হবিগঞ্জের মেয়র কারাগারে, সংঘর্ষ
কিবরিয়া
হত্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে হবিগঞ্জ পৌর
মেয়র ও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছকে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে
শহরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে ওসিসহ ৩০ জন
আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের
যুগ্ম আহ্বায়ক আলমপনা চৌধুরী মাসুদসহ ৮ জনকে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায়
আত্মসমর্পণের জন্য আদালতে হাজির হন জি কে গউছ। এরপর বেলা ১২টায় সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া খাতুনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন
তিনি। দু’পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে
কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এ সময় আদালতপাড়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের
মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। গউছকে কারাগারে পাঠানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি ও
অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা
থানা মোড়, বেবিস্ট্যান্ড, শায়েস্তানগর ও পৌরসভা ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে
সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিনসহ ৩০ জন আহত
হন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে
১৫০ রাউন্ড রাবার বুলেট, ১৪ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়। উল্লেখ্য,
২০০৫ সালের ২৭শে জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে এক জনসভা শেষে
দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়াসহ ৫ জন নিহত হন। আহত হন ৭০ জন। এ
ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খান এমপি বাদী হয়ে একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুবার অধিকতর তদন্ত শেষে গত ২১শে ডিসেম্বর
সিআইডির সিনিয়র এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জি কে গউছ,
সিলেটের মেয়র আরিফুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের
নাম উল্লেখ করে সম্পূরক চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন।
No comments