১৬২ আরোহীসহ এয়ার এশিয়ার বিমান নিখোঁজ
এয়ার এশিয়ার একটি বিমান রোববার ১৬২ আরোহী
নিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। বিমানটি ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল। বিমানটির
খোঁজে জাভা সাগরে অনুসন্ধান চালানো হয়। তবে রাত নেমে আসায় এবং বৈরী
আবহাওয়ার কারণে ১১ ঘণ্টার মাথায় তল্লাশি অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ সকাল
৭টায় আবার এ অভিযান শুরু হবে। বিমানটি খুঁজে বের করতে ‘চোখ রাখছে’
যুক্তরাষ্ট্রও। এ নিয়ে এই বছর তিনবার বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হল এশিয়ার
তিনটি ফ্লাইট। এর আগে মালয়েশিয়ান বিমানের দুটি ফ্লাইট বড় ধরনের দুর্ঘটনার
শিকার হয়। এয়ার এশিয়া বিমান কোম্পানি যৌথ মালিকানায় পরিচালিত হয়।
মালয়েশিয়াভিত্তিক এ কোম্পানিটির ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইন্দোনেশিয়া।
এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স ও চ্যানেল নিউ এশিয়া। ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার
সুবাবায়া এলাকার জুয়ানদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় ভোর ৫টা
২০ মিনিটে কিউজেড ৮৫০১ ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় বিমানটি
সিঙ্গাপুরের চেঙ্গাই বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। জাভা সাগরের উপর থাকার
সময় বিমানটির নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা হাদি মোস্তফাও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, জাভা ও কালিমান্তান দ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে বিমানটি সঠিক পথে ছিল না। আকাশ প্রচণ্ড মেঘলা থাকায় বিমানের পাইলট গতিপথ পরিবর্তনের অনুমতি চেয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে রোববার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে বিমানটির উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় বিমানটির খোঁজে আবার তল্লাশি চালানো হবে। কর্মকর্তারা জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে পাইলটকে প্রায় ৩৮ হাজার ফুট উপর দিয়ে বিমানটি চালিয়ে যেতে হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এদিকে টাইম অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব দিকের বেলিটাং দ্বীপে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া যাওয়ারও দাবি করা হয়। তবে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি। এর আগে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেএ বারাতা জানান, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণকক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সিঙ্গাপুরের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অবতরণের সম্ভাব্য সময়ের এক ঘণ্টা আগে বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যায়। এয়ার এশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে তারা জানিয়েছে, বিমানটি ছিল এয়ারবাস এ৩২০-২০০ মডেলের। এয়ার এশিয়ার প্রধান নির্বাহী টনি ফ্রান্ডেস এক টুইট বার্তায় প্রার্থনা করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা যাত্রীদের সঙ্গে আছি। এদিকে ইন্দোনেশিয়ার একটি পত্রিকার বরাত দিয়ে রাশিয়ার প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, ফ্লাইট ৮৫০১ ইন্দোনেশিয়ার বেলিটুং দ্বীপপুঞ্জের কোনো এক প্রত্যন্ত দ্বীপে জরুরি অবতরণ করেছে। এর সব আরোহীই জীবিত আছে। ফ্লাইটটির আরোহীদের মধ্যে ১৫৫ যাত্রী ও ৭ জন ক্রু। যাত্রীদের মধ্যে ১৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৬ শিশু রয়েছে। যাত্রীদের ১৪৯ জন ইন্দোনেশিয়ার, ৩ জন কোরিয়ার এবং মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক রয়েছেন।
এর আগে এ বছরের ৮ মার্চ ২৩৯ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হয় মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন্সের এমএইচ৩৭০ বিমান। বিমানটি নিখোঁজের ঘটনা আজও রহস্য হিসেবেই রয়ে গেছে। নানা দেশ মিলে অনেক তথ্য-তালাশের পরও সেই রহস্যের কোনো কিনারা হয়নি। এখনও নিখোঁজদের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন তাদের স্বজনরা। ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে ১৭ জুলাই মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন্সের আরেকটি যাত্রীবাহী বিমান ভূপতিত হয়। এ ঘটনায় এমএইচ১৭ বিমানটিতে থাকা ২৯৮ আরোহীর সবাই নিহত হন।
ইন্দোনেশিয়ার নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা হাদি মোস্তফাও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, জাভা ও কালিমান্তান দ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে বিমানটি সঠিক পথে ছিল না। আকাশ প্রচণ্ড মেঘলা থাকায় বিমানের পাইলট গতিপথ পরিবর্তনের অনুমতি চেয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে রোববার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে বিমানটির উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় বিমানটির খোঁজে আবার তল্লাশি চালানো হবে। কর্মকর্তারা জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে পাইলটকে প্রায় ৩৮ হাজার ফুট উপর দিয়ে বিমানটি চালিয়ে যেতে হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এদিকে টাইম অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব দিকের বেলিটাং দ্বীপে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া যাওয়ারও দাবি করা হয়। তবে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি। এর আগে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেএ বারাতা জানান, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণকক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সিঙ্গাপুরের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অবতরণের সম্ভাব্য সময়ের এক ঘণ্টা আগে বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যায়। এয়ার এশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে তারা জানিয়েছে, বিমানটি ছিল এয়ারবাস এ৩২০-২০০ মডেলের। এয়ার এশিয়ার প্রধান নির্বাহী টনি ফ্রান্ডেস এক টুইট বার্তায় প্রার্থনা করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা যাত্রীদের সঙ্গে আছি। এদিকে ইন্দোনেশিয়ার একটি পত্রিকার বরাত দিয়ে রাশিয়ার প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, ফ্লাইট ৮৫০১ ইন্দোনেশিয়ার বেলিটুং দ্বীপপুঞ্জের কোনো এক প্রত্যন্ত দ্বীপে জরুরি অবতরণ করেছে। এর সব আরোহীই জীবিত আছে। ফ্লাইটটির আরোহীদের মধ্যে ১৫৫ যাত্রী ও ৭ জন ক্রু। যাত্রীদের মধ্যে ১৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৬ শিশু রয়েছে। যাত্রীদের ১৪৯ জন ইন্দোনেশিয়ার, ৩ জন কোরিয়ার এবং মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক রয়েছেন।
এর আগে এ বছরের ৮ মার্চ ২৩৯ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হয় মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন্সের এমএইচ৩৭০ বিমান। বিমানটি নিখোঁজের ঘটনা আজও রহস্য হিসেবেই রয়ে গেছে। নানা দেশ মিলে অনেক তথ্য-তালাশের পরও সেই রহস্যের কোনো কিনারা হয়নি। এখনও নিখোঁজদের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন তাদের স্বজনরা। ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে ১৭ জুলাই মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন্সের আরেকটি যাত্রীবাহী বিমান ভূপতিত হয়। এ ঘটনায় এমএইচ১৭ বিমানটিতে থাকা ২৯৮ আরোহীর সবাই নিহত হন।
No comments