আজ ২০ দলের হরতাল
বছরের শেষ সময়ে আজ সারা দেশে হরতাল কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। গাজীপুরে খালেদা জিয়াকে সমাবেশ করতে না দেয়া, বিএনপি নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশব্যাপী বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় হরতাল এটা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এ হরতাল ডাকা হয়েছে দাবি করে দেশবাসীকে সর্বাত্মক কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। হরতাল সফল করতে বিএনপি-জামায়াতসহ জোট শরিক ও সমমনা দলগুলো প্রস্তুতি নিয়েছে। মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে হরতালে মাঠে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হরতালের সমর্থনে রোববার বিকাল থেকেই শুরু হয় যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণে এক নারী আহত হন। মিরপুরের কাজীপাড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পেট্রল বোমা বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে হরতাল প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। হরতালকে কেন্দ্র করে যে কোনো নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। রোববার রাত থেকেই ঢাকাসহ সারা দেশে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি। চলছে গ্রেফতার অভিযান। যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ সারা দেশে অসংখ্য বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
হরতালের সমর্থনে রোববার সচিবালয়ের একটি স্টাফ বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার আগে নয়াপল্টনে জোনাকী সিনেমা হলের সামনে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে পল্টন মোড়ে পার্কিং করা একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো স-১১-০১০১) আগুন দেয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শী পথচারীরা পুলিশকে জানান, কয়েকজন যুবক পার্কিং করা বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ওই এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পল্টন থানার এসআই জুলহাস মিয়া জানান, এ ঘটনায় পল্টন এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর এটি প্রথম হরতাল। এ হরতাল ছাত্রদল নেতাদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় শেরাটন হোটেল মোড়ে হরতালের পক্ষে মিছিল করেছে ছাত্রদল। এতে যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. রাসেল, করিম সরকার, শফিক আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা আবুল বাশার সিদ্দিকী, মাইনুল ইসলাম, শ্রাবণ, রিপন প্রমুখ অংশ নেন। রামপুরায় স্বেচ্ছাসেবক দল একটি মিছিল করে।
রোববার দুপুরে মহাখালীতে ছাত্রশিবির ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ২টার দিকে হরতালের সমর্থনে ছাত্রশিবির মহাখালী কলেরা হাসপাতালের গেট থেকে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলটি নাবিস্কোর দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দেয়। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শিবিরকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এদিকে হরতালে যান চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি। আর ব্যবসায়ীরা হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, হরতাল বন্ধের প্রয়োজনে তারা আবার মাঠে নামবেন।
হরতালের আওতামুক্ত : জনগণের প্রয়োজনে কয়েকটি জরুরি সার্ভিস হরতালের আওতামুক্ত থাকার কথা জানিয়েছে বিএনপি। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংবাদ মাধ্যম এবং এ সংশ্লিষ্ট যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসা সেবা, লাশবাহী গাড়ি, মিডিয়ার যানবাহন, ফায়ার সার্ভিস, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির জরুরি সার্ভিসগুলো হরতালের আওতামুক্ত থাকবে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে গাউসুল আজম সম্মেলন উপলক্ষে ওই এলাকা হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
আন্দোলন দমাতে গণগ্রেফতার -বিএনপি : আন্দোলন দমাতে সরকার নিষ্ঠুর হয়ে ওঠছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার নাকি কোনো কিছুতেই ভয় করছে না। খুব ‘স্বস্তিতে’ আছে বলে দম্ভোক্তি করছে। তাহলে দেশব্যাপী গ্রেফতার অভিযান চলছে কেন? উদ্দেশ্য বিএনপির আন্দোলন দমানো। গ্রেফতার করে আন্দোলন দমানো যাবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, ‘হানিফ সাহেব (মাহবুবউল আলম হানিফ) বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। আমরা দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, বিএনপির সমাবেশে বাধা দিলে আওয়ামী লীগও দেশের কোথাও নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারবে না। জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে তা প্রতিহত করা হবে।’
যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান রিজভী। এছাড়া খিলগাঁও বিএনপির সহ-সভাপতি ফরহাদ হোসেন, বরিশাল স্বেচ্ছাসেবক দলের হাবিবুর রহমান পিন্টু, পটুয়াখালীর শাহাবুদ্দিন, আহসান উল্লাহ পিন্টু, শাহজাহান হাওলাদারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
সোমবারের হরতালে বিএনপির শীর্ষ নেতারা মাঠে থাকবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘বিএনপি কোনো ভুঁইফোঁড় সংগঠন নয়। বিএনপির নেতারা ঘরে বসে নেই। কালকে সবাই মাঠে থাকবেন। যা হওয়ার কাল হবে।’ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, বেলাল আহমেদ, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে হরতাল প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। হরতালকে কেন্দ্র করে যে কোনো নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। রোববার রাত থেকেই ঢাকাসহ সারা দেশে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি। চলছে গ্রেফতার অভিযান। যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ সারা দেশে অসংখ্য বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
হরতালের সমর্থনে রোববার সচিবালয়ের একটি স্টাফ বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার আগে নয়াপল্টনে জোনাকী সিনেমা হলের সামনে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে পল্টন মোড়ে পার্কিং করা একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো স-১১-০১০১) আগুন দেয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শী পথচারীরা পুলিশকে জানান, কয়েকজন যুবক পার্কিং করা বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ওই এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পল্টন থানার এসআই জুলহাস মিয়া জানান, এ ঘটনায় পল্টন এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর এটি প্রথম হরতাল। এ হরতাল ছাত্রদল নেতাদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় শেরাটন হোটেল মোড়ে হরতালের পক্ষে মিছিল করেছে ছাত্রদল। এতে যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. রাসেল, করিম সরকার, শফিক আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা আবুল বাশার সিদ্দিকী, মাইনুল ইসলাম, শ্রাবণ, রিপন প্রমুখ অংশ নেন। রামপুরায় স্বেচ্ছাসেবক দল একটি মিছিল করে।
রোববার দুপুরে মহাখালীতে ছাত্রশিবির ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ২টার দিকে হরতালের সমর্থনে ছাত্রশিবির মহাখালী কলেরা হাসপাতালের গেট থেকে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলটি নাবিস্কোর দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দেয়। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শিবিরকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এদিকে হরতালে যান চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি। আর ব্যবসায়ীরা হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, হরতাল বন্ধের প্রয়োজনে তারা আবার মাঠে নামবেন।
হরতালের আওতামুক্ত : জনগণের প্রয়োজনে কয়েকটি জরুরি সার্ভিস হরতালের আওতামুক্ত থাকার কথা জানিয়েছে বিএনপি। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংবাদ মাধ্যম এবং এ সংশ্লিষ্ট যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসা সেবা, লাশবাহী গাড়ি, মিডিয়ার যানবাহন, ফায়ার সার্ভিস, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির জরুরি সার্ভিসগুলো হরতালের আওতামুক্ত থাকবে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে গাউসুল আজম সম্মেলন উপলক্ষে ওই এলাকা হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
আন্দোলন দমাতে গণগ্রেফতার -বিএনপি : আন্দোলন দমাতে সরকার নিষ্ঠুর হয়ে ওঠছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার নাকি কোনো কিছুতেই ভয় করছে না। খুব ‘স্বস্তিতে’ আছে বলে দম্ভোক্তি করছে। তাহলে দেশব্যাপী গ্রেফতার অভিযান চলছে কেন? উদ্দেশ্য বিএনপির আন্দোলন দমানো। গ্রেফতার করে আন্দোলন দমানো যাবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, ‘হানিফ সাহেব (মাহবুবউল আলম হানিফ) বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। আমরা দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, বিএনপির সমাবেশে বাধা দিলে আওয়ামী লীগও দেশের কোথাও নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারবে না। জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে তা প্রতিহত করা হবে।’
যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান রিজভী। এছাড়া খিলগাঁও বিএনপির সহ-সভাপতি ফরহাদ হোসেন, বরিশাল স্বেচ্ছাসেবক দলের হাবিবুর রহমান পিন্টু, পটুয়াখালীর শাহাবুদ্দিন, আহসান উল্লাহ পিন্টু, শাহজাহান হাওলাদারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
সোমবারের হরতালে বিএনপির শীর্ষ নেতারা মাঠে থাকবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘বিএনপি কোনো ভুঁইফোঁড় সংগঠন নয়। বিএনপির নেতারা ঘরে বসে নেই। কালকে সবাই মাঠে থাকবেন। যা হওয়ার কাল হবে।’ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, বেলাল আহমেদ, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments