মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু- কান্না থামছে না রাইসা’র
সাত বছরের শিশু রাইসা বুঝতে পেরেছে মা আর ফিরবে না। চিরতরে চলে গেছে না ফেরার দেশে। আর কেউ তাকে আদর করে বুকে জড়িয়ে ধরবে না। মা মা করে দিনভর কাঁদছে শিশুটি। কেউ তার কান্না থামাতে পারছে না। মেয়ের কান্না দেখে নীরবে চোখের জল ফেলছেন বাবাও। মা-হারা মেয়েকে কি বলে সান্ত্বনা দেবেন তিনি? যেন সান্ত্বনা দেয়ার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন পিতা শিমুল। বলছিলেন, যত যা-ই করি না কেন মায়ের অভাব কি কেউ কোনভাবে পূরণ করতে পারবে? মেয়েটি কাঁদছে কাঁদুক, কেঁদে বুকটা হালকা হলে ও বাঁচতে পারবে।
গত মঙ্গলবার ভোরে ধানমন্ডির সোবহানবাগ মসজিদের সামনে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় শিশু রাইশার মা আয়েশা আক্তার রিপার। মেয়েকে পিতার কাছে রেখে বান্দরবানে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। ভোরে ঢাকায় এসে পান্থপথের শ্যামলী কাউন্টারে নামেন রিপা। পরে রিকশাযোগে মিরপুর সড়ক দিয়ে লালমাটিয়ার বাসায় ফিরছিলেন তিনি। রিকশায় ইব্রাহিম নামে তার এক বন্ধুও ছিল। ভোরে রাস্তা ছিল সম্পূর্ণ ফাঁকা। এই সুযোগে তাদের পিছু নেয় একটি মাইক্রোবাস। কিন্তু বুঝতে পারেনি রিপা। রিকশাটি সোবাহানবাগ মসজিদ পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাস থেকে এক যুবক হাত বাড়িয়ে হঠাৎ তার ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু ব্যাগের ফিতা ছিল রিপার হাতে পেঁচানো। চলন্ত মাইক্রোবাসের টানে ব্যাগের সঙ্গে রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। ছিনতাইকারীও ব্যাগ ধরে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। সঙ্গে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে রিপাকেও। অন্তত ১ শ’ গজ সামনে গিয়ে ব্যাগের ফিতা ছিঁড়ে যায়। ব্যাগটি নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় নিথর হয়ে পড়েন রিপা। সঙ্গে থাকা বন্ধু ইব্রাহিম চিৎকার করতে করতে এগিয়ে যান তার কাছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে সবশেষ। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পুলিশের হেফাজতে থাকা খান মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, পুরো ঘটনাটাই মুহূর্তে ঘটে যায়। চিৎকার করতে করতে সামনে এগিয়ে রিপার রক্তাক্ত দেহ নিয়ে হাসপাতালে যাই। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
এদিকে গতকাল নিহতের বাসা মোহাম্মদপুর থানাধীন লালামাটিয়ার এ ব্লকের ৫/৬ নম্বর বাড়ির দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, ওই বাড়িতে শুধু রিপার বড় বোন আছেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা সবাই গ্রামের বাড়িতে গেছেন। স্বজনরা জানায়, রিপার একমাত্র মেয়ে রাইসা তার পিতার কাছে রয়েছে। তার পিতা শিমুল মোহাম্মদপুরের বাঁশবাড়ির জি ব্লকের ২৮ নম্বর বাড়িতে থাকেন। সেখানে গিয়েও রাইসা এবং তার পিতাকে পাওয়া যায়নি। গতকাল রাতে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় রাইশার পিতা শিমুলের সঙ্গে। এসময় তিনি বলেন, মেয়েটিকে কোনভাবেই সান্ত্বনা দিতে পারছি না। ও সারাদিন ধরে মায়ের জন্য কাঁদছে।
এদিকে ঘটনার দু’দিন পেরিয়ে গেলেও ছিনতাইকারীদের হাতে রিপার এ নৃশংস মৃত্যুর ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রাইয়ান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ বলছে, দুর্বৃত্তদের চিহিৃত ও গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। ধানমন্ডি থানার ওসি আবু বকর জানান, নিহত গৃহবধূর বড় ভাই রাইহান বুধবার সকালে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ছিনতাইয়ের সঙ্গে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এসআই নুুরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষদর্শী ও সঙ্গে থাকা খান মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ ছিনতাইকারীদের সম্পর্কে ধারণা নেয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ ছিনতাইকারীসহ ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিকে আটকের চেষ্টা করছে।
গত মঙ্গলবার ভোরে ধানমন্ডির সোবহানবাগ মসজিদের সামনে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় শিশু রাইশার মা আয়েশা আক্তার রিপার। মেয়েকে পিতার কাছে রেখে বান্দরবানে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। ভোরে ঢাকায় এসে পান্থপথের শ্যামলী কাউন্টারে নামেন রিপা। পরে রিকশাযোগে মিরপুর সড়ক দিয়ে লালমাটিয়ার বাসায় ফিরছিলেন তিনি। রিকশায় ইব্রাহিম নামে তার এক বন্ধুও ছিল। ভোরে রাস্তা ছিল সম্পূর্ণ ফাঁকা। এই সুযোগে তাদের পিছু নেয় একটি মাইক্রোবাস। কিন্তু বুঝতে পারেনি রিপা। রিকশাটি সোবাহানবাগ মসজিদ পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাস থেকে এক যুবক হাত বাড়িয়ে হঠাৎ তার ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু ব্যাগের ফিতা ছিল রিপার হাতে পেঁচানো। চলন্ত মাইক্রোবাসের টানে ব্যাগের সঙ্গে রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। ছিনতাইকারীও ব্যাগ ধরে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। সঙ্গে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে রিপাকেও। অন্তত ১ শ’ গজ সামনে গিয়ে ব্যাগের ফিতা ছিঁড়ে যায়। ব্যাগটি নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় নিথর হয়ে পড়েন রিপা। সঙ্গে থাকা বন্ধু ইব্রাহিম চিৎকার করতে করতে এগিয়ে যান তার কাছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে সবশেষ। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পুলিশের হেফাজতে থাকা খান মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, পুরো ঘটনাটাই মুহূর্তে ঘটে যায়। চিৎকার করতে করতে সামনে এগিয়ে রিপার রক্তাক্ত দেহ নিয়ে হাসপাতালে যাই। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
এদিকে গতকাল নিহতের বাসা মোহাম্মদপুর থানাধীন লালামাটিয়ার এ ব্লকের ৫/৬ নম্বর বাড়ির দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, ওই বাড়িতে শুধু রিপার বড় বোন আছেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা সবাই গ্রামের বাড়িতে গেছেন। স্বজনরা জানায়, রিপার একমাত্র মেয়ে রাইসা তার পিতার কাছে রয়েছে। তার পিতা শিমুল মোহাম্মদপুরের বাঁশবাড়ির জি ব্লকের ২৮ নম্বর বাড়িতে থাকেন। সেখানে গিয়েও রাইসা এবং তার পিতাকে পাওয়া যায়নি। গতকাল রাতে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় রাইশার পিতা শিমুলের সঙ্গে। এসময় তিনি বলেন, মেয়েটিকে কোনভাবেই সান্ত্বনা দিতে পারছি না। ও সারাদিন ধরে মায়ের জন্য কাঁদছে।
এদিকে ঘটনার দু’দিন পেরিয়ে গেলেও ছিনতাইকারীদের হাতে রিপার এ নৃশংস মৃত্যুর ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রাইয়ান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ বলছে, দুর্বৃত্তদের চিহিৃত ও গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। ধানমন্ডি থানার ওসি আবু বকর জানান, নিহত গৃহবধূর বড় ভাই রাইহান বুধবার সকালে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ছিনতাইয়ের সঙ্গে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এসআই নুুরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষদর্শী ও সঙ্গে থাকা খান মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ ছিনতাইকারীদের সম্পর্কে ধারণা নেয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ ছিনতাইকারীসহ ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিকে আটকের চেষ্টা করছে।
No comments