ছাত্রলীগ মারলে বিচার নয়, সমঝোতা
জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ও আলবিরুনি হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের
ছাত্রলীগ মারধর করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি হল প্রশাসন। মীর মশাররফ হোসেন
হলে মারধরের শিকার শিক্ষার্থীকে ডেকে সমঝোতার কথা বলেছে হল প্রশাসন। গত
রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবিরুনি হলের আবাসিক
শিক্ষার্থী ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ছাত্র মো. আবদুল আলীমকে মারধর করেন
হলের ছাত্রলীগ কর্মী অমিতাভ সাহা। হলের আবাসিক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান,
আবদুল আলীম ও তাঁর তিন বন্ধু হলের ৪৩০ নম্বর কক্ষে থাকেন। কিন্তু ছাত্রলীগ
কর্মী অমিতাভ সাহা ওই কক্ষে থাকতে চান। কয়েক দিন ধরে অমিতাভ আলীম ও তাঁর
বন্ধুদের ওই কক্ষ ছেড়ে নিচতলার একটি কক্ষে চলে আসতে বলছিলেন। এতে
অস্বীকৃতি জানানোয় রোববার রাতে আলীমকে তাঁর কক্ষের সামনে মারধর করেন
অমিতাভ।
আবদুল আলীম বলেন, ‘অমিতাভ রাতে এসে আমাকে ডাকে। আমি বাইরে এলেই আমাকে মারধর শুরু করে।’ অমিতাভের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি হল প্রশাসন। জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ এ কে এম জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনা শুনেই আমি তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। এ বিষয়ে কী করা যায় তা নিয়ে আমার সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করব।’
বুধবার মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র ও জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেনকে মারধর করেন ওই হলের ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মী। ঘটনার পরদিন দুপুরে হলের প্রাধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বিষয়টির সমঝোতা করতে আলমগীরকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ক্ষমা করে দিতে বলেন। এতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিচার দাবি করেন আলমগীর। ওই দিন সন্ধ্যায় আবারও আলমগীর ও ছাত্রলীগ কর্মীদের ডাকে হল প্রশাসন। এ সময় হলের প্রাধ্যক্ষ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীদের বহিষ্কারের আশ্বাস দেন। কিন্তু এর পর চার দিন পার হয়ে গেলেও এ-সংক্রান্ত কোনো প্রশাসনিক আদেশ জারি হয়নি।
জানতে চাইলে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হলের প্রাধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘বিচার করেছি। কিন্তু হলের স্বার্থে তা গোপন রাখা হয়েছে।’
আবদুল আলীম বলেন, ‘অমিতাভ রাতে এসে আমাকে ডাকে। আমি বাইরে এলেই আমাকে মারধর শুরু করে।’ অমিতাভের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি হল প্রশাসন। জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ এ কে এম জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনা শুনেই আমি তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। এ বিষয়ে কী করা যায় তা নিয়ে আমার সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করব।’
বুধবার মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র ও জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেনকে মারধর করেন ওই হলের ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মী। ঘটনার পরদিন দুপুরে হলের প্রাধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বিষয়টির সমঝোতা করতে আলমগীরকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ক্ষমা করে দিতে বলেন। এতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিচার দাবি করেন আলমগীর। ওই দিন সন্ধ্যায় আবারও আলমগীর ও ছাত্রলীগ কর্মীদের ডাকে হল প্রশাসন। এ সময় হলের প্রাধ্যক্ষ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীদের বহিষ্কারের আশ্বাস দেন। কিন্তু এর পর চার দিন পার হয়ে গেলেও এ-সংক্রান্ত কোনো প্রশাসনিক আদেশ জারি হয়নি।
জানতে চাইলে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হলের প্রাধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘বিচার করেছি। কিন্তু হলের স্বার্থে তা গোপন রাখা হয়েছে।’
No comments