চট্টগ্রামে হোটেল ও রেস্টহাউজে কলগার্ল বাণিজ্য -২সপ্তাহে ৩শতাধিক আটক by ওমর ফারুক
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আবাসিক হোটেল ও রেস্টহাউজগুলোতে কলগার্ল বাণিজ্য রমরমা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নগরীর অভিজাত এলাকা খুলশী, নাসিরাবাদ, আগ্রাবাদ, অলঙ্কার, পতেঙ্গা ও রেলস্টেশন এলাকায় কলগার্ল বাণিজ্য ও দেহব্যবসায় চলছে। এসব রেস্টহাউজ ও আবাসিক হোটেলকে ব্যবহার করে প্রতারক সুন্দরীদের ফাঁদে ফেলে একটি চক্র ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সর্বস্বান্ত করছে। নগরীর হোটেল ও রেস্টহাউজগুলোতে এ নিয়ে চলতি বছরে বেশ কয়েকজন কলগার্ল খুন হওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) দুই সপ্তাহ ধরে নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রেস্টহাউজগুলোয় অভিযান চালিয়ে তিন শতাধিক পতিতা,খদ্দের ও কলগার্ল আটক করেছে। সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিকে নগরীর উত্তর খুলশীর ৫ নম্বর সড়কের এন এস রেস্টহাউজে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত সাত মহিলাকে আটক করেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্্েরট শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এই অভিযান পরিচালনা করে। চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, খুলশী আবাসিক এলাকার এন এস রেস্টহাউজে অবৈধ মাদকদ্রব্যের বিপুল মজুদ থাকার খবরের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু অভিযানকালে এই রেস্টহাউজে মাদকের বাইরে অভিজাত শ্রেণীর জন্য কলগার্ল বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনা উদ্ঘাটিত হয়। অভিযানকালে রেস্টহাউজের ব্যবস্থাপকসহ আটক মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রেস্টহাউজে অবস্থানকারী অতিথিদের চাহিদামতো কলগার্ল সরবরাহ করা হতো।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে বিভিন্ন হোটেলে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১১ জন নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। সিএমপির মুখপাত্র ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার প্রকৌশলী হাছান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নগরীর হোটেলগুলোতে একযোগে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে শতাধিক নারী-পুরুষকে আটক করা হয়।
৯ অক্টোবর অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে নগরীর কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ২৪ জন নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন জানান, অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে নগরীর গেস্ট ইন, মার্টিন হোটেল, ঢাকা হোটেল, হোটেল তুনাজ্জিন, সুগন্ধ হোটেলে অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১২ জন মহিলা ও ১২ জন পুরুষ রয়েছে। তারা হোটেলে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
গত ১০ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে নগরীর বেশ কয়েকটি হোটেল থেকে ১১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫১ জন মহিলা ও ৫৫ জন পুরুষ, ৭৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দু’জন। নগর পুলিশ সূত্রে জান গেছে, গত কয়েক দিনে নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতে ধারাবাহিক অভিযানে এ পর্যন্ত তিন শ’ নারী পুরুষকে আটক করেছে সিএমপির বিভিন্ন থানার পুলিশ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী-পুরুষ আটক হয়েছে নগরীর কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ জানায়, দুই সপ্তাহ ধরে চলা পুলিশি অভিযানে আটক তিন শতাধিক ব্যক্তির মধ্যে শতাধিক কলগার্ল রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং প্রাইভেট কোম্পানির নারী কর্মচারী রয়েছে।
এ দিকে মহানগরীর জুবিলী রোড এলাকার সবচেয়ে অভিজাত হোটেল হিসেবে পরিচিত ‘হোটেল টাওয়ার ইন’-এ পরিচালিত অভিযানে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কলগার্ল ও খদ্দের আটক করা হয়। এই আধুনিক হোটেলে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ চলার বিষয়টি খোদ পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হতবাক করেছে। গেস্ট ইন ও হোটেল মার্টিন থেকে ৫৩ জন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে নগরীর যেসব হোটেলে অভিযান চালানো হয়েছে সেগুলো হলোÑ আকবর শাহ এলাকার হোটেল স্টারমার্ক, গ্রিনওয়ে, সুপার প্রিন্স ১ ও ২, সুপার ইন ১ ও ২, লেকসিটি ও হাইওয়ে। সদরঘাট এলাকার সিলমুন, কোতোয়ালি থানা এলাকার টাওয়ার ইন, গেস্ট ইন ও মার্টিন এবং চান্দগাঁও থানা এলাকার ওয়েল প্লেস ও হোটেল নাদিয়া। চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাছান চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬ থানায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে বিভিন্ন হোটেলে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১১ জন নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। সিএমপির মুখপাত্র ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার প্রকৌশলী হাছান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নগরীর হোটেলগুলোতে একযোগে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে শতাধিক নারী-পুরুষকে আটক করা হয়।
৯ অক্টোবর অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে নগরীর কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ২৪ জন নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন জানান, অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে নগরীর গেস্ট ইন, মার্টিন হোটেল, ঢাকা হোটেল, হোটেল তুনাজ্জিন, সুগন্ধ হোটেলে অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১২ জন মহিলা ও ১২ জন পুরুষ রয়েছে। তারা হোটেলে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
গত ১০ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে নগরীর বেশ কয়েকটি হোটেল থেকে ১১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫১ জন মহিলা ও ৫৫ জন পুরুষ, ৭৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দু’জন। নগর পুলিশ সূত্রে জান গেছে, গত কয়েক দিনে নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতে ধারাবাহিক অভিযানে এ পর্যন্ত তিন শ’ নারী পুরুষকে আটক করেছে সিএমপির বিভিন্ন থানার পুলিশ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী-পুরুষ আটক হয়েছে নগরীর কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ জানায়, দুই সপ্তাহ ধরে চলা পুলিশি অভিযানে আটক তিন শতাধিক ব্যক্তির মধ্যে শতাধিক কলগার্ল রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং প্রাইভেট কোম্পানির নারী কর্মচারী রয়েছে।
এ দিকে মহানগরীর জুবিলী রোড এলাকার সবচেয়ে অভিজাত হোটেল হিসেবে পরিচিত ‘হোটেল টাওয়ার ইন’-এ পরিচালিত অভিযানে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কলগার্ল ও খদ্দের আটক করা হয়। এই আধুনিক হোটেলে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ চলার বিষয়টি খোদ পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হতবাক করেছে। গেস্ট ইন ও হোটেল মার্টিন থেকে ৫৩ জন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে নগরীর যেসব হোটেলে অভিযান চালানো হয়েছে সেগুলো হলোÑ আকবর শাহ এলাকার হোটেল স্টারমার্ক, গ্রিনওয়ে, সুপার প্রিন্স ১ ও ২, সুপার ইন ১ ও ২, লেকসিটি ও হাইওয়ে। সদরঘাট এলাকার সিলমুন, কোতোয়ালি থানা এলাকার টাওয়ার ইন, গেস্ট ইন ও মার্টিন এবং চান্দগাঁও থানা এলাকার ওয়েল প্লেস ও হোটেল নাদিয়া। চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাছান চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬ থানায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
No comments