দেশের চাহিদা মিটছে না, তবুও চাল রফতানি- এমন পদক্ষেপ কি খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা আনবে?
রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের খাদ্যশস্যও রাজনীতির শিকার হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে এখন চালের খুব চাহিদা। চালের দাম বেড়েছে। ঠিক এই সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়ে চাল রফতানি করা হচ্ছে। এ দিকে চাল আমদানি হচ্ছে অনেক বেশি পরিমাণে। এমনকি গম, ডাল ও চিনি আমদানি হচ্ছে অনেক বেশি। প্রতিটি শস্যের আমদানি গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। যা হোক, অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ড দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে না।
সোমবার খাদ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে চাল রফতানির কথা জানালেন। ৪৫০ ডলার দামে শ্রীলঙ্কায় ৫০ হাজার টন চাল রফতানি করা হবে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে চলতি সপ্তাহে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা। অবশ্য দাম বাড়ায় কৃষক লাভবান হয়েছেন, এমন বলার সুযোগ নেই। চালের ব্যবসায়ী ও বিভিন্নপর্যায়ের মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটেই এ অর্থ যাবে। অন্য দিকে শ্রীলঙ্কায় রফতানি করা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বাজারের চেয়ে কম দামে। সে দেশে রফতানি করা চালের দাম পড়বে ৩৩ টাকা। একই ধরনের চাল এর চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে দেশী ভোক্তাদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানিবিষয়ক সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪-১৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে চালের আমদানি বেড়েছে। এ সময়ে চাল আমদানির জন্য ব্যাংকগুলোতে ১০ কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারের ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৯ কোটি সাত হাজার ডলারের ঋণপত্র। গত অর্থবছরের চেয়ে ৫৬ শতাংশ বেশি এলসি খোলা হয়েছে এ বছর। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে চাল আমদানির জন্য ছয় কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। ওই সময় এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল পাঁচ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার ডলারের। থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম, দু’টি প্রধান চাল রফতানিকারক দেশ। তাদের চাল উৎপাদন খরচ বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম। এ পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা থাকার পরও দেশীয় বাজার থেকে কম দামে চাল রফতানির যৌক্তিকতা নেই। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ক্রেডিট নিতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত একটি দেশ হিসেবে উপস্থাপন করা।
চাল রফতানি করে বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে, এমন কোনো সূচক নেই। এ ধরনের রফতানিতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের লাভ হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে করে সরকার কিছু লোককে লাভ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। অন্য দিকে দেখানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। আমরা মনে করি, অবাস্তব প্রচারণা না চালিয়ে সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত জনগণের কল্যাণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।
সোমবার খাদ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে চাল রফতানির কথা জানালেন। ৪৫০ ডলার দামে শ্রীলঙ্কায় ৫০ হাজার টন চাল রফতানি করা হবে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে চলতি সপ্তাহে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা। অবশ্য দাম বাড়ায় কৃষক লাভবান হয়েছেন, এমন বলার সুযোগ নেই। চালের ব্যবসায়ী ও বিভিন্নপর্যায়ের মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটেই এ অর্থ যাবে। অন্য দিকে শ্রীলঙ্কায় রফতানি করা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বাজারের চেয়ে কম দামে। সে দেশে রফতানি করা চালের দাম পড়বে ৩৩ টাকা। একই ধরনের চাল এর চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে দেশী ভোক্তাদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানিবিষয়ক সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪-১৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে চালের আমদানি বেড়েছে। এ সময়ে চাল আমদানির জন্য ব্যাংকগুলোতে ১০ কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারের ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৯ কোটি সাত হাজার ডলারের ঋণপত্র। গত অর্থবছরের চেয়ে ৫৬ শতাংশ বেশি এলসি খোলা হয়েছে এ বছর। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে চাল আমদানির জন্য ছয় কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। ওই সময় এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল পাঁচ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার ডলারের। থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম, দু’টি প্রধান চাল রফতানিকারক দেশ। তাদের চাল উৎপাদন খরচ বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম। এ পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা থাকার পরও দেশীয় বাজার থেকে কম দামে চাল রফতানির যৌক্তিকতা নেই। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ক্রেডিট নিতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত একটি দেশ হিসেবে উপস্থাপন করা।
চাল রফতানি করে বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে, এমন কোনো সূচক নেই। এ ধরনের রফতানিতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের লাভ হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে করে সরকার কিছু লোককে লাভ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। অন্য দিকে দেখানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। আমরা মনে করি, অবাস্তব প্রচারণা না চালিয়ে সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত জনগণের কল্যাণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।
No comments