এবার বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস!
চিলমারীতে জে.এস.সি ও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার পর এবার বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে কোচিং সেন্টারের উপর দোষ চাপিয়ে দায় এড়াতে চাইছেন এ উপজেলার শিক্ষকরা। এঘটনায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও সচেতন মহল। জানা যায়, ১লা ডিসেম্বর উপজেলার সকল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪টি সেটের মাধ্যমে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। শনিবার থানাহাট এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চিলমারী উচ্চ বিদ্যালয়, বালাবাড়িহাট দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, বালাবাড়িহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শরীফের হাট উচ্চ বিদ্যালয়, ফকিরের হাট বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুলে গণিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে কিছু অসাধু ব্যাক্তি মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে শুক্রবার পরীক্ষা শুরুর আগেরদিন প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পড়া-লেখা ছেড়ে উপজেলার বিভিন্ন ফটোস্ট্যাটের দোকানে প্রশ্নপত্র ফটোকপি করতে দেখা গেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে গোটা উপজেলায় অভিভাবক ও সচেতন মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও চিলমারী থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর-ই-এলাহী বাদশা বলেন, কোচিং সেন্টারগুলো এ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আরিফুল্লাহ জানান, মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস একটা লজ্জাজনক ঘটনা। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।
No comments