সরকারি ২৬ পাটকল বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় by আবুল হাসনাত
বাংলাদেশ
পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) টাকার অভাবে চলতি মৌসুমে ঠিকমতো পাট কিনতে
পারেনি। এ কারণে আগামী দুই মাসের মধ্যে সরকারি ২৬টি পাটকলে উৎপাদন বন্ধ
হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে খোদ রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি। দেশে এখন ২৬টি সরকারি
পাটকল আছে। বিজেএমসির তত্ত্বাবধানে এসব পাটকল পরিচালিত হয়। পাটকলগুলোতে
প্রতিদিন প্রায় ৭০০ টন পাটজাত পণ্য উৎপাদিত হয়। সব মিলিয়ে কাজ করেন ৮০
হাজার শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তা। তাঁদের বেতন পরিশোধে প্রতি মাসে
বিজেএমসির ব্যয় হয় ৬০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বিজেএমসির চেয়ারম্যান হুমায়ূন খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় এবার আমরা খুবই কম পাট কিনতে পেরেছি। আমাদের পাটকলগুলোতে এখন গড়ে ২০-২৫ দিনের উৎপাদন চালানোর মতো পাট মজুত আছে। এরপর কী হবে আমি জানি না।’ তখন িক তাহলে পাটকল বন্ধ হয়ে যাবে? জানতে তাইলে তাঁর জবাব, ‘তা-ই তো হবে।’
জুলাই থেকে অক্টোবর হচ্ছে পাট কেনার মৌসুম। তবে পাটকলগুলো নভেম্বর পর্যন্ত পাট কিনে থাকে। এ সময়ের মধ্যেই মৌসুমে উৎপাদিত পাটের বড় একটি অংশ কেনা হয়ে যায়। নভেম্বরের পর খুবই সীমিত পরিসরে পাট কেনাবেচা হয়ে থাকে। বিজেএমসি সূত্র বলছে, চলতি ২০১৪-১৫ মৌসুমে ২৬ লাখ কুইন্টাল (১০০ কেজিতে এক কুইন্টাল) পাট কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল বিজেএমসি। তবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংস্থাটি পাট কিনতে পেরেছে প্রায় পাঁচ লাখ কুইন্টাল, যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১৮ শতাংশ। এখন সীমিত পরিসরে কিছু পাট কেনা হচ্ছে। তবে যেভাবে চলছে, তাতে সব মিলিয়ে কোনোভাবেই লক্ষ্য-মাত্রার ২৫ শতাংশের বেশি পাট কেনা সম্ভব হবে না।
গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিজেএমসি ২৪ লাখ ৩৯ হাজার কুইন্টাল পাট কেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল। শেষ পর্যন্ত কেনা হয় ১৬ লাখ কুইন্টাল পাট। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ কুইন্টাল পাট কিনতে পারলেও গত বছর এ সময়ে বিজেএমসি পাট কিনেছিল এর দ্বিগুণের বেশি, প্রায় ১২ লাখ কুইন্টাল। বিজেএমসি বলছে, পর্যাপ্ত অর্থের অভাবেই সংস্থাটি এবার চাহিদা অনুযায়ী পাট কিনতে পারেনি। এ কারণে এই মৌসুমের পাট যেন ঠিকমতো কেনা যায়, সে জন্য সংস্থাটি ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে গত জুনে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় তিন দফায় বরাদ্দ দিয়েছে ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রোজার ঈদের আগে ১০০ কোটি এবং কোরবানির ঈদের আগে-পরে ৫০ কোটি করে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই অর্থের একটি বড় অংশই আবার শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধেই ব্যয় হয়ে গেছে।
বিজেএমসি বলছে, পাট ওঠার পর এর দাম কিছুটা কম ছিল। গত জুলাইতে সংস্থাটি প্রতি মণ পাট ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকায় কিনেছে। কিন্তু সে সময় টাকা না থাকায় বিজেএমসি যথেষ্ট পরিমাণে পাট কিনতে পারেনি। পরে পাটের দাম বেড়ে যায়। প্রতি মণ পাটের দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। ফলে বেশি দামে সংস্থাটিকে পাট কিনতে হয়েছে।
বিজেএমসির চেয়ারম্যান হুমায়ূন খালেদ বলেন, ‘বেশি দামে পাট কিনতে হচ্ছে বলে আমরা বেশি পাট কিনতে পারিনি, আবার আমাদের বেশ লোকসানও হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে যদি চার মাস আগে আমরা টাকা পেতাম এবং আরেকটু বেশি পেতাম, তাহলে এত দিনে লক্ষ্যমাত্রার অন্তত ৫০-৬০ শতাংশ পাট কেনা হয়ে যেত।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এই অর্থবছরের বাজেটে বিজেএমসির জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা ছিল, তা তাদের দেওয়া হয়েছে। এর বেশি অর্থ দেওয়া সম্ভব নয়।
এ বছর বিজেএমসি একদিকে যেমন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাট কিনতে পারেনি, তেমনি এবার পাটকলগুলোতে উৎপাদনও শুরু হয়েছে আগের বছরের কম মজুত পাট নিয়ে। বিজেএমসি সূত্র বলছে, আগের বছরের তিন লাখ ৪১ হাজার কুইন্টাল মজুত পাট নিয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের উৎপাদন শুরু করেছিল বিজেএমসির আওতাধীন সরকারি পাটগুলো। কিন্তু এ বছর উৎপাদন শুরু হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার কুইন্টাল মজুত পাট নিয়ে। আর এ বছর পাট কিনতে না পারায় সরকারি পাটকলগুলোতে কত দিন উৎপাদন চলবে, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিজেএমসি সূত্র বলছে, বড় পাটকলগুলোতে ১২ থেকে ১৮ দিনের উৎপাদন চালানোর মতো পাট মজুত আছে। অবশ্য এসব পাটকলের উৎপাদন ক্ষমতাও বেশি। তবে কম উৎপাদনক্ষম ছোট পাটকলগুলোতে মজুত পাট দিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ দিন পর্যন্ত উৎপাদন চালিয়ে নেওয়া যাবে। খুলনার খালিশপুরের ক্রিসেন্ট জুট মিলসে মজুত আছে মাত্র ১২ দিনের উৎপাদন চালানোর মতো পাট। চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলিতে বাগদাদ-ঢাকা কার্পেট ফ্যাক্টরিতে (বিডিসিএফ) ৪৯ দিনের উৎপাদন চালানোর মতো পাট মজুত আছে। ক্রিসেন্ট জুট মিলসে হেসিয়ান, পাটের বস্তা, কার্পেট ব্যাকিং ক্লথ (সিবিসি) মিলিয়ে প্রতি মাসে দুই হাজার ২২০ টন পণ্য উৎপাদিত হয়। বিডিসিএফে মাসে ১১০ টন পাটের সুতা উৎপাদিত হয়।
পাটের সুতা (জুট স্পিন) ছাড়া কাঁচা পাট ও অন্যান্য পাটজাত পণ্যের রপ্তানি দুই বছর ধরেই কমছে। আবার আইন করে সরকার পাটের বস্তা ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেও দেশে বস্তার ব্যবহার বাড়াতে পারেনি। রপ্তানি কমে যাওয়া এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধি না হওয়ার প্রভাবে বিজেএমসি আওতাধীন পাটকলগুলোতে পণ্যের স্তূপ জমে গেছে। এসব কারণে লোকসান গুনছে সংস্থাটি। আরও রয়েছে মিল পরিচালনায় অব্যস্থাপনা ও অদক্ষতা।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৪ অনুযায়ী, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিজেএমসি লোকসান দিয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। আর এর আগের বছর প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের পরিমাণ ছিল ৩৮৪ কোটি টাকা। আর এ লোকসান কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে গত অর্থবছর প্রতিষ্ঠানটিকে সরকার ভর্তুকি দিয়েছে ৯৬ কোটি টাকা। আগের বছরের ভর্তুকি পরিমাণ ছিল ১৩৮ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বিজেএমসির চেয়ারম্যান হুমায়ূন খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় এবার আমরা খুবই কম পাট কিনতে পেরেছি। আমাদের পাটকলগুলোতে এখন গড়ে ২০-২৫ দিনের উৎপাদন চালানোর মতো পাট মজুত আছে। এরপর কী হবে আমি জানি না।’ তখন িক তাহলে পাটকল বন্ধ হয়ে যাবে? জানতে তাইলে তাঁর জবাব, ‘তা-ই তো হবে।’
জুলাই থেকে অক্টোবর হচ্ছে পাট কেনার মৌসুম। তবে পাটকলগুলো নভেম্বর পর্যন্ত পাট কিনে থাকে। এ সময়ের মধ্যেই মৌসুমে উৎপাদিত পাটের বড় একটি অংশ কেনা হয়ে যায়। নভেম্বরের পর খুবই সীমিত পরিসরে পাট কেনাবেচা হয়ে থাকে। বিজেএমসি সূত্র বলছে, চলতি ২০১৪-১৫ মৌসুমে ২৬ লাখ কুইন্টাল (১০০ কেজিতে এক কুইন্টাল) পাট কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল বিজেএমসি। তবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংস্থাটি পাট কিনতে পেরেছে প্রায় পাঁচ লাখ কুইন্টাল, যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১৮ শতাংশ। এখন সীমিত পরিসরে কিছু পাট কেনা হচ্ছে। তবে যেভাবে চলছে, তাতে সব মিলিয়ে কোনোভাবেই লক্ষ্য-মাত্রার ২৫ শতাংশের বেশি পাট কেনা সম্ভব হবে না।
গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিজেএমসি ২৪ লাখ ৩৯ হাজার কুইন্টাল পাট কেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল। শেষ পর্যন্ত কেনা হয় ১৬ লাখ কুইন্টাল পাট। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ কুইন্টাল পাট কিনতে পারলেও গত বছর এ সময়ে বিজেএমসি পাট কিনেছিল এর দ্বিগুণের বেশি, প্রায় ১২ লাখ কুইন্টাল। বিজেএমসি বলছে, পর্যাপ্ত অর্থের অভাবেই সংস্থাটি এবার চাহিদা অনুযায়ী পাট কিনতে পারেনি। এ কারণে এই মৌসুমের পাট যেন ঠিকমতো কেনা যায়, সে জন্য সংস্থাটি ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে গত জুনে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় তিন দফায় বরাদ্দ দিয়েছে ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রোজার ঈদের আগে ১০০ কোটি এবং কোরবানির ঈদের আগে-পরে ৫০ কোটি করে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই অর্থের একটি বড় অংশই আবার শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধেই ব্যয় হয়ে গেছে।
বিজেএমসি বলছে, পাট ওঠার পর এর দাম কিছুটা কম ছিল। গত জুলাইতে সংস্থাটি প্রতি মণ পাট ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকায় কিনেছে। কিন্তু সে সময় টাকা না থাকায় বিজেএমসি যথেষ্ট পরিমাণে পাট কিনতে পারেনি। পরে পাটের দাম বেড়ে যায়। প্রতি মণ পাটের দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। ফলে বেশি দামে সংস্থাটিকে পাট কিনতে হয়েছে।
বিজেএমসির চেয়ারম্যান হুমায়ূন খালেদ বলেন, ‘বেশি দামে পাট কিনতে হচ্ছে বলে আমরা বেশি পাট কিনতে পারিনি, আবার আমাদের বেশ লোকসানও হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে যদি চার মাস আগে আমরা টাকা পেতাম এবং আরেকটু বেশি পেতাম, তাহলে এত দিনে লক্ষ্যমাত্রার অন্তত ৫০-৬০ শতাংশ পাট কেনা হয়ে যেত।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এই অর্থবছরের বাজেটে বিজেএমসির জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা ছিল, তা তাদের দেওয়া হয়েছে। এর বেশি অর্থ দেওয়া সম্ভব নয়।
এ বছর বিজেএমসি একদিকে যেমন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাট কিনতে পারেনি, তেমনি এবার পাটকলগুলোতে উৎপাদনও শুরু হয়েছে আগের বছরের কম মজুত পাট নিয়ে। বিজেএমসি সূত্র বলছে, আগের বছরের তিন লাখ ৪১ হাজার কুইন্টাল মজুত পাট নিয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের উৎপাদন শুরু করেছিল বিজেএমসির আওতাধীন সরকারি পাটগুলো। কিন্তু এ বছর উৎপাদন শুরু হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার কুইন্টাল মজুত পাট নিয়ে। আর এ বছর পাট কিনতে না পারায় সরকারি পাটকলগুলোতে কত দিন উৎপাদন চলবে, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিজেএমসি সূত্র বলছে, বড় পাটকলগুলোতে ১২ থেকে ১৮ দিনের উৎপাদন চালানোর মতো পাট মজুত আছে। অবশ্য এসব পাটকলের উৎপাদন ক্ষমতাও বেশি। তবে কম উৎপাদনক্ষম ছোট পাটকলগুলোতে মজুত পাট দিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ দিন পর্যন্ত উৎপাদন চালিয়ে নেওয়া যাবে। খুলনার খালিশপুরের ক্রিসেন্ট জুট মিলসে মজুত আছে মাত্র ১২ দিনের উৎপাদন চালানোর মতো পাট। চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলিতে বাগদাদ-ঢাকা কার্পেট ফ্যাক্টরিতে (বিডিসিএফ) ৪৯ দিনের উৎপাদন চালানোর মতো পাট মজুত আছে। ক্রিসেন্ট জুট মিলসে হেসিয়ান, পাটের বস্তা, কার্পেট ব্যাকিং ক্লথ (সিবিসি) মিলিয়ে প্রতি মাসে দুই হাজার ২২০ টন পণ্য উৎপাদিত হয়। বিডিসিএফে মাসে ১১০ টন পাটের সুতা উৎপাদিত হয়।
পাটের সুতা (জুট স্পিন) ছাড়া কাঁচা পাট ও অন্যান্য পাটজাত পণ্যের রপ্তানি দুই বছর ধরেই কমছে। আবার আইন করে সরকার পাটের বস্তা ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেও দেশে বস্তার ব্যবহার বাড়াতে পারেনি। রপ্তানি কমে যাওয়া এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধি না হওয়ার প্রভাবে বিজেএমসি আওতাধীন পাটকলগুলোতে পণ্যের স্তূপ জমে গেছে। এসব কারণে লোকসান গুনছে সংস্থাটি। আরও রয়েছে মিল পরিচালনায় অব্যস্থাপনা ও অদক্ষতা।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৪ অনুযায়ী, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিজেএমসি লোকসান দিয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। আর এর আগের বছর প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের পরিমাণ ছিল ৩৮৪ কোটি টাকা। আর এ লোকসান কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে গত অর্থবছর প্রতিষ্ঠানটিকে সরকার ভর্তুকি দিয়েছে ৯৬ কোটি টাকা। আগের বছরের ভর্তুকি পরিমাণ ছিল ১৩৮ কোটি টাকা।
No comments