এ রায় ন্যায়ভ্রষ্ট- আসামিপক্ষের প্রতিক্রিয়া
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালের সামনে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, মাওলানা নিজামী ন্যায়বিচার পাননি। ট্রাইব্যুনালের রায় ন্যায়ভ্রষ্ট ও দুর্বল। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। আমরা আপিল করব। আপিলে অবশ্যই এ রায় টিকবে না। তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনাল তার এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, নিজামীকে মন্ত্রী বানানো লজ্জা, অবমাননা ও কলঙ্কের। তাজুল ইসলাম বলেন, জনগণের রায়ে মাওলানা নিজামী এমপি হয়েছেন। এরপর তাকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এখতিয়ারের বাইরে যেয়ে এই মন্তব্য করেছেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের কথা বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে তাজুল ইসলাম বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা ট্রাইব্যুনালের কাজ নয়। তাদের কাজ হলো সংবিধান ও আইন মেনে চলা। রায়ের শুরুতে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, তারা আবেগতাড়িত হবেন না; কিন্তু রায়ের শেষ পর্যন্ত তারা সেটা ধরে রাখতে পারেননি। মামলার বাইরে যেয়ে মন্তব্য করার কারণে এই রায় বাতিল হওয়া উচিত।
ট্রাইব্যুনাল আরো বলেছেন ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরের পরে মাওলানা নিজামী আর ছাত্রসঙ্ঘের সভাপতি ছিলেন না, তাহলে তিনি কিভাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপরাধ করেছেন। মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে বেশির ভাগ অভিযোগই সেপ্টেম্বর মাসের পর। তাহলে তিনি কিভাবে দোষী সাব্যস্ত হন।
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, জামায়াতের রাজনীতি করাই তার বড় অপরাধ। জামায়াতের আমির না হলে তার বিরুদ্ধে এই মামলা সাজানো হতো না। রাষ্ট্রপক্ষ তাকে এক দিকে আল বদরের সুপ্রিম কমান্ডার বলেছেন। অন্য দিকে তাকে লুঙ্গিপরা রাজাকার বলা হয়েছে। লুঙ্গিপরা রাজাকার হিসেবে মাওলানা নিজামীকে মুক্তিযোদ্ধারা সাত দিন নৌকায় গলুইয়ে বেঁধে রেখেছে। এমন এভিডেন্স রয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের ডকুমেন্টে।
মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬ নম্বর অভিযোগ তদন্ত রিপোর্ট এবং ফরমাল চার্জে ছিল না। রাষ্ট্রপক্ষের ডকুমেন্ট অনুযায়ী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডসংক্রান্ত ৪২টি মামলা হয়েছিল যার কোনোটিতে মাওলানা নিজামীর নাম ছিল না। বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষের দুইজন সাক্ষী মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। এই অভিযোগেও মাওলানা নিজামীকে সাজা দেয়া হয়েছে।
মাওলানা নিজামীর আইনজীবী হিসেবে গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেনÑ অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট আশরাফুজ্জামান খান, অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট আবু বকর, অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট গাজী তামিম, অ্যাডভোকেট রায়হান উদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আমিনুল হক, অ্যাডভোকেট তারিকুল হক প্রমুখ।
রায়ের পর্যবেক্ষণে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের কথা বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে তাজুল ইসলাম বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা ট্রাইব্যুনালের কাজ নয়। তাদের কাজ হলো সংবিধান ও আইন মেনে চলা। রায়ের শুরুতে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, তারা আবেগতাড়িত হবেন না; কিন্তু রায়ের শেষ পর্যন্ত তারা সেটা ধরে রাখতে পারেননি। মামলার বাইরে যেয়ে মন্তব্য করার কারণে এই রায় বাতিল হওয়া উচিত।
ট্রাইব্যুনাল আরো বলেছেন ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরের পরে মাওলানা নিজামী আর ছাত্রসঙ্ঘের সভাপতি ছিলেন না, তাহলে তিনি কিভাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপরাধ করেছেন। মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে বেশির ভাগ অভিযোগই সেপ্টেম্বর মাসের পর। তাহলে তিনি কিভাবে দোষী সাব্যস্ত হন।
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, জামায়াতের রাজনীতি করাই তার বড় অপরাধ। জামায়াতের আমির না হলে তার বিরুদ্ধে এই মামলা সাজানো হতো না। রাষ্ট্রপক্ষ তাকে এক দিকে আল বদরের সুপ্রিম কমান্ডার বলেছেন। অন্য দিকে তাকে লুঙ্গিপরা রাজাকার বলা হয়েছে। লুঙ্গিপরা রাজাকার হিসেবে মাওলানা নিজামীকে মুক্তিযোদ্ধারা সাত দিন নৌকায় গলুইয়ে বেঁধে রেখেছে। এমন এভিডেন্স রয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের ডকুমেন্টে।
মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬ নম্বর অভিযোগ তদন্ত রিপোর্ট এবং ফরমাল চার্জে ছিল না। রাষ্ট্রপক্ষের ডকুমেন্ট অনুযায়ী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডসংক্রান্ত ৪২টি মামলা হয়েছিল যার কোনোটিতে মাওলানা নিজামীর নাম ছিল না। বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষের দুইজন সাক্ষী মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। এই অভিযোগেও মাওলানা নিজামীকে সাজা দেয়া হয়েছে।
মাওলানা নিজামীর আইনজীবী হিসেবে গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেনÑ অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট আশরাফুজ্জামান খান, অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট আবু বকর, অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট গাজী তামিম, অ্যাডভোকেট রায়হান উদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আমিনুল হক, অ্যাডভোকেট তারিকুল হক প্রমুখ।
No comments