‘ভিন্নমতের মানুষদের সঙ্গেও তার বন্ধুত্ব ছিল’
সড়ক
দুর্ঘটনায় নিহত প্রখ্যাত সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক জগলুল
আহ্মেদ চৌধূরীর কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ আসর গুলশানের আজাদ
মসজিদে এ উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে মন্ত্রিসভার সদস্য,
সরকারের উপদেষ্টা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমের সম্পাদক,
সিনিয়র সাংবাদিক ও মরহুমের শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। দোয়া মাহফিলের আগে
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, একসঙ্গে তিনটি সত্তা জগ্লুল
আহ্মেদের মধ্যে কাজ করতো। মানুষ হিসেবে জগ্লুল বিপদে সবার আগে এগিয়ে আসতেন।
দুঃখের দিনে পাশে থাকতেন। সাংবাদিক হিসেবে মর্যাদাসম্পন্ন জীবনযাপন করতেন।
কোন কলুষতা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। আর বন্ধু হিসেবে সদাহাস্য
ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি। ভিন্নমতের মানুষদের সঙ্গে তার
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। জগ্লুল আহ্মেদের ছেলে নাবিল আহমেদ চৌধূরী বাবার
আত্মার মাগফিরাত কামনা করে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ ও মুসল্লিদের কাছে দোয়া
প্রার্থনা করেন। মাহফিলে ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, প্রধানমন্ত্রীর
উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল
ইসলাম মাহমুদ, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান
শমসের মবিন চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন
আহমেদ, মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের
সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি মন্জুরুল আহসান
বুলবুলসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও জগ্লুল আহ্মেদের
পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে কাওরান
বাজার এলাকায় বাস থেকে নামার সময় একই বাসের ধাক্কায় আহত হন বাসসের সাবেক
প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক জগ্লুল আহ্মেদ
চৌধূরী। তার মাথায় ও মুখের এক পাশে মারাত্মক আঘাত লেগে রক্তক্ষরণ হতে
থাকে। এসময় পথচারীরা উদ্ধার করে প্রথমে কাছের মোহনা ক্লিনিকে নিয়ে যান।
সেখানে জরুরি বিভাগের ডাক্তার না থাকায় গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে
গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
No comments