কুড়িল ফ্লাইওভার-পূর্বাচল রাস্তার দুপাশে খাল খননের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে পূর্বাচল রাস্তার দু’পাশে খাল খননের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে কারো সঙ্গে আপস ও আপত্তিতে কান না দিয়ে দ্রুত এ লেকের খনন কাজ শেষ করতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মূল প্ল্যানে আছে দুটো লেক হবে। কাজেই এটা খুব দ্রুত খনন করা দরকার। এ ব্যাপারে কারো আপত্তি মানার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি শহরগুলোকে মানুষের বসবাস উপযোগী রাখতে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দেন। রোববার সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূচনা বক্তৃতার পর প্রধানমন্ত্রী এ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
তিনি বলেন, কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে পূর্বাচলে যাওয়ার পথে রাস্তার দু’পাশে দুটো লেক খনন করার কথা রয়েছে। আমি জানি এ লেক খনন করতে অনেক বাধা আছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ওই লেকের সঙ্গে সরাসরি নদীর যোগাযোগ থাকবে। বন্যা বা ভারি বৃষ্টির সময় ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্যই ওই লেক খনন অত্যন্ত জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথাও কোনো বক্স কালভার্ট হবে না। সব লেক হবে, ওপেন লেক হবে। যাদের দরকার হবে, তারা লেকের পাশ দিয়ে ব্রিজ করে নেবে। শেখ হাসিনা বলেন, কোনোমতেই এখানে ‘কম্প্রোমাইজ’ করা যাবে না। বিষয়টা আপনাদের দেখতে হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি এটা শুরু করতে হবে।
বিভিন্ন সময়ে ঢাকার জলাধারগুলো নষ্ট করার তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, রাজধানীর মতিঝিলে এক সময় একটি ঝিল থাকলেও আইয়ুব খান সেটি বন্ধ করে দেন। পরে বিভিন্ন সরকারের সময় শান্তিনগর খাল, পান্থপথ খালসহ বিভিন্ন খাল বন্ধ করে দেয়া হয় অথবা বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। অথচ এ খালগুলো একটা শহরের শিরা-উপশিরার মতো। আপনারা আমাদের একটা অনুরোধ রক্ষা করবেন, বক্স কালভার্ট যেন শহরের ভেতর আর না করা হয়। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বক্স কালভার্ট তুলে দিয়ে খাল উদ্ধারের চেষ্টা করতেন বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি জানান, রক্ত সঞ্চালন যেভাবে হয়। ঠিক সেভাবে পানির সঞ্চালন ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ঠিক রাখার পাশাপাশি পরিবেশ ঠিক রাখে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বিক পরিকল্পনা নিয়ে শহরগুলোর উন্নতি করতে হবে। এ জন্য সুদূরপ্রসারী ‘মাস্টার প্ল্যান’ করতে হবে। বিভাগীয় ও উপজেলা শহরগুলোর জন্যও মাস্টার প্ল্যান করতে হবে। শহরে মানুষের উপযোগী করে ফ্ল্যাট বাড়িসহ সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ঢাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোকসংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু শহরটা ছোট ও ঘিঞ্জি হয়ে যাচ্ছে। সেখানেও আমরা যদি মানুষের নাগরিক সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে না পারি তবে এটি আর বসবাসের উপযোগী থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে বস্তির মানুষগুলোকে পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন। তিনি বস্তিগুলোতে মানুষের মানবেতর জীবনযাপনের বর্ণনা দেন। সেই সঙ্গে ঢাকার উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
সব লাল দালান রক্ষার দরকার নেই : প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্য রক্ষার নামে ব্রিটিশদের সব লাল দালান রক্ষার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ঐতিহ্য রক্ষায় ব্রিটিশ আমলের অপ্রয়োজনীয় ভাঙ্গা দালান বা তাদের অনেক জিনিস ধরে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এর কোনো প্রয়োজন নেই। শেখ হাসিনা বলেন, দৃষ্টিনন্দন থাকলে ব্রিটিশদের দুই-একটা জিনিস রাখা যেতে পারে। স্থাপত্য শিল্পের দিক থেকে যেগুলো প্রয়োজন আছে সেগুলোর কিছুটা রাখা যেতে পারে। সব দালান ধরে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, ‘লাল দালান যা আছে সবই রেখে দিতে হবে আমাদের হেরিটেজ হিসেবে? কিসের হেরিটেজ? ব্রিটিশদের গোলামি করেছি আমরা তাদের হেরিটেজ রক্ষার করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না অন্তত স্বাধীন দেশে। কারণ তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের লড়াই করতে হয়েছে, সংগ্রাম করতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে। এটাও মনে রাখতে হবে। তবে স্থাপত্য শিল্প যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ এখনও কিছু বাকি আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লুই আই কার্নের মূল নকশা দেখলে দেখা যাবে সংসদ ভবনের কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। এ সচিবালয় সংসদ এলাকায় থাকার কথা ছিল। সেখানে চারপাশে বেড়া থাকার কথা ছিল।
আবাসিক এলাকায় হাসপাতাল অত্যন্ত ক্ষতিকর : প্রতিটি হাসপাতালের নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে আবাসিক এলাকায় হাসপাতাল গড়ে ওঠা অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, হাসপাতালের বর্জ্যগুলো সব থেকে ক্ষতিকারক। তাতে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়বে। এটার একটা ব্যবস্থা একান্তভাবে নেয়া দরকার এবং প্রত্যেকটা হাসপাতালের বর্জ্যরে জন্য নিজস্ব ব্যবস্থা থাকা উচিত।
ব্যাঙের ছাতার মতো ইউনিভার্সিটি : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান নিয়ে সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তো কোনো মাত্রাজ্ঞানই নেই। ইউনিভার্সিটি বলতে আগে যা বুঝতাম এখন আর তা নেই। ব্যাঙের ছাতার মতো ইউনিভার্সিটি। এক বিল্ডিংয়ে দেখা গেল অনেকগুলো সাইনবোর্ড। সব নাকি ইউনিভার্সিটি। কোনো একটা পরিকল্পনা নিয়ে কিচ্ছু করা হয়নি। যে যখন এসেছে, একেকটা পারমিশন দিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে পূর্বাচলে যাওয়ার পথে রাস্তার দু’পাশে দুটো লেক খনন করার কথা রয়েছে। আমি জানি এ লেক খনন করতে অনেক বাধা আছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ওই লেকের সঙ্গে সরাসরি নদীর যোগাযোগ থাকবে। বন্যা বা ভারি বৃষ্টির সময় ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্যই ওই লেক খনন অত্যন্ত জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথাও কোনো বক্স কালভার্ট হবে না। সব লেক হবে, ওপেন লেক হবে। যাদের দরকার হবে, তারা লেকের পাশ দিয়ে ব্রিজ করে নেবে। শেখ হাসিনা বলেন, কোনোমতেই এখানে ‘কম্প্রোমাইজ’ করা যাবে না। বিষয়টা আপনাদের দেখতে হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি এটা শুরু করতে হবে।
বিভিন্ন সময়ে ঢাকার জলাধারগুলো নষ্ট করার তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, রাজধানীর মতিঝিলে এক সময় একটি ঝিল থাকলেও আইয়ুব খান সেটি বন্ধ করে দেন। পরে বিভিন্ন সরকারের সময় শান্তিনগর খাল, পান্থপথ খালসহ বিভিন্ন খাল বন্ধ করে দেয়া হয় অথবা বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। অথচ এ খালগুলো একটা শহরের শিরা-উপশিরার মতো। আপনারা আমাদের একটা অনুরোধ রক্ষা করবেন, বক্স কালভার্ট যেন শহরের ভেতর আর না করা হয়। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বক্স কালভার্ট তুলে দিয়ে খাল উদ্ধারের চেষ্টা করতেন বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি জানান, রক্ত সঞ্চালন যেভাবে হয়। ঠিক সেভাবে পানির সঞ্চালন ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ঠিক রাখার পাশাপাশি পরিবেশ ঠিক রাখে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বিক পরিকল্পনা নিয়ে শহরগুলোর উন্নতি করতে হবে। এ জন্য সুদূরপ্রসারী ‘মাস্টার প্ল্যান’ করতে হবে। বিভাগীয় ও উপজেলা শহরগুলোর জন্যও মাস্টার প্ল্যান করতে হবে। শহরে মানুষের উপযোগী করে ফ্ল্যাট বাড়িসহ সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ঢাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোকসংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু শহরটা ছোট ও ঘিঞ্জি হয়ে যাচ্ছে। সেখানেও আমরা যদি মানুষের নাগরিক সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে না পারি তবে এটি আর বসবাসের উপযোগী থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে বস্তির মানুষগুলোকে পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন। তিনি বস্তিগুলোতে মানুষের মানবেতর জীবনযাপনের বর্ণনা দেন। সেই সঙ্গে ঢাকার উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
সব লাল দালান রক্ষার দরকার নেই : প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্য রক্ষার নামে ব্রিটিশদের সব লাল দালান রক্ষার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ঐতিহ্য রক্ষায় ব্রিটিশ আমলের অপ্রয়োজনীয় ভাঙ্গা দালান বা তাদের অনেক জিনিস ধরে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এর কোনো প্রয়োজন নেই। শেখ হাসিনা বলেন, দৃষ্টিনন্দন থাকলে ব্রিটিশদের দুই-একটা জিনিস রাখা যেতে পারে। স্থাপত্য শিল্পের দিক থেকে যেগুলো প্রয়োজন আছে সেগুলোর কিছুটা রাখা যেতে পারে। সব দালান ধরে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, ‘লাল দালান যা আছে সবই রেখে দিতে হবে আমাদের হেরিটেজ হিসেবে? কিসের হেরিটেজ? ব্রিটিশদের গোলামি করেছি আমরা তাদের হেরিটেজ রক্ষার করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না অন্তত স্বাধীন দেশে। কারণ তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের লড়াই করতে হয়েছে, সংগ্রাম করতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে। এটাও মনে রাখতে হবে। তবে স্থাপত্য শিল্প যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ এখনও কিছু বাকি আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লুই আই কার্নের মূল নকশা দেখলে দেখা যাবে সংসদ ভবনের কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। এ সচিবালয় সংসদ এলাকায় থাকার কথা ছিল। সেখানে চারপাশে বেড়া থাকার কথা ছিল।
আবাসিক এলাকায় হাসপাতাল অত্যন্ত ক্ষতিকর : প্রতিটি হাসপাতালের নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে আবাসিক এলাকায় হাসপাতাল গড়ে ওঠা অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, হাসপাতালের বর্জ্যগুলো সব থেকে ক্ষতিকারক। তাতে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়বে। এটার একটা ব্যবস্থা একান্তভাবে নেয়া দরকার এবং প্রত্যেকটা হাসপাতালের বর্জ্যরে জন্য নিজস্ব ব্যবস্থা থাকা উচিত।
ব্যাঙের ছাতার মতো ইউনিভার্সিটি : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান নিয়ে সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তো কোনো মাত্রাজ্ঞানই নেই। ইউনিভার্সিটি বলতে আগে যা বুঝতাম এখন আর তা নেই। ব্যাঙের ছাতার মতো ইউনিভার্সিটি। এক বিল্ডিংয়ে দেখা গেল অনেকগুলো সাইনবোর্ড। সব নাকি ইউনিভার্সিটি। কোনো একটা পরিকল্পনা নিয়ে কিচ্ছু করা হয়নি। যে যখন এসেছে, একেকটা পারমিশন দিয়ে গেছে।
No comments