১২৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার- দেড় বছর পর ১০ বিমানকর্মীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দেড় বছর আগে নেপাল থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে উদ্ধার করা হয় ১২৪ কেজি স্বর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা তো দূরের কথা সে সময় এ ঘটনায় থানায় কোন মামলাই দায়ের হয়নি। দেড় বছর পর এ ঘটনায় ১০ বিমানকর্মীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর। শুক্রবার রাতে বিমানবন্দর শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোস্তফা জামাল বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। সূত্র জানায়, ১২৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মোট ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন বিমানকর্মী। তারা হলেন- সুইপিং সুপারভাইজার আবু জাফর, এয়ারক্রাফট মেকানিক মাসুদ, সিকিউরিটি অফিসার কামরুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসার সালেহ আহমেদ ও মজিবর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট এয়ারক্রাফট মেকানিক আনিস উদ্দিন ভূঁইয়া, প্রকৌশল হ্যাঙ্গারের মেকানিক ওসমান গণি এবং জুনিয়র ইন্সপেকশন অফিসার শাহজাহান সিরাজ, রায়হান আলী ও মাকসুদ। বাকি চার আসামি হলেন- নেপালের নাগরিক গৌরাঙ্গ রোসান, ভারতীয় নাগরিক জেসন প্রিন্স, বাংলাদেশের এসএস কার্গোর চেয়ারম্যান মিলন শিকদার ও জসীম উদ্দিন। বিমানবন্দর থানার ওসি শাহ আলম জানান, মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, এই মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে স্বর্ণ চোরাচালানের অন্যান্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিল। বর্তমানে বেশির ভাগই পলাতক।
গত বছরের ২৪শে জুলাই নেপাল থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি কার্গো উড়োজাহাজে ১২৪ কেজি ওজনের ১ হাজার ৬৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। বিজি ৭০২ নামের ওই বিমানের লাগেজ চেম্বারে স্বর্ণের বারগুলো লুকিয়ে রাখা ছিল। যেখানে বিমানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়া সাধারণ কোন যাত্রীর পক্ষে স্বর্ণ লুকিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই। এ ঘটনায় সে সময় কোন মামলা দায়ের না হলেও শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ৬ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান। সম্প্রতি কমিটির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেয়া হয়। ওই কমিটির একজন সদস্য জানান, তদন্তে চোরাচালানে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছিল। সেই সুপারিশ অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দরের স্বর্ণ চোরাচালানের প্রায় প্রত্যেকটি ঘটনার সঙ্গে বিমান ও এভিয়েশনের লোকজন জড়িত। সম্প্রতি বিমানের এক উপ-মহাব্যবস্থাপকসহ পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে। আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ১২৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
বিমানবন্দরে স্বর্ণসহ এক ব্যক্তি আটক: হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণসহ একজনকে আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তার নাম কবির শিকদার (৫০)। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ৩ কেজি ৮০০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ১০টায় এমএইচ-১০২ নম্বর একটি বিমানে করে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় আসেন কবীর। তখন গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তার গতিবিধি সন্দেহ করেন। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ওই স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মজিবুর রহমান জানান, ওই ব্যক্তি প্রায় ১৫ দিন আগে ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়া গিয়েছিল। বিমানবন্দরে কাস্টমসের কর্মকর্তারা তার পরিচয় জানতে চাইলে সে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন লবিংয়ের কথা বলে। বিনা শুল্কে ওই স্বর্ণগুলো বিদেশ থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
গত বছরের ২৪শে জুলাই নেপাল থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি কার্গো উড়োজাহাজে ১২৪ কেজি ওজনের ১ হাজার ৬৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। বিজি ৭০২ নামের ওই বিমানের লাগেজ চেম্বারে স্বর্ণের বারগুলো লুকিয়ে রাখা ছিল। যেখানে বিমানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়া সাধারণ কোন যাত্রীর পক্ষে স্বর্ণ লুকিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই। এ ঘটনায় সে সময় কোন মামলা দায়ের না হলেও শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ৬ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান। সম্প্রতি কমিটির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেয়া হয়। ওই কমিটির একজন সদস্য জানান, তদন্তে চোরাচালানে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছিল। সেই সুপারিশ অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দরের স্বর্ণ চোরাচালানের প্রায় প্রত্যেকটি ঘটনার সঙ্গে বিমান ও এভিয়েশনের লোকজন জড়িত। সম্প্রতি বিমানের এক উপ-মহাব্যবস্থাপকসহ পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে। আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ১২৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
বিমানবন্দরে স্বর্ণসহ এক ব্যক্তি আটক: হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণসহ একজনকে আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তার নাম কবির শিকদার (৫০)। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ৩ কেজি ৮০০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ১০টায় এমএইচ-১০২ নম্বর একটি বিমানে করে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় আসেন কবীর। তখন গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তার গতিবিধি সন্দেহ করেন। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ওই স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মজিবুর রহমান জানান, ওই ব্যক্তি প্রায় ১৫ দিন আগে ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়া গিয়েছিল। বিমানবন্দরে কাস্টমসের কর্মকর্তারা তার পরিচয় জানতে চাইলে সে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন লবিংয়ের কথা বলে। বিনা শুল্কে ওই স্বর্ণগুলো বিদেশ থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
No comments