চউকের প্লট বরাদ্দ নিয়ে চরম স্বেচ্ছাচারিতা
সবার শেষে বরাদ্দ দেয়া হলেও সবার আগে
রেজিস্ট্রি দেয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসিক প্রকল্প
‘অনন্যা’র বহুল আলোচিত বেশ কিছু প্লট! বিশেষ করে গ্রহীতারা মন্ত্রী-এমপি
তথা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সরকারের সাবেক এবং বর্তমান আমলা হওয়ার কারণেই
তারা বিশেষ এ সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে লটারির মাধ্যমে প্লট পাওয়া সাধারণ
গ্রহীতাদের প্লট রেজিস্ট্রি করে দেয়া হচ্ছে না। বছরের পর বছর অপেক্ষা করে
কিংবা চউকের পাওনা পরিশোধের পর রেজিস্ট্রির জন্য আবেদন করেও রেজিস্ট্রি
নিতে পারছেন না তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চউক সর্বশেষ যেসব প্লট
মন্ত্রী-এমপি ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের ‘উপঢৌকন’ হিসেবে দিয়েছে সেসব প্লট
দ্রুত রেজিস্ট্রি করে দেয়া হচ্ছে। প্লটগুলো নিয়ম না মেনে দেয়ায় ব্যাপক
সমালোচনার মুখে পড়েন চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। সরকার না থাকলে কিংবা
দুদকের ‘বদ’ নজর পড়লে এসব প্লট নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে- এ কারণেই
প্লটগুলো দ্রুত রেজিস্ট্রি করে দেয়া হচ্ছে। এদিকে চউক থেকে রেজিস্ট্রি
নেয়ার পর ভিআইপি গ্রহীতারা নিজ নিজ প্লট দ্রুত হাতবদল অর্থাৎ বিক্রি করে
দিয়েছেন। অনন্যা আবাসিক প্রকল্পের ডি ব্লকে এ ধরনের প্রায় ৫৯ প্লট রয়েছে।
যার বেশির ভাগই ৪ থেকে ৫ কাঠার।
যদিও চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, সরকারি বিধি-বিধান ও শর্ত মেনেই মন্ত্রী-এমপি বা সরকারদলীয় নেতা ও আমলাদের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রি ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে না বা বিশেষ সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। যারাই প্লটের বিপরীতে চউকের পাওনা পরিশোধ করছেন তাদের নিয়ম মেনে প্লট রেজিস্ট্রির ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে। চউকের নামে নামজারি বা মিউটেশন না হওয়ার কারণে অনন্যার অন্য ব্লকের প্লট রেজিস্ট্রি বিলম্ব হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ-ব্লকের প্লট চউকের নামে নামজারি সম্পন্ন হয়েছে। এসব প্লট রেজিস্ট্রি কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে।
চউক সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে অনন্যা আবাসিক এলাকায় লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন কোটায় প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এসব প্লট গ্রহীতাদের বুঝিয়ে দিতে পারেনি চউক। নালা-নর্দমা নির্মাণ, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে শম্ভুক গতির কারণে বিলম্ব হয়। ফলে গ্রহীতাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এদিকে ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৪০৫তম বোর্ড সভায় অনন্যা আবাসিক এলাকার ডি-ব্লকের ৫৯টি প্লট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে অন্তত ২০টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-এমপিদের নামে। বাকিগুলো আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পূর্ত মন্ত্রণালয় ও চউকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের নামে-বেনামে বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব প্লটের বরাদ্দপত্র পাঠানো হয় একই বছরের ২১ নভেম্বর। অনেকটা গোপনে কম মূল্যে এভাবে প্লট বরাদ্দ দেয়ার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় চট্টগ্রামজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। চউকের অধিকাংশ বোর্ড মেম্বারও এ প্লট বরাদ্দ সম্পর্কে অন্ধকারে ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। অনন্যার ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরাও এতে ক্ষুব্দ হন। ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের অভিযোগ, যাদের জমি-জমা অধিগ্রহণ করে এই আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত তেমন ভূমি মালিকদের ৪ জনকে বি-ব্লকে মাত্র আড়াই কাঠার একটি প্লটও দেয়া হয়েছে। একই ব্লকের আড়াই কাঠার ২১৫ নম্বর প্লটটি দেয়া হয়েছে তিনজন ক্ষতিগ্রস্ত মালিককে। সূত্র জানায়, সবার শেষে বরাদ্দ দেয়া আলোচিত এসব প্লটের বরাদ্দ বাতিল চেয়ে আবু সাঈদ চৌধুরী নামে ক্ষতিগ্রস্ত একজন ভূমি মালিক পূর্ত সচিব ও চউক চেয়ারম্যানস সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাফসান আল আলভি প্রদত্ত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯৮ সালের বরাদ্দ নীতিমালা এবং অনন্যা আবাসিক এলাকার প্লট বরাদ্দ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে নিজের লাভের জন্য চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম গোপনে অনন্যা আবাসিক এলাকার অনধিক ৫০টি প্লট চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক নেতা এবং তার আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে বরাদ্দ দিয়েছেন। এতে যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন। এ প্রকল্পে আবু সাঈদ চৌধুরীর ০ দশমিক ১৪০০ একর বা ১৪ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে তার প্লট পাওয়ার কথা থাকলেও আবেদন করার পরও তার অনুকূলে চউক কর্তৃপক্ষ কোনো প্লট বরাদ্দ করেনি। চউক কর্মচারীদের সংগঠন চউক কর্মচারী লীগও এ বরাদ্দ নিয়ে ক্ষুব্দ। মূলত এসব কারণেই সবার শেষে বরাদ্দ দেয়া প্লটগুলো সবার আগে রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা করেছে চউক। রেজিস্ট্রি পাওয়ার পর অনেক মন্ত্রী-এমপি তথা ভিআইপি প্লট বাতিল বা ঝামেলায় জড়ানোর আশংকায় প্লটগুলো হাতবদল বা বিক্রি করে দিয়েছেন। এরই মধ্যে চউক থেকে রেজিস্ট্রি নেয়ার পর সীতাকুণ্ডের সাবেক এমপি আবুল কাসেম মাস্টার, পটিয়ার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বাহাউদ্দিন খালেক শাহজী তাদের প্লট বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া মিরসরাইয়ের এমপি পূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বান্দরবানের এমপি বীর বাহাদুর, সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া তাদের অনুকূলে বরাদ্দ করা প্লট রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন।
যদিও চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, সরকারি বিধি-বিধান ও শর্ত মেনেই মন্ত্রী-এমপি বা সরকারদলীয় নেতা ও আমলাদের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রি ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে না বা বিশেষ সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। যারাই প্লটের বিপরীতে চউকের পাওনা পরিশোধ করছেন তাদের নিয়ম মেনে প্লট রেজিস্ট্রির ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে। চউকের নামে নামজারি বা মিউটেশন না হওয়ার কারণে অনন্যার অন্য ব্লকের প্লট রেজিস্ট্রি বিলম্ব হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ-ব্লকের প্লট চউকের নামে নামজারি সম্পন্ন হয়েছে। এসব প্লট রেজিস্ট্রি কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে।
চউক সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে অনন্যা আবাসিক এলাকায় লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন কোটায় প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এসব প্লট গ্রহীতাদের বুঝিয়ে দিতে পারেনি চউক। নালা-নর্দমা নির্মাণ, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে শম্ভুক গতির কারণে বিলম্ব হয়। ফলে গ্রহীতাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এদিকে ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৪০৫তম বোর্ড সভায় অনন্যা আবাসিক এলাকার ডি-ব্লকের ৫৯টি প্লট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে অন্তত ২০টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-এমপিদের নামে। বাকিগুলো আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পূর্ত মন্ত্রণালয় ও চউকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের নামে-বেনামে বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব প্লটের বরাদ্দপত্র পাঠানো হয় একই বছরের ২১ নভেম্বর। অনেকটা গোপনে কম মূল্যে এভাবে প্লট বরাদ্দ দেয়ার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় চট্টগ্রামজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। চউকের অধিকাংশ বোর্ড মেম্বারও এ প্লট বরাদ্দ সম্পর্কে অন্ধকারে ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। অনন্যার ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরাও এতে ক্ষুব্দ হন। ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের অভিযোগ, যাদের জমি-জমা অধিগ্রহণ করে এই আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত তেমন ভূমি মালিকদের ৪ জনকে বি-ব্লকে মাত্র আড়াই কাঠার একটি প্লটও দেয়া হয়েছে। একই ব্লকের আড়াই কাঠার ২১৫ নম্বর প্লটটি দেয়া হয়েছে তিনজন ক্ষতিগ্রস্ত মালিককে। সূত্র জানায়, সবার শেষে বরাদ্দ দেয়া আলোচিত এসব প্লটের বরাদ্দ বাতিল চেয়ে আবু সাঈদ চৌধুরী নামে ক্ষতিগ্রস্ত একজন ভূমি মালিক পূর্ত সচিব ও চউক চেয়ারম্যানস সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাফসান আল আলভি প্রদত্ত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯৮ সালের বরাদ্দ নীতিমালা এবং অনন্যা আবাসিক এলাকার প্লট বরাদ্দ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে নিজের লাভের জন্য চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম গোপনে অনন্যা আবাসিক এলাকার অনধিক ৫০টি প্লট চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক নেতা এবং তার আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে বরাদ্দ দিয়েছেন। এতে যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন। এ প্রকল্পে আবু সাঈদ চৌধুরীর ০ দশমিক ১৪০০ একর বা ১৪ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে তার প্লট পাওয়ার কথা থাকলেও আবেদন করার পরও তার অনুকূলে চউক কর্তৃপক্ষ কোনো প্লট বরাদ্দ করেনি। চউক কর্মচারীদের সংগঠন চউক কর্মচারী লীগও এ বরাদ্দ নিয়ে ক্ষুব্দ। মূলত এসব কারণেই সবার শেষে বরাদ্দ দেয়া প্লটগুলো সবার আগে রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা করেছে চউক। রেজিস্ট্রি পাওয়ার পর অনেক মন্ত্রী-এমপি তথা ভিআইপি প্লট বাতিল বা ঝামেলায় জড়ানোর আশংকায় প্লটগুলো হাতবদল বা বিক্রি করে দিয়েছেন। এরই মধ্যে চউক থেকে রেজিস্ট্রি নেয়ার পর সীতাকুণ্ডের সাবেক এমপি আবুল কাসেম মাস্টার, পটিয়ার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বাহাউদ্দিন খালেক শাহজী তাদের প্লট বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া মিরসরাইয়ের এমপি পূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বান্দরবানের এমপি বীর বাহাদুর, সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া তাদের অনুকূলে বরাদ্দ করা প্লট রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন।
No comments