মহাকাশযান অভিযানে বিপত্তি- ৬ সেকেন্ডেই শেষ
মহাকাশ স্টেশনে রসদ সরবরাহকারী
মহাকাশযানসহ একটি রকেট উৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার
স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ওয়ালওপস দ্বীপের
উৎক্ষেপণকেন্দ্রে এ দুর্ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা
নাসার ফরমায়েশ অনুযায়ী বেসরকারি সংস্থা ওরবিটাল সায়েন্স করপোরেশনের
আনতারেস নামক রকেটটি মহাকাশযান সিগনাসকে বহন করছিল। কয়েক হাজার কেজি
মালপত্র নিয়ে ওই মনুষ্যবিহীন মহাকাশযানটির আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে
(আইএসএস) যাওয়ার কথা ছিল। নাসা জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা
ছয়টা ২২ মিনিটে উৎক্ষেপণের মাত্র ছয় সেকেন্ড পরই দানবীয় আগুনের গোলার
আকৃতিতে আনতারেস রকেটটি বিস্ফোরিত হয় এবং রকেট ও মহাকাশযানটির ধ্বংসাবশেষ
নিচে মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। আর দুর্ঘটনার কারণ
সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
>>যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় উৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত মহাকাশযান l ছবি: এএফপি
হিউস্টনে
অবস্থিত নাসার অভিযান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ জানিয়েছে, কাউন্টডাউন শেষে সাদা
রঙের আনতারেস রকেটটি নিচের দিকে প্রজ্বলিত হয় এবং ওপরের দিকে উঠতে শুরু
করে। কিন্তু ছয় সেকেন্ড পরে অল্প দূরত্ব পেরিয়েই হঠাৎ আগুনের হলকা
ছড়িয়ে দিয়ে এটি বিস্ফোরিত হয়। রকেটের ধ্বংসাবশেষ মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে।
এসব থেকে নির্গত গাঢ় বাদামি ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। মহাকাশযানটি
আইএসএসে অবস্থানকারী ছয় নভোচারীর জন্য দুই হাজার ২০০ কেজি (পাঁচ হাজার
পাউন্ড) রসদ নিয়ে যাচ্ছিল। নাসার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাকাশযানে থাকা
রসদ ও রকেটের জন্য খরচ হয়েছে ২০ কোটি মার্কিন ডলার। দুর্ঘটনার পরপরই
তদন্তকারী দল পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও
কর্মকর্তাদের বাইরে কোথাও সাক্ষাৎকার না দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানা না গেলেও ওরবিটাল সায়েন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট কালবার্টসন বলেন, কিছু একটা সঠিকভাবে কাজ করেনি। তদন্তকারীরা ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করবেন। নাসার পরবর্তী রসদবাহী মহাকাশযান নিয়ে রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে ডিসেম্বর মাসের শুরুতে—এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড অপারেশন মিশন বিভাগের সহকারী প্রশাসক বিল জারস্টেনমেয়ার।
২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস শাটল কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর মহাকাশে মানুষ ও পণ্য পাঠানোর জন্য দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে নাসা। এগুলো হলো ওরবিটাল সায়েন্স করপোরেশন ও স্পেস এক্স। নাসার সঙ্গে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি অনুযায়ী ওরবিটাল সায়েন্স আটটি রসদবাহী অভিযান পরিচালনা করবে। সিআরএস-থ্রি নামক অভিযানে গতকাল বুধবার রকেটটি ছিল ওরবিটাল সায়েন্সের তৃতীয় উৎক্ষেপণ। এর আগে দুটি অভিযানে তারা সফল হয়। দুর্ঘটনার পরপর নাসার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মঙ্গলবারের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও তারা ওরবিটাল সায়েন্স করপোরেশনের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক থাকবে। কারণ, পূর্ববর্তী দুটি অভিযান তারা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এদিকে গতকাল নিজেদের মহাকাশযানে যুক্তরাষ্ট্রের নভোচারীদের রসদ বয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। সূত্র: এএফপি ও নাসা
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানা না গেলেও ওরবিটাল সায়েন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট কালবার্টসন বলেন, কিছু একটা সঠিকভাবে কাজ করেনি। তদন্তকারীরা ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করবেন। নাসার পরবর্তী রসদবাহী মহাকাশযান নিয়ে রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে ডিসেম্বর মাসের শুরুতে—এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড অপারেশন মিশন বিভাগের সহকারী প্রশাসক বিল জারস্টেনমেয়ার।
২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস শাটল কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর মহাকাশে মানুষ ও পণ্য পাঠানোর জন্য দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে নাসা। এগুলো হলো ওরবিটাল সায়েন্স করপোরেশন ও স্পেস এক্স। নাসার সঙ্গে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি অনুযায়ী ওরবিটাল সায়েন্স আটটি রসদবাহী অভিযান পরিচালনা করবে। সিআরএস-থ্রি নামক অভিযানে গতকাল বুধবার রকেটটি ছিল ওরবিটাল সায়েন্সের তৃতীয় উৎক্ষেপণ। এর আগে দুটি অভিযানে তারা সফল হয়। দুর্ঘটনার পরপর নাসার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মঙ্গলবারের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও তারা ওরবিটাল সায়েন্স করপোরেশনের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক থাকবে। কারণ, পূর্ববর্তী দুটি অভিযান তারা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এদিকে গতকাল নিজেদের মহাকাশযানে যুক্তরাষ্ট্রের নভোচারীদের রসদ বয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। সূত্র: এএফপি ও নাসা
No comments