জঙ্গিরা গণতন্ত্রে হামলা করছে : মোদি
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর উপত্যাকায়
সেনাক্যাম্পে জঙ্গি হামলা প্রসঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বলেছেন, সামরিক পোশাকের জঙ্গিরা ভারতের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত করছে। জওয়ানদের
প্রশংসা করে দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের আÍত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান
তিনি। খবর ইনডিয়া টুডের।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা ভারতের গণতন্ত্রে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু আমাদের জওয়ানরা জীবন দিয়ে জঙ্গিদের প্রতিহত করেছে।’ শনিবার ঝাড়খণ্ডের একটি নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডের বীর সন্তান সংকল্প কুমার ও অন্য জওয়ানদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, যারা দেশের নিরাপত্তায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। শুক্রবার কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলীয় বারামুলা জেলার উরি সেনাক্যাম্পে সীমান্ত পার হয়ে আসা জঙ্গিদের চারবারের হামলায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল সংকল্প কুমারসহ ১১ জন নিরাপত্তা সদস্য নিহত হন। এতে সেনাক্যাম্পটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এসব সন্ত্রাসী হামলাকে ‘উন্মত্ত প্রচেষ্টা’ অভিহিত করে মোদি তার নিন্দা জানান।
এদিকে, ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল দালবির সিং সুহাগ বলেছেন, কাশ্মীরের সেনাক্যাম্পে হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা নির্বাচন বানচালের ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। উরি সেনাক্যাম্পে জঙ্গি হামলার পর শনিবার তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, সেনা সদস্যরা এখন ২৪ ঘণ্টা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছেন।
দালবির বলেন, ‘এসব হামলা ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ধ্বংস করার অপচেষ্টা। কাশ্মীরের তৃতীয় দফা নির্বাচন বানচালের জন্য জঙ্গিরা হামলা করছে। আমি জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই, জঙ্গিদের এ ধরনের কোনো চেষ্টা সফল করতে দেয়া হবে না।’ জেনারেল দালবির শনিবার নিহত জওয়ানদের শেষ কৃত্যানুষ্ঠান পালনে শ্রীনগরের বাদামিবাগ ক্যান্টনমেন্টে যান। এ সময় তিনি জীবন উৎসর্গকারী এসব জওয়ানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি এই সাহসী জওয়ানদের প্রতি সশ্রদ্ধ স্যালুট জানাই, যারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। তাদের আÍোৎসর্গ বিফলে যাবে না। এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।’ সেনাপ্রধান অঞ্চল ঘুরে ঘুরে নিরাপত্তা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন।
ওদিকে, জম্মু কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধির পেছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করেছেন কংগ্রেসের ভাইস প্রেসডেন্ট রাহুল গান্ধী। শনিবার তিনি বলেছেন, মোদি ক্ষমতায় আসার পর ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে। রাহুল বলেন, তিনি (মোদি) বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে তিনি ঝামেলা মিটিয়ে ফেলবেন। তা পারছেন কই? কংগ্রেসের এ নেতা আরও বলেন, যখন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন কাশ্মীরে পর্যটকরা বেড়াতে আসতেন। আর মোদি ক্ষমতায় আসার পর সন্ত্রাসীরা আসে। মোদি যেখানে যান, সেখানেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়, সন্ত্রাস হয়। এখন মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তর প্রদেশেও তা হতে যাচ্ছে। বিজেপি এক সম্প্র্রদায়কে আরেক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করায়।
নয়াদিল্লিতে রেড এলার্ট
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের দফায় দফায় হামলার পর সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীতে শুক্রবার রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গোটা রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, মেট্রো স্টেশন ও মলগুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনায় পুলিশের স্পেশাল অ্যান্ড ট্যাকটিস (সোয়াট) ও হিট টিমের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা ও গোয়েন্দারা দিনভর তৎপর রয়েছেন। তারা সন্দেহভাজনদের যে কোনো ধরনের চলাচলের ওপর তীক্ষè নজর রাখছেন। দিল্লি পুলিশ কমিশনার বিএস বাসি শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব জেলার ডিসিপিদের সঙ্গে বাহিনীর প্রস্তুতির বিষয়টি পর্যালোচনা করেন। ইন্ডিয়া গেট ও রেড ফোর্টের মতো স্থানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং কৌশলগত স্থানগুলোতে পিসিআর ভ্যান মোতায়েন করা হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা ভারতের গণতন্ত্রে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু আমাদের জওয়ানরা জীবন দিয়ে জঙ্গিদের প্রতিহত করেছে।’ শনিবার ঝাড়খণ্ডের একটি নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডের বীর সন্তান সংকল্প কুমার ও অন্য জওয়ানদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, যারা দেশের নিরাপত্তায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। শুক্রবার কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলীয় বারামুলা জেলার উরি সেনাক্যাম্পে সীমান্ত পার হয়ে আসা জঙ্গিদের চারবারের হামলায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল সংকল্প কুমারসহ ১১ জন নিরাপত্তা সদস্য নিহত হন। এতে সেনাক্যাম্পটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এসব সন্ত্রাসী হামলাকে ‘উন্মত্ত প্রচেষ্টা’ অভিহিত করে মোদি তার নিন্দা জানান।
এদিকে, ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল দালবির সিং সুহাগ বলেছেন, কাশ্মীরের সেনাক্যাম্পে হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা নির্বাচন বানচালের ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। উরি সেনাক্যাম্পে জঙ্গি হামলার পর শনিবার তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, সেনা সদস্যরা এখন ২৪ ঘণ্টা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছেন।
দালবির বলেন, ‘এসব হামলা ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ধ্বংস করার অপচেষ্টা। কাশ্মীরের তৃতীয় দফা নির্বাচন বানচালের জন্য জঙ্গিরা হামলা করছে। আমি জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই, জঙ্গিদের এ ধরনের কোনো চেষ্টা সফল করতে দেয়া হবে না।’ জেনারেল দালবির শনিবার নিহত জওয়ানদের শেষ কৃত্যানুষ্ঠান পালনে শ্রীনগরের বাদামিবাগ ক্যান্টনমেন্টে যান। এ সময় তিনি জীবন উৎসর্গকারী এসব জওয়ানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি এই সাহসী জওয়ানদের প্রতি সশ্রদ্ধ স্যালুট জানাই, যারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। তাদের আÍোৎসর্গ বিফলে যাবে না। এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।’ সেনাপ্রধান অঞ্চল ঘুরে ঘুরে নিরাপত্তা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন।
ওদিকে, জম্মু কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধির পেছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করেছেন কংগ্রেসের ভাইস প্রেসডেন্ট রাহুল গান্ধী। শনিবার তিনি বলেছেন, মোদি ক্ষমতায় আসার পর ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে। রাহুল বলেন, তিনি (মোদি) বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে তিনি ঝামেলা মিটিয়ে ফেলবেন। তা পারছেন কই? কংগ্রেসের এ নেতা আরও বলেন, যখন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন কাশ্মীরে পর্যটকরা বেড়াতে আসতেন। আর মোদি ক্ষমতায় আসার পর সন্ত্রাসীরা আসে। মোদি যেখানে যান, সেখানেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়, সন্ত্রাস হয়। এখন মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তর প্রদেশেও তা হতে যাচ্ছে। বিজেপি এক সম্প্র্রদায়কে আরেক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করায়।
নয়াদিল্লিতে রেড এলার্ট
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের দফায় দফায় হামলার পর সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীতে শুক্রবার রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গোটা রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, মেট্রো স্টেশন ও মলগুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনায় পুলিশের স্পেশাল অ্যান্ড ট্যাকটিস (সোয়াট) ও হিট টিমের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা ও গোয়েন্দারা দিনভর তৎপর রয়েছেন। তারা সন্দেহভাজনদের যে কোনো ধরনের চলাচলের ওপর তীক্ষè নজর রাখছেন। দিল্লি পুলিশ কমিশনার বিএস বাসি শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব জেলার ডিসিপিদের সঙ্গে বাহিনীর প্রস্তুতির বিষয়টি পর্যালোচনা করেন। ইন্ডিয়া গেট ও রেড ফোর্টের মতো স্থানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং কৌশলগত স্থানগুলোতে পিসিআর ভ্যান মোতায়েন করা হয়েছে।
No comments