বিশ্বের রহস্যময় ১০ বিমান দুর্ঘটনা
চলতি বছরে কয়েকটি বিমান নিখোঁজ আর
বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছে মালয়েশিয়ার একের পর এক
বিমান দুর্ঘটনা। যাত্রীবাহী বিমান হারিয়ে যাওয়ার নিয়তি এই প্রথম নয়। এর
আগেও বিমান নিখোঁজের অনেক রহস্যময় ঘটনা ঘটেছে।
১. এ বছরের ৮ মার্চ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ এর এমএইচ-৩৭০ ফ্লাইটটি ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক সময়ের মধ্যে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। আজও বিমানটি হদিস মেলেনি।
২. ২০০৯ সালে ২৮৮ জন আরোহী নিয়ে ব্রাজিলের রিওডি জেনেরিও থেকে ফ্রান্সের প্যারিসের উদ্দেশে যাওয়ার পথে আটলান্টিকের বুকে হারিয়ে যায় এয়ার ফ্রেন্স ফ্লাইট-৪৪৭। আটলান্টিকের বুক থেকে পরে যাত্রীদের ৫০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবশেষে ২০১১ সালে বিমানের ব্ল্যাক বক্স রেকর্ডারটির সন্ধান পাওয়া যায়।
৩. মিসরের এয়ার ফ্লাইট-৯৯০ এর বিমানটি মনে হয় ইচ্ছা করেই ধ্বংস করে পাইলট। দুই পাইলটের রেষারেষিতে জীবন দিতে হয় ২১৭ জন যাত্রীর সবাইকে। ১৯৯৯ সালের ৩১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে মিসরের রাজধানী কায়রোর উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি।
৪. ফ্লাইট ৫৭১ উরুগুয়ের এই বিমানটি ধ্বংস হয় ১৯৯৩ সালে আন্দিজ পর্বতমালায়। জন্ম দেয় গা-শিউরে ওঠা এক ইতিহাসের। বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে ৪৫ জন আরোহীর মধ্যে ১৬ জন বেঁচে যায়। ৭২ দিন থাকতে হয়েছে ওই পর্বতে। অবশেষে চিলির এক নাগরিক তাদের উদ্ধার করেন।
৫. ১৯৮৮ সালে ইরানের এয়ার ফ্লাইট-৬৫৫ ২৯০ আরোহী নিয়ে তেহরান থেকে দুবাই যাচ্ছিল। বিমানটি সোভিয়েত ইউনিয়নের যুদ্ধবিমান ভেবে পারস্য উপসাগরে অবস্থিত মার্কিন নৌবাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিমানের আরোহীদের সবাই নিহত হয়।
৬. বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এক রহস্যপুরীর নাম। কথিত আছে, এর আশপাশ দিয়ে জাহাজ বা বিমান গেলে তা আর খুঁজেই পাওয়া যায় না। ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বরের বিকালে ৫টি বিমান গায়েব হয়ে যায় ওই একই স্থান থেকে। তারপর থেকে শুরু হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল লৌকিক উপাখ্যান।
৭. যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ১৯৭৯ সালে। শিকাগোর এক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সবেমাত্র বিমানটি উড়েছে ফ্লাইট-১৯১। কয়েক মিনিটের মাথায় বিমানবন্দরেই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। মৃত্যুবরণ করেন ২৫৮ জন যাত্রী ও ১৩ জন ক্রুর সবাই।
৮. স্টার এরিয়াল। ব্রিটিশ সাউথ আমেরিকান এয়ারওয়েজের (বিএসএএ) একটি বিমান। ১৯৪৯ সালের ১৭ জানুয়ারি হারিয়ে যায় এটি। স্থান সেই রহস্যপুরী বারমুডা ট্রায়াঙ্গল।
৯. ১৯৪৭ সালের ২ আগস্ট আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্স থেকে চিলির সান্তিয়াগো যাওয়ার পথে আন্দিজ পর্বতমালায় হারিয়ে যায় ব্রিটিশ সাউথ আমেরিকান এয়ারওয়েজের (বিএসএএ) স্টার ডাস্ট নামের বিমানটি। ৫০ বছর পর দেখা মিললো এর ধ্বংসাবশেষের। দুই আর্জেন্টেনিয়ান পর্বতারোহী বিমানটির ইঞ্জিনের ধ্বংসাবশেষ এবং কাপড়ের ফালি উদ্ধার করে।
১০. গিলেন মিলার ছিলেন একজন বিখ্যাত ব্যান্ড শিল্পী। ১৯৪৪-এর বসন্তে ইউএস আর্মি এয়ারফোর্সের ব্যান্ড দলের সঙ্গে এক সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অসাধারণ পার্মফরমেন্স উপহার দেন। পরে বিমানে করে রওনা দিয়েছিলেন প্যারিসের উদ্দেশে। কিন্তু ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার সময় বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যায়।
১. এ বছরের ৮ মার্চ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ এর এমএইচ-৩৭০ ফ্লাইটটি ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক সময়ের মধ্যে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। আজও বিমানটি হদিস মেলেনি।
২. ২০০৯ সালে ২৮৮ জন আরোহী নিয়ে ব্রাজিলের রিওডি জেনেরিও থেকে ফ্রান্সের প্যারিসের উদ্দেশে যাওয়ার পথে আটলান্টিকের বুকে হারিয়ে যায় এয়ার ফ্রেন্স ফ্লাইট-৪৪৭। আটলান্টিকের বুক থেকে পরে যাত্রীদের ৫০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবশেষে ২০১১ সালে বিমানের ব্ল্যাক বক্স রেকর্ডারটির সন্ধান পাওয়া যায়।
৩. মিসরের এয়ার ফ্লাইট-৯৯০ এর বিমানটি মনে হয় ইচ্ছা করেই ধ্বংস করে পাইলট। দুই পাইলটের রেষারেষিতে জীবন দিতে হয় ২১৭ জন যাত্রীর সবাইকে। ১৯৯৯ সালের ৩১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে মিসরের রাজধানী কায়রোর উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি।
৪. ফ্লাইট ৫৭১ উরুগুয়ের এই বিমানটি ধ্বংস হয় ১৯৯৩ সালে আন্দিজ পর্বতমালায়। জন্ম দেয় গা-শিউরে ওঠা এক ইতিহাসের। বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে ৪৫ জন আরোহীর মধ্যে ১৬ জন বেঁচে যায়। ৭২ দিন থাকতে হয়েছে ওই পর্বতে। অবশেষে চিলির এক নাগরিক তাদের উদ্ধার করেন।
৫. ১৯৮৮ সালে ইরানের এয়ার ফ্লাইট-৬৫৫ ২৯০ আরোহী নিয়ে তেহরান থেকে দুবাই যাচ্ছিল। বিমানটি সোভিয়েত ইউনিয়নের যুদ্ধবিমান ভেবে পারস্য উপসাগরে অবস্থিত মার্কিন নৌবাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিমানের আরোহীদের সবাই নিহত হয়।
৬. বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এক রহস্যপুরীর নাম। কথিত আছে, এর আশপাশ দিয়ে জাহাজ বা বিমান গেলে তা আর খুঁজেই পাওয়া যায় না। ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বরের বিকালে ৫টি বিমান গায়েব হয়ে যায় ওই একই স্থান থেকে। তারপর থেকে শুরু হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল লৌকিক উপাখ্যান।
৭. যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ১৯৭৯ সালে। শিকাগোর এক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সবেমাত্র বিমানটি উড়েছে ফ্লাইট-১৯১। কয়েক মিনিটের মাথায় বিমানবন্দরেই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। মৃত্যুবরণ করেন ২৫৮ জন যাত্রী ও ১৩ জন ক্রুর সবাই।
৮. স্টার এরিয়াল। ব্রিটিশ সাউথ আমেরিকান এয়ারওয়েজের (বিএসএএ) একটি বিমান। ১৯৪৯ সালের ১৭ জানুয়ারি হারিয়ে যায় এটি। স্থান সেই রহস্যপুরী বারমুডা ট্রায়াঙ্গল।
৯. ১৯৪৭ সালের ২ আগস্ট আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্স থেকে চিলির সান্তিয়াগো যাওয়ার পথে আন্দিজ পর্বতমালায় হারিয়ে যায় ব্রিটিশ সাউথ আমেরিকান এয়ারওয়েজের (বিএসএএ) স্টার ডাস্ট নামের বিমানটি। ৫০ বছর পর দেখা মিললো এর ধ্বংসাবশেষের। দুই আর্জেন্টেনিয়ান পর্বতারোহী বিমানটির ইঞ্জিনের ধ্বংসাবশেষ এবং কাপড়ের ফালি উদ্ধার করে।
১০. গিলেন মিলার ছিলেন একজন বিখ্যাত ব্যান্ড শিল্পী। ১৯৪৪-এর বসন্তে ইউএস আর্মি এয়ারফোর্সের ব্যান্ড দলের সঙ্গে এক সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অসাধারণ পার্মফরমেন্স উপহার দেন। পরে বিমানে করে রওনা দিয়েছিলেন প্যারিসের উদ্দেশে। কিন্তু ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার সময় বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যায়।
No comments