হ্যালো আমি শেখ রেহানা বলছি ...
‘হ্যালো
আমি শেখ রেহানা বলছি। প্রধানমন্ত্রীর বোন। একজন পঙ্গু পুরুষ ও প্রেগনেন্ট
(অন্তঃসত্ত্বা) মহিলাকে আপনার কাছে পাঠাচ্ছি। তাদের কিছু আর্থিক সমস্যা
আছে।’ ৩০ নভেম্বর এভাবেই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে ফোন
করেন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র ম্যানেজার মারজিয়া
জান্নাতি নূপা (৩১)। ফোন করে তিনি বিভিন্ন ব্যাংকের বড় কিছু ইন্স্যুরেন্স
পঙ্গু পুরুষ ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরদিন বিকাল সাড়ে
৫টায় তার সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও নির্ধারণ করে দেন নূপা। শেখ রেহানার পরিচয়ে
ফোনের বিষয় সন্দেহ হয় ড. আতিউরের। তিনি পিএর মাধ্যমে ওই নম্বরে ফোন করে
জানতে পারেন ওই মহিলা প্রকৃতপক্ষে শেখ রেহানা নন। অভিযোগটি জানানো হয়
র্যাবকে। র্যাব দীর্ঘ অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয়, গভর্নরকে ফোন করা ওই নারীর
প্রকৃত নাম মারজিয়া জান্নাতি নূপা ও তার স্বামী বিআইডব্লিউটির ঠিকাদার এমএ
কাশেম মজুমদার। র্যাব তাদের শনিবার বনশ্রীর বাসা থেকে আটক করে।
শনিবার র্যাব-৩ কার্যালয়ে সিও লে. কর্নেল গোলাম সারওয়ার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে অল্প সময়ে বিত্তবৈভবের মালিক হওয়া অপরাধীদের পুরাতন কৌশল। প্রতারণার কৌশল হিসেবে বিভিন্ন সময় নিজেকে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অপচেষ্টা করেন। র্যাব তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে তৎপরতা চালিয়ে আসছে।
র্যাব আরও জানায়, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশের সিনিয়র অফিসার নূপা ও তার স্বামী কাশেম মজুমদার আর্থিকভাবে সচ্ছল। তারা আরও সচ্ছলতার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নেয়। এর অংশ হিসেবে ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অফিসিয়াল ল্যান্ডফোন নম্বরে ফোন করেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে বলেন, ‘আমি একজন পুুরুষ এবং একজন মহিলাকে আপনার কাছে পাঠাচ্ছি। পুরুষটি পঙ্গু এবং মহিলাটি অন্তঃসত্ত্বা।’ তাদের কিছু আর্থিক সমস্যা রয়েছে। তাই তাদের আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এলসির বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংকের ইন্স্যুরেন্স যেন এই মহিলাকে দেয়া হয় সে বিষয়ে গভর্নর যেন ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেন। নূপা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যত বেশি ইন্স্যুরেন্স করাতে পারবেন তত তাড়াতাড়ি চাকরিতে ভালো অবস্থানে যেতে পারবেন এবং বেশি লভ্যাংশ পাবেন। এ কারণে প্রতারণার মাধ্যমে বড় অংকের ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম আনার চেষ্টা করেন। মাসে আনুমানিক এক কোটি টাকা রোজগারের পরিকল্পনা করেন এই নারী। ওই পঙ্গু পুরুষ ও অন্তঃসত্ত্বা নারী তার অধীনস্থ কর্মচারী।
র্যাব আরও জানায়, ৩০ নভেম্বর শেখ রেহানা পরিচয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে গভর্নর তাদের সঙ্গে পরের দিন বিকাল ৫টায় সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করেন। তিনি কথা সমাপ্ত করে ফোন রেখে দেন। কথা শেষ করার প্রায় আধা ঘণ্টা পর গভর্নরের সন্দেহ হলে তিনি পিএকে দিয়ে ওই নম্বরে ফোন করান। তখন ওই মহিলা নিজেকে সেতু বলে পরিচয় দেন এবং বাসা বাড্ডা এলাকায় বলে জানান। পরে বিষয়টি র্যাবকে জানানো হয়। র্যাব গোয়েন্দা দল ব্যাপক অনুসন্ধান শেষে নিশ্চিত হয়, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা পরিচয় দানকারী মহিলার প্রকৃত নাম মারজিয়া জান্নাত নূপা।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৩, ঢাকার একটি দল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বনশ্রী থেকে নূপা ও তার স্বামী কাশেম মজুমদারকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে নূপা নিজেকে শেখ রেহানা পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ফোন করার কথা স্বীকার করেছেন।
শনিবার র্যাব-৩ কার্যালয়ে সিও লে. কর্নেল গোলাম সারওয়ার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে অল্প সময়ে বিত্তবৈভবের মালিক হওয়া অপরাধীদের পুরাতন কৌশল। প্রতারণার কৌশল হিসেবে বিভিন্ন সময় নিজেকে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অপচেষ্টা করেন। র্যাব তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে তৎপরতা চালিয়ে আসছে।
র্যাব আরও জানায়, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশের সিনিয়র অফিসার নূপা ও তার স্বামী কাশেম মজুমদার আর্থিকভাবে সচ্ছল। তারা আরও সচ্ছলতার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নেয়। এর অংশ হিসেবে ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অফিসিয়াল ল্যান্ডফোন নম্বরে ফোন করেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে বলেন, ‘আমি একজন পুুরুষ এবং একজন মহিলাকে আপনার কাছে পাঠাচ্ছি। পুরুষটি পঙ্গু এবং মহিলাটি অন্তঃসত্ত্বা।’ তাদের কিছু আর্থিক সমস্যা রয়েছে। তাই তাদের আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এলসির বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংকের ইন্স্যুরেন্স যেন এই মহিলাকে দেয়া হয় সে বিষয়ে গভর্নর যেন ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেন। নূপা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যত বেশি ইন্স্যুরেন্স করাতে পারবেন তত তাড়াতাড়ি চাকরিতে ভালো অবস্থানে যেতে পারবেন এবং বেশি লভ্যাংশ পাবেন। এ কারণে প্রতারণার মাধ্যমে বড় অংকের ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম আনার চেষ্টা করেন। মাসে আনুমানিক এক কোটি টাকা রোজগারের পরিকল্পনা করেন এই নারী। ওই পঙ্গু পুরুষ ও অন্তঃসত্ত্বা নারী তার অধীনস্থ কর্মচারী।
র্যাব আরও জানায়, ৩০ নভেম্বর শেখ রেহানা পরিচয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে গভর্নর তাদের সঙ্গে পরের দিন বিকাল ৫টায় সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করেন। তিনি কথা সমাপ্ত করে ফোন রেখে দেন। কথা শেষ করার প্রায় আধা ঘণ্টা পর গভর্নরের সন্দেহ হলে তিনি পিএকে দিয়ে ওই নম্বরে ফোন করান। তখন ওই মহিলা নিজেকে সেতু বলে পরিচয় দেন এবং বাসা বাড্ডা এলাকায় বলে জানান। পরে বিষয়টি র্যাবকে জানানো হয়। র্যাব গোয়েন্দা দল ব্যাপক অনুসন্ধান শেষে নিশ্চিত হয়, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা পরিচয় দানকারী মহিলার প্রকৃত নাম মারজিয়া জান্নাত নূপা।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৩, ঢাকার একটি দল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বনশ্রী থেকে নূপা ও তার স্বামী কাশেম মজুমদারকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে নূপা নিজেকে শেখ রেহানা পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ফোন করার কথা স্বীকার করেছেন।
No comments