আইএসের বিরুদ্ধে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে : জর্ডান
ইরাক-সিরিয়ায় দখল পাকাপোক্তকারী ইসলামিক
স্টেট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে বলে সতর্কবাণী করেছেন
জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, মধ্য মেয়াদে এ যুদ্ধ চললে
তা হবে কৌশলগত কিন্তু দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলে এটি আদর্শিক যুদ্ধে পরিণত
হতে পারে। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে
তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর এএফপির। এ সময় ওবামা তার দেশকে বড় ধরনের মার্কিন
সাহায্য দেয়ার অঙ্গীকার করেন। ওবামা জর্ডানের জন্য প্রতি বছর ৬৬০ মিলিয়ন
থেকে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সাহায্যের অঙ্গীকার করেন। এছাড়া দেশটিকে
অতিরিক্ত ঋণ প্রদানেরও নিশ্চয়তা দেন ওবামা। বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেন, জর্ডান,
যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য দেশকে একত্রিত হয়ে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে।
এটি করা সম্ভব না হলে তা প্রজন্মগত যুদ্ধে পরিণত হবে। সিবিএস টেলিভিশনকে
দেয়া সাক্ষাৎকারে আবদুল্লাহ বলেন, এই সমস্যাটি সমাধানে আমাদের সবাইকে
অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে। এটি একটি মুসলিম সমস্যা। আমাদের এর দায়ভার নিতে
হবে। তিনি আরও বলেন, এটা পরিষ্কারভাবে ভালো ও মন্দের মধ্যে একটি যুদ্ধ।
অন্য অর্থে আমি মনে করি, এটি একটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। দীর্ঘ মেয়াদে এটি চলতে
থাকলে তা আদর্শিক কারণে পরিণত হবে। এ সমস্যা সমাধানে আরব ও মুসলিম বিশ্বে
বহুসংখ্যক নেতা রয়েছেন এবং এজন্য তারাই যথেষ্ট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক
ওবামা বলেন, বর্ধিত মার্কিন সাহায্যের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে জর্ডানের
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারকে ত্বরান্বিত করা। জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যে
আমেরিকার অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র।
ইরাকের আনবার প্রদেশ জর্ডানের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। বর্তমানে আনবার আইএস জঙ্গিদের দখলে রয়েছে। কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে মিলে জর্ডানও সিরিয়ার আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় অংশগ্রহণ করছে। বাদশাহ আবদুল্লাহ বর্ধিত আর্থিক সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এদিকে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের দেইর ইজ্জরে শনিবার ভয়াবহ যুদ্ধের পর সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিমান ঘাঁটির কিছু অংশ দখল করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা। মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, আইএস জঙ্গিরা শনিবার ভোরে দেইর ইজ্জরে সামরিক বাহিনীর একটি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়।
ইরাকে হামলার কথা স্বীকার করেছে ইরান
ইরাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ইরানি সেনাবাহিনীর বিমান হামলার কথা স্বীকার করেছে তেহরান। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম রহিমপোর ব্রিটিশ ডেইলি দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা স্বীকার করেন।
তিনি জানান, নভেম্বরের শেষ দিকে ইরাক সরকারের অনুরোধে দেশটির দিয়ালা প্রদেশে আইএসবিরোধী বিমান হামলা চালায় ইরানি সেনাবাহিনী। দিয়ালা ইরান সীমান্তে অবস্থিত। তবে ইরানের বিমান হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কোনো সমন্বয় নেই বলে জানান তিনি। ইরানের ওই কর্মকর্তা জানান, ইরাকে তাদের বিমান হামলার উদ্দেশ্য হল মিত্র দেশের স্বার্থ রক্ষা। লন্ডনে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে ইব্রাহিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কোনো সমন্বয় নেই, আমরা শুধু সমন্বয় করছি ইরাক সরকারের সঙ্গে। ইরাক সরকারের অনুরোধে চালানো সেনা অভিযান সে দেশের সরকারকে সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযানে ইরানের ভূমিকা সম্পর্কে এই প্রথম দেশটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়া হল। এএফপি।
ইরাকের আনবার প্রদেশ জর্ডানের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। বর্তমানে আনবার আইএস জঙ্গিদের দখলে রয়েছে। কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে মিলে জর্ডানও সিরিয়ার আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় অংশগ্রহণ করছে। বাদশাহ আবদুল্লাহ বর্ধিত আর্থিক সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এদিকে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের দেইর ইজ্জরে শনিবার ভয়াবহ যুদ্ধের পর সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিমান ঘাঁটির কিছু অংশ দখল করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা। মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, আইএস জঙ্গিরা শনিবার ভোরে দেইর ইজ্জরে সামরিক বাহিনীর একটি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়।
ইরাকে হামলার কথা স্বীকার করেছে ইরান
ইরাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ইরানি সেনাবাহিনীর বিমান হামলার কথা স্বীকার করেছে তেহরান। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম রহিমপোর ব্রিটিশ ডেইলি দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা স্বীকার করেন।
তিনি জানান, নভেম্বরের শেষ দিকে ইরাক সরকারের অনুরোধে দেশটির দিয়ালা প্রদেশে আইএসবিরোধী বিমান হামলা চালায় ইরানি সেনাবাহিনী। দিয়ালা ইরান সীমান্তে অবস্থিত। তবে ইরানের বিমান হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কোনো সমন্বয় নেই বলে জানান তিনি। ইরানের ওই কর্মকর্তা জানান, ইরাকে তাদের বিমান হামলার উদ্দেশ্য হল মিত্র দেশের স্বার্থ রক্ষা। লন্ডনে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে ইব্রাহিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কোনো সমন্বয় নেই, আমরা শুধু সমন্বয় করছি ইরাক সরকারের সঙ্গে। ইরাক সরকারের অনুরোধে চালানো সেনা অভিযান সে দেশের সরকারকে সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযানে ইরানের ভূমিকা সম্পর্কে এই প্রথম দেশটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়া হল। এএফপি।
No comments