সালতামামি ২০১৪- আলোচনার শীর্ষে ছিল মানব পাচার by রোকনুজ্জামান পিয়াস
চলতি বছরে নিম্নমুখী ছিল দেশে রেমিট্যান্স বয়ে আনা খাত জনশক্তি রপ্তানি। অবৈধ অভিবাসন, মানব পাচার ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিভিন্ন দেশে প্রতারিত শ্রমিকরা সারা বছরই ক্ষতিপূরণের দাবিতে ধরনা দিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। আলোচনায় ছিল ইরাক ইস্যু। সে দেশে সামপ্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হওয়ার পর নানা ঘটনার সাক্ষী হয়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকারের পর দেশে ফেরেন অনেক কর্মী। ওই নির্যাতনে কেউ কেউ পঙ্গুত্বও বরণ করেন। এছাড়া সে দেশের সুন্নিপন্থি যোদ্ধাদের দ্বারা জিম্মিদশার শিকার হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন কর্মী। মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। ১৮০ জন কর্মীর জিম্মিদশাকে কেন্দ্র করে দেশীয় একটি রিক্রুটিং এজেন্সি ও এনজিও ছিল মুখোমুখি অবস্থানে। এখনও স্পষ্ট হয়নি কি ঘটেছে ওই সব কর্মীর ভাগ্যে। অভ্যন্তরীণ যুদ্ধাবস্থার কারণে লিবিয়াতেও ভাল ছিলেন না কর্মরত বাংলাদেশীরা। রকেট হামলায় সেখানে মারা গেছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী। আরব দেশগুলোর বন্ধ বাজার চালু করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। বিকল্প শ্রমবাজার সৃষ্টিতে বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে তা কার্যকর ফল বয়ে আনতে পারেনি। জি টু জি’র ধীরগতির সমালোচনাও ছিল জোরেশোরেই। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর ব্যাপারে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর ওপর অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের অভিযোগ ছিল। এ কারণে তাদের সঙ্গে সরকারের এক ধরনের শীতল সম্পর্ক চলছে। অভিবাসী আইন-২০১৩ নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এ বছরে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে অবৈধ সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড গমন। সমপ্রতি বেশ কয়েকটি গবেষণায় এ ক্ষেত্রে উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র। এতে সরকারের উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন। ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিবেদনে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ৫৩ হাজার মানুষ সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মধ্যে শুধু গত অক্টোবর থেকেই গেছে ২১ হাজার রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী। অবৈধ এ গমনের হার গত বছরের তুলনায় একই সময়ে ৩৭ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ১০ ভাগ নারী। তাদের বেশির ভাগই পাচার ও চোরাচালানের শিকার হয়েছে। এছাড়া অনেককে নিয়ে যাওয়া হয় জোরপূর্বক, অস্ত্র উঁচিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে। তাদের সাগরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়, না খাইয়ে রাখা হয়। সাগরে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, এ বছর ৫৪০ জন মানুষকে হত্যা করে সাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৫৪০ জন মারা গেছেন। মালয়েশিয়ায় পৌঁছেই গ্রেপ্তার হয় ৩০০ জন। দালালেরা প্রথমে খুব অল্প টাকায় থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ায় নেয়ার কথা বলে লোকজনকে নৌকায় তোলে। পথেই তাদের জিম্মি ও নির্যাতন করে পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। দালালেরা এভাবে প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া থাইল্যান্ডের জঙ্গলে ৩৬০ বাংলাদেশীর দাস জীবন নিয়েও তোলপাড় সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। এরা সবাই দালালদের মাধ্যমে অপহরণ, মানবপাচার ও চোরাচালানের শিকার হয়ে সাগরপথে সেখানে গিয়ে পড়েছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবপাচার-বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচার রোধে ন্যূনতম মানও রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। সমপ্রতি স্থানীয় একটি এনজিও তথ্যমতে, শুধু সিরাজগঞ্জ জেলা থেকেই গত কয়েক মাসে প্রায় ৪০০০ মানুষ দালালের খপ্পরে পড়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া গমনের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই পরে হয়েছে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার। মুক্তিপণ দাবি করেছে দালালচক্র। এসব মানুষের ভেতরে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৪০০ জন। ওই চিত্র এতটাই ভয়াবহ যে, কাদের মাধ্যমে কিভাবে গেছে তা বলতে পারেন না স্বজনরা। স্বজন হারানো ওই সব মানুষ প্রতারিত হয়ে ধার-দেনা করে বিশাল অঙ্কের টাকাও দিয়েছেন ‘বিকাশে’র মাধ্যমে। কিন্তু মেলেনি স্বজনের খোঁজ। বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইরাকে শিয়া-সুন্নি সমপ্রদায়ের মধ্যে সংঘাত শুরু হলে বিপদে পড়েন ইরাকে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকরা। বছরের শুরুর দিকে বাগদাদের নিউ বিসমায়া সিটি প্রজেক্টে কাজ নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী শ্রমিকরা শিয়াদের দ্বারা আক্রান্ত হন। তাদের ওপর চালানো হয় নৃশংস নির্যাতন। সুন্নি মতাবলম্বী হওয়ার কারণে ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। জিম্মি করে কয়েকজন বাংলাদেশীকে ধরেও নিয়ে যায় ইরাকি শিয়ারা। তাদের নির্মমতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, কারও কারও দাড়ি টেনে উপড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তারা। শরীর থেঁতলে দিয়েছে। তাদের নির্যাতনে আবদুল মান্নান নামে এক বাংলাদেশী পঙ্গুত্বও বরণ করেছেন। ওই সময় কর্মরত বাংলাদেশীরা আতঙ্কিত হয়ে দেশে ফিরতে চাইলেও তাদের ফেরত আনার কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দূতাবাস থেকেও তারা আশানুরূপ কোন সহযোগিতা পাননি। পরে অবশ্য বেশ কয়েক দফায় তাদের কেউ কেউ ফেরত আসেন। এছাড়া গত ১১ই জুন ইরাকের তিকরিত শহরে একটি ভবনের নির্মাণকাজ করার সময় সুন্নি বিদ্রোহীদের হাতে জিম্মি হন ৩১ বাংলাদেশী শ্রমিক। একই সময়ে জিম্মি হন পাশের একটি হাসপাতালের ৪৬ ভারতীয় নার্স। দু-একদিনের জন্য ভারতীয় নার্সদের তাদের সরকার নিজ উদ্যোগে ফিরিয়ে নিয়ে এলেও বাংলাদেশ সরকার তাদের ক্ষেত্রে ছিল নির্বিকার। শিয়া নিয়ন্ত্রিত ওই এলাকাটি এর দু’দিন আগেই সুন্নি সমপ্রদায়ভুক্তরা দখল করে নেয়। অবশেষে দীর্ঘদিন জিম্মি রাখার পর সুন্নিরাই মুক্ত করে দেয় তাদের। এছাড়া এ বছরের মে মাসের দিকে একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়া ১৮০ বাংলাদেশীর জিম্মিদশা নিয়েও বিতর্ক চলে দেশজুড়ে। এজেন্সিটির পক্ষ থেকে তাদের কাজের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও একটি এনজিও তাদের জিম্মি করে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ আনে। এ নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, এজেন্সি ও এনজিওর মধ্যে চলে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ। বাংলাদেশের আরেক বৃহৎ শ্রমবাজার ওমান থেকেও কারাভোগ করে দেশে ফেরেন বেশ কিছু শ্রমিক। তাদের ভাষ্যমতে, সেখানে হাজার হাজার বাংলাদেশী জেলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। বাংলাদেশের আরেক শ্রমবাজার লিবিয়ায়ও ভাল ছিলেন না কর্মীরা। সে দেশে বিবদমান দু’টি পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ফলে প্রাণ হারায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী। আতঙ্কে দেশে ফিরতে আবেদন করেন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী। তবে সংঘাতে লিবিয়ার বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশে ফেরাতে সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশেও নিয়মিত টাকা পাঠাননি অনেকে। ফলে অনেকের পরিবারেই কেটেছে দুর্ভোগে। এমনও খবর পাওয়া গেছে, সংঘাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই সাগরপথে ইতালি যাওয়ার মতো ভয়ঙ্কর উপায় বেছে নিয়েছেন। লেবাননে যেসব মহিলাকর্মী গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে গেছেন তারা নিয়োগকর্তার দ্বারা নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি যৌন নির্যাতনেরও শিকার হয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বেশি ঘটেছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বাংলাদেশের বৃহৎ শ্রমবাজার কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বাজার খুলতে নানা প্রচেষ্টা চালালেও তা ইতিবাচক ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে। গত ২৫শে অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরব আমিরাতে সফরে যান। প্রধানন্ত্রীর এ সফরে সবার প্রত্যাশা ছিল ২০০৯ সাল থেকে সে দেশে বাংলাদেশীদের জন্য বন্ধ শ্রমবাজার উন্মুক্ত হবে। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোন সুখবর না মেলায় হতাশ হন দেশবাসী। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের এ বিশাল শ্রমবাজার বন্ধ থাকায় সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে বারবার বলা হয়েছে বিকল্প ১৬০টি দেশের কথা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে গর্বের সঙ্গে বলা হয়েছে ১৬০টি দেশে বাংলাদেশীদের কর্মের সুযোগ সৃষ্টির কথা। কিন্তু তালিকা সর্বস্ব ওই সব দেশে জনশক্তি পাঠানোর কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। সবচেয়ে বেশি সমালোচনা ছিল মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে জি টু জি পদ্ধতি নিয়ে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল এবং রিক্রুটিং এজেন্সিদের অভিযোগ, দেশটিতে ১ লাখ কর্মীর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সরকার পি টু পি পদ্ধতির সুযোগ না দেয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে সে দেশে কর্মী পাঠানো। ২০১২ সালে এ পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো শুরু হওয়ার পর থেকে গেছে প্রায় ৭০০০ জন। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মধ্যে এক ধরনের বৈরী সম্পর্ক বিদ্যমান। এমনকি তারা লাইসেন্স হারানোর ভয়ে কথাও বলতে পারেন না। তাদের অভিযোগ, সরকার ব্যবসা করার জন্য সেখানে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বেসরকারি এজেন্সিগুলোর সুযোগ দিচ্ছে না। অন্যদিকে মানুষের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতার কারণে তারা বৈধ সুযোগ না পেয়ে দালালদের মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা সুযোগটি কাজে লাগিয়ে মানব পাচার করছে। এদিকে ২০১৩ সালে প্রণীত অভিবাসী আইন নিয়েও বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। সেখানে আইনটিকে আরও যুগোপযোগী করার দাবি ওঠে। এ আইনের আওতায় এ পর্যন্ত ১৫৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৬টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ৬টি এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ওই এজেন্সিগুলোও মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। বছরটিতে যে রেমিট্যান্স এসেছে তার পরিমাণ কম। পরিসংখানে দেখা যায়, ২০১২ সাল বিদেশে কর্মী পাঠানো হয়েছে ৬ লাখ ৭ হাজার ৭৭৮ জন, ২০১৩ সালে ৪ লাখ ৯ হাজার ২৫৩ জন আর এ বছরে নভেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ৮২ হাজার ২৯৮ জন। ২০১২ সালে এ খাত থেকে ১১৫৮১৬.৯৩ কোটি টাকা, ২০১৩ সালে ১০৮০৬৬.৯৩ কোটি এবং এ বছর নভেম্বর পর্যন্ত ১০৬০৬২.৩৩ কোটি টাকার রেমিট্যান্স এসেছে। জনশক্তি পাঠানোর সংখ্যাও কমে এসেছে। তবে বেড়েছে নারী কর্মী প্রেরণের সংখ্যা। বছরের শেষ দিকে জি টু জি’র আওতায় মালয়েশিয়ায় ১২ হাজার কর্মী নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এছাড়া বছরটিতে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়। অভিবাসী ব্যয় কমানোর ব্যাপারেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারি হিসেবে কোরিয়া যেতে ৮৫০ ডলার, মালয়েশিয়ায় ২৪ থেকে ২৭ হাজার টাকায় এবং সৌদি আরবে ১৭ হাজার ৪০০ টাকা খরচ হচ্ছে। অভিবাসন ব্যয় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে দাবিও তুলেছে বাংলাদেশ। এছাড়া দক্ষ কর্মী তৈরি করতে ৪০০ বেশি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করে। বর্তমান প্রকল্প প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে আরও সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ লাখ কর্মীর প্রশিক্ষণ দেয়া যাবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
No comments