়ী, কিছুদিন আগে হ্যাকাররা সনির শীর্ষ কর্মকর্তাসহ কর্মীদের তথ্য সংগ্রহ ছাড়াও চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যসহ অনেককিছু চুরি করেছে। আর এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত সনির প্রায় সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে জানায় যে, উত্তর কোরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে সনি দ্য ইন্টারভিউ নামে একটি বিদ্রুপাত্মক চলচ্চিত্র নির্মাণের করার কারণে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা সনির সাইট হ্যাক করতে পারে। যদিও উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।
তবে হ্যাকিংয়ের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার জড়িত কিনা এই বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই মার্কিন প্রশাসন থেকে জানানো হয় যে, হ্যাকিংয়ের পেছনে উত্তর কোরিয়ার সরকারের হাত রয়েছে। পাশাপাশি সনি কোম্পানিকে প্রয়োজনে সব রকমের সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। আর এতেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা কমিটি। হ্যাকিং বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নাক গলালে উত্তর কোরিয়া সোজা হোয়াইট হাউসে হামলা চালাবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
এদিকে, চলতি মাসের ২৫ তারিখ দ্য ইন্টারভিউ চলচ্চিত্রটি বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও তা থেকে সরে এসেছে সনি পিকচার্স। আর সনির এই সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে দ্য ইন্টারভিউ অন্য কোনোভাবে মুক্তি দেয়া যায় কিনা সেটা সনি ভেবে দেখছে বলেও জানা গেছে। হ্যাকারদের হুমকি অনুযায়ী এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিলে সনি পিকচার্সের অন্য চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য এবং আনুষঙ্গিক তথ্যাদি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। জেমস বন্ড সিরিজের পরবর্তী চলচ্চিত্রটিও সনি পিকচার্সের ব্যানার থেকেই বের হওয়ার কথা এবং এই চলচ্চিত্রটিরও চিত্রনাট্য হ্যাকারদের হাতে।
সাইবার হামলা যুদ্ধ নয় : ওবামা
উত্তর কোরিয়ার সাইবার হামলাকে যুদ্ধ না বলে সাইবার ধ্বংসযজ্ঞ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। দেশটির সনি কোম্পানির ওয়েবসাইটে উত্তর কোরিয়ার সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠার পর বারাক ওবামা একথা বললেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ওবামা এ কথা বলেন। রোববার সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করা হয়। ওবামা বলেন, উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসবাদে মদদদানকারী দেশের তালিকায় রাখার বিষয়টি বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সাইবার হামলার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, হ্যাকিং একটা ব্যয়বহুল বিষয়। মার্কিন কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে দেখবেন উত্তর কোরিয়া সন্ত্রাসবাদে মদদ দিয়েছে কিনা। এর ফলাফল পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএতে প্রকাশিত দাম্ভিকতাপূর্ণ এক বার্তায় কোরিয়ান কর্তৃপক্ষ তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, তারা হোয়াইট হাউসকে গুঁড়িয়ে দিতে প্রস্তুত।
দ্য ইন্টারভিউয়ে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের হত্যা ফিল্ম প্রদর্শন করায় ক্ষুব্ধ হয়েছে পিয়ংইয়ং। দেশটির সরকারের দাবি, এটি স্পষ্ট প্রমাণ যে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের আক্রমণ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দ্য ইন্টারভিউ একটি প্রপাগান্ডা।
যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদের নর্দমা উল্লেখ করে কমিউনিস্ট একনায়কতন্ত্র হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের নাম উল্লেখ করে বলেন, এটি ইতিমধ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের দুর্গে পরিণত হয়েছে। কোরিয়ান ভাষায় তাদের এই বার্তায় বলা হয়, উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যে কঠোর পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। এই পাল্টা আক্রমণের লক্ষ্য হচ্ছে শুধু একটি মুভি প্রোডাকশন কোম্পানি নয়। আমাদের লক্ষ্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের সব দুর্গ, যা সব কোরিয়ানদের চরম ঘৃণার বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, মার্কিনিদের এই দুর্গ ধ্বংস করতে সাইবার যুদ্ধসহ সব ধরনের যুদ্ধ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী ও উত্তর কোরিয়ার জনগণ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।এই মারমুখো ভাষা সত্ত্বেও, রাষ্ট্রটি অব্যাহতভাবে অস্বীকার করছে যে, সনির মূল হ্যাকের সঙ্গে আরও কিছু করা হয়েছে। দেশটি নিজেদের শান্তির অভিভাবক বলে দাবি কর আসছে।
প্রযুক্তির ভুবনে বিখ্যাত নাম সনি। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির দাবি অনুযায়ী, কিছুদিন আগে হ্যাকাররা সনির শীর্ষ কর্মকর্তাসহ কর্মীদের তথ্য সংগ্রহ ছাড়াও চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যসহ অনেককিছু চুরি করেছে। আর এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত সনির প্রায় সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে জানায় যে, উত্তর কোরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে সনি দ্য ইন্টারভিউ নামে একটি বিদ্রুপাত্মক চলচ্চিত্র নির্মাণের করার কারণে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা সনির সাইট হ্যাক করতে পারে। যদিও উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।
তবে হ্যাকিংয়ের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার জড়িত কিনা এই বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই মার্কিন প্রশাসন থেকে জানানো হয় যে, হ্যাকিংয়ের পেছনে উত্তর কোরিয়ার সরকারের হাত রয়েছে। পাশাপাশি সনি কোম্পানিকে প্রয়োজনে সব রকমের সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। আর এতেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা কমিটি। হ্যাকিং বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নাক গলালে উত্তর কোরিয়া সোজা হোয়াইট হাউসে হামলা চালাবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
এদিকে, চলতি মাসের ২৫ তারিখ দ্য ইন্টারভিউ চলচ্চিত্রটি বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও তা থেকে সরে এসেছে সনি পিকচার্স। আর সনির এই সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে দ্য ইন্টারভিউ অন্য কোনোভাবে মুক্তি দেয়া যায় কিনা সেটা সনি ভেবে দেখছে বলেও জানা গেছে। হ্যাকারদের হুমকি অনুযায়ী এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিলে সনি পিকচার্সের অন্য চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য এবং আনুষঙ্গিক তথ্যাদি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। জেমস বন্ড সিরিজের পরবর্তী চলচ্চিত্রটিও সনি পিকচার্সের ব্যানার থেকেই বের হওয়ার কথা এবং এই চলচ্চিত্রটিরও চিত্রনাট্য হ্যাকারদের হাতে।
সাইবার হামলা যুদ্ধ নয় : ওবামা
উত্তর কোরিয়ার সাইবার হামলাকে যুদ্ধ না বলে সাইবার ধ্বংসযজ্ঞ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। দেশটির সনি কোম্পানির ওয়েবসাইটে উত্তর কোরিয়ার সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠার পর বারাক ওবামা একথা বললেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ওবামা এ কথা বলেন। রোববার সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করা হয়। ওবামা বলেন, উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসবাদে মদদদানকারী দেশের তালিকায় রাখার বিষয়টি বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সাইবার হামলার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, হ্যাকিং একটা ব্যয়বহুল বিষয়। মার্কিন কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে দেখবেন উত্তর কোরিয়া সন্ত্রাসবাদে মদদ দিয়েছে কিনা। এর ফলাফল পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
No comments