লক্ষ্য ছিলেন প্রণবের দিদি
বাংলাদেশে
আওয়ামি লিগের উপর হামলা চালাতে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরক তৈরি করছিল
জঙ্গিরা এমনটাই জানা ছিল এত দিন। কিন্তু গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, সেই মোড়কের
আড়ালে আসল লক্ষ্য সম্ভবত ছিলেন রাজনীতি থেকে শত হস্ত দূরে থাকা এক বৃদ্ধা।
তিনি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দিদি অন্নপূর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়। অশীতিপর
অন্নপূর্ণা দেবী থাকেন কীর্ণাহারের পরোটা গ্রামে। কিন্তু জামাতুল
মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি তাঁকে নিশানা করবে কেন? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা বলছেন, প্রণববাবু দেশের রাষ্ট্রপতি। গোটা বিশ্বের
রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেই তাঁর ব্যক্তিগত স্তরে সখ্য রয়েছে। গোয়েন্দাদের
বক্তব্য, আঁটোসাটো নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রপতির উপর কোনও আঁচ ফেলার ক্ষমতা
এই সন্ত্রাসবাদীদের নেই। কিন্তু তাঁর অত্যন্ত কাছের এই মানুষটির উপর বড়
ধরনের হামলা করে রাতারাতি আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া ফেলে দেওয়াই ছিল জেএমবি-র
লক্ষ্য। যাতে মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় কিছুটা ওজন বাড়ে তাদের। কেন্দ্রীয়
গোয়েন্দাদের মতে, জঙ্গিদের এই ছক নতুন নয়। বিশ্বের অনেক দেশেই তারা
রাষ্ট্রনেতাদের নিকট কোনও আত্মীয়-পরিজনকে নিশানা করার চেষ্টা করেছে। সে কথা
মাথায় রেখেই রাজনৈতিক কারণে সমালোচনা করলেও সনিয়া গাঁধীর জামাই রবার্ট
বঢরাকে এসপিজি নিরাপত্তা দিতে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। নির্বাচনী হলফনামায়
যশোদাবেনকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করলেও তাঁকে ঘরে তোলেননি প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু যশোদাবেনকেও এসপিজি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এমনকী,
মোদী যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখনও মেহসানার এই প্রাথমিক স্কুল
শিক্ষিকার উপর নজর রাখতেন সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা।
লাভপুরের মিরিটি গ্রামের পৈতৃক ভিটেয় প্রণববাবুর পারিবারিক দুর্গাপুজো বহু দিনের। আগে তা নিয়ে তেমন হইচই হতো না। প্রথম ইউপিএ জমানায় প্রণববাবু যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন, তখন থেকেই তাঁর এই দুর্গাপুজোর উপর নজর পড়ে সংবাদমাধ্যমের। এক বার তৎকালীন মার্কিন বিদেশসচিব কন্ডোলিজা রাইজের ফোনও এসেছিল এই বাড়িতে। প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে ক্রমশ সংবাদমাধ্যমের আলোয় আসে তাঁর পরিবার, বিশেষ করে তাঁর বড় দিদি অন্নপূর্ণা দেবী। পৈতৃক ভিটেয় পুজো করলেও প্রণববাবু অনেক সময়েই রাত্রিবাস করেন পরোটা গ্রামে, দিদির বাড়িতে। যে বাড়ি থেকে মাত্র আধ কিলোমিটার দূরে নানুরের নিমড়া গ্রামের মাঠপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি ছিল খাগড়াগড়-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত জামাত সদস্য কওসরের। স্ত্রী জিন্নাতুর ওরফে লক্ষ্মীকে নিয়ে এই বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করত সে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরেই নিমড়া গ্রামের বাড়ি থেকে সপরিবার উধাও হয়ে যায় কওসরের শ্যালক কাদের ওরফে কদর গাজি।
খাগড়াগড়ে রাসায়নিক-বিস্ফোরক সরবরাহ করার অভিযোগে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) নানুরের কাজি মার্কেটের আমজাদ শেখ ওরফে কাজলকে গ্রেফতার করেছে। আবার খাগড়াগড় বিস্ফোরণে নিহতদের অন্যতম কাজলের পিসতুতো ভাই করিম শেখ নানুরেরই কাফেরপুর গ্রামের বাসিন্দা। পরোটা থেকে কাজি মার্কেট আধ কিলোমিটার দূরে। আর কাফেরপুরের দূরত্ব বড়জোর তিন কিলোমিটার।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে এনআইএ যখন নানুরে ধরপাকড় করছে, সে সময় অন্নপূর্ণা দেবী বলেছিলেন, “আমার বাবা কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। ভাই (প্রণববাবু) দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি দেখার অভিজ্ঞতা আমাদের আগেও হয়েছে। তাই ভয় পাচ্ছি না। তবে আশঙ্কা তো হচ্ছেই।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “জঙ্গিদের কল-রেকর্ড থেকে জানা যাচ্ছে, বর্ধমান ও বীরভূমের ডেরার মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সে দিক থেকে রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দাদের একটা মৌলিক ব্যর্থতা তো রয়েছেই। কারণ, তারা গোটা ব্যাপারটা টেরই পায়নি। তবে ভগবান ভরসা যে, খাগড়াগড়ের ডেরায় বোমা বানানোর সরঞ্জাম থেকে বিস্ফোরণটি ঘটে গিয়েছিল। না হলে এত দিনে কোনও অনর্থ ঘটে গেলেও আশ্চর্যের কিছু ছিল না! ”
নিমড়া গ্রামে জঙ্গি ডেরার হদিস মেলার পরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে একটি চিঠি লিখেছিলেন প্রণব-পুত্র সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। অভিজিতের বক্তব্য, “রাষ্ট্রপতি কীর্ণাহার পৌঁছে গিয়েছিলেন ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয় ২ অক্টোবর থেকে, খাগড়াগড়-কাণ্ডের পরে। কেন হঠাৎই তা করা হয়েছিল, তখন বোঝা যায়নি। তবে পরে জানা গিয়েছিল, জঙ্গিরা ওখানে রকেট লঞ্চার তৈরি করছিল।” তাঁর কথায়, “রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধান। কীর্ণাহারে তাঁর বা তাঁর পরিবারের উপরে কোনও হামলা হলে রাষ্ট্রের অস্বস্তি হতো।”
নর্থ ব্লক সূত্রের খবর, সেই ‘অস্বস্তি’র কথাটা ভাবতে গেলেই হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে গোয়েন্দাদের। রাষ্ট্রপতির পরিবারের উপরে হামলার ছকের কথা জানতে পেরেই রাজনাথ আলোচনায় বসেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। তার পরে তাঁরা জঙ্গি কার্যকলাপের বিষয়টি বিশদে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়। তার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্তভার এনআইএ-র হাতে দেওয়ার ব্যাপারে শুরুতে রাজ্য সরকার আপত্তি করেছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্র জানাচ্ছে, পরে ডোভালের কাছ থেকে জঙ্গিদের পরিকল্পনা জানার পরে মুখ্যমন্ত্রী সুর নরম করেন। প্রকাশ্যে তিনি কেন্দ্রের প্রতি বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, “একটু আগে তো জানাতে হবে ভাই!”
যদিও বিজেপির প্রতি রাজনৈতিক আক্রমণ বন্ধ রাখেননি মমতা। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে আরএসএসের সদস্য বলেই ক্ষান্ত হননি তিনি, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের নেপথ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ তথা ‘র’-এর হাত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা অবশ্য মানছেন, রাজ্য সরকার তদন্তে সাহায্য করছে।
রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সমালোচনা না করলেও রাষ্ট্রপতি পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেছেন, “রাজ্যের পুলিশ পারদর্শী। নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে দিলে তাঁরা নিশ্চয়ই আরও ভাল কাজ করতে পারবেন।”
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
লাভপুরের মিরিটি গ্রামের পৈতৃক ভিটেয় প্রণববাবুর পারিবারিক দুর্গাপুজো বহু দিনের। আগে তা নিয়ে তেমন হইচই হতো না। প্রথম ইউপিএ জমানায় প্রণববাবু যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন, তখন থেকেই তাঁর এই দুর্গাপুজোর উপর নজর পড়ে সংবাদমাধ্যমের। এক বার তৎকালীন মার্কিন বিদেশসচিব কন্ডোলিজা রাইজের ফোনও এসেছিল এই বাড়িতে। প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে ক্রমশ সংবাদমাধ্যমের আলোয় আসে তাঁর পরিবার, বিশেষ করে তাঁর বড় দিদি অন্নপূর্ণা দেবী। পৈতৃক ভিটেয় পুজো করলেও প্রণববাবু অনেক সময়েই রাত্রিবাস করেন পরোটা গ্রামে, দিদির বাড়িতে। যে বাড়ি থেকে মাত্র আধ কিলোমিটার দূরে নানুরের নিমড়া গ্রামের মাঠপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি ছিল খাগড়াগড়-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত জামাত সদস্য কওসরের। স্ত্রী জিন্নাতুর ওরফে লক্ষ্মীকে নিয়ে এই বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করত সে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরেই নিমড়া গ্রামের বাড়ি থেকে সপরিবার উধাও হয়ে যায় কওসরের শ্যালক কাদের ওরফে কদর গাজি।
খাগড়াগড়ে রাসায়নিক-বিস্ফোরক সরবরাহ করার অভিযোগে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) নানুরের কাজি মার্কেটের আমজাদ শেখ ওরফে কাজলকে গ্রেফতার করেছে। আবার খাগড়াগড় বিস্ফোরণে নিহতদের অন্যতম কাজলের পিসতুতো ভাই করিম শেখ নানুরেরই কাফেরপুর গ্রামের বাসিন্দা। পরোটা থেকে কাজি মার্কেট আধ কিলোমিটার দূরে। আর কাফেরপুরের দূরত্ব বড়জোর তিন কিলোমিটার।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে এনআইএ যখন নানুরে ধরপাকড় করছে, সে সময় অন্নপূর্ণা দেবী বলেছিলেন, “আমার বাবা কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। ভাই (প্রণববাবু) দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি দেখার অভিজ্ঞতা আমাদের আগেও হয়েছে। তাই ভয় পাচ্ছি না। তবে আশঙ্কা তো হচ্ছেই।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “জঙ্গিদের কল-রেকর্ড থেকে জানা যাচ্ছে, বর্ধমান ও বীরভূমের ডেরার মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সে দিক থেকে রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দাদের একটা মৌলিক ব্যর্থতা তো রয়েছেই। কারণ, তারা গোটা ব্যাপারটা টেরই পায়নি। তবে ভগবান ভরসা যে, খাগড়াগড়ের ডেরায় বোমা বানানোর সরঞ্জাম থেকে বিস্ফোরণটি ঘটে গিয়েছিল। না হলে এত দিনে কোনও অনর্থ ঘটে গেলেও আশ্চর্যের কিছু ছিল না! ”
নিমড়া গ্রামে জঙ্গি ডেরার হদিস মেলার পরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে একটি চিঠি লিখেছিলেন প্রণব-পুত্র সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। অভিজিতের বক্তব্য, “রাষ্ট্রপতি কীর্ণাহার পৌঁছে গিয়েছিলেন ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয় ২ অক্টোবর থেকে, খাগড়াগড়-কাণ্ডের পরে। কেন হঠাৎই তা করা হয়েছিল, তখন বোঝা যায়নি। তবে পরে জানা গিয়েছিল, জঙ্গিরা ওখানে রকেট লঞ্চার তৈরি করছিল।” তাঁর কথায়, “রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধান। কীর্ণাহারে তাঁর বা তাঁর পরিবারের উপরে কোনও হামলা হলে রাষ্ট্রের অস্বস্তি হতো।”
নর্থ ব্লক সূত্রের খবর, সেই ‘অস্বস্তি’র কথাটা ভাবতে গেলেই হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে গোয়েন্দাদের। রাষ্ট্রপতির পরিবারের উপরে হামলার ছকের কথা জানতে পেরেই রাজনাথ আলোচনায় বসেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। তার পরে তাঁরা জঙ্গি কার্যকলাপের বিষয়টি বিশদে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়। তার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্তভার এনআইএ-র হাতে দেওয়ার ব্যাপারে শুরুতে রাজ্য সরকার আপত্তি করেছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্র জানাচ্ছে, পরে ডোভালের কাছ থেকে জঙ্গিদের পরিকল্পনা জানার পরে মুখ্যমন্ত্রী সুর নরম করেন। প্রকাশ্যে তিনি কেন্দ্রের প্রতি বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, “একটু আগে তো জানাতে হবে ভাই!”
যদিও বিজেপির প্রতি রাজনৈতিক আক্রমণ বন্ধ রাখেননি মমতা। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে আরএসএসের সদস্য বলেই ক্ষান্ত হননি তিনি, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের নেপথ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ তথা ‘র’-এর হাত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা অবশ্য মানছেন, রাজ্য সরকার তদন্তে সাহায্য করছে।
রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সমালোচনা না করলেও রাষ্ট্রপতি পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেছেন, “রাজ্যের পুলিশ পারদর্শী। নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে দিলে তাঁরা নিশ্চয়ই আরও ভাল কাজ করতে পারবেন।”
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
No comments