সঙ্কটে পাটকল, সহায়তা চান মালিকরা by আহমেদ রাজু
বেসরকারি পাটকলগুলো চরম সঙ্কটে পড়েছে।
অর্থনৈতিক মন্দা, বেতন বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণ এবং বকেয়া ভর্তুকি নিয়ে দিশেহারা
পাটকল মালিকরা। তাই সঙ্কট উত্তরণে সরকারের সহযোগিতা চান তারা।
পাটকল
মালিকরা জানান, সরকারের সহযোগিতা না পেলে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারবেন না
তারা। বেশির ভাগ পাটকলই বন্ধ হয়ে যাবে। তাই পাটকল বাঁচিয়ে রাখতে গেলে
অর্থবছরের বরাদ্দকৃত বকেয়া ভর্তুকি পরিশোধের জন্য সরকারের কাছে তারা আবেদন
করেছেন। আগামী অর্থ বছরেও এই সহায়তা অব্যাহত রাখার দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান সাব্বির ইউসুফ বাংলানিউজকে জানান, সরকারের সহযোগিতার কারণেই পাটশিল্প বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। আগামীতে পাটপণ্যের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাই। আশা করছি সরকার আমাদের দাবিগুলো সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে।
পাটকল মালিকরা জানান, বিশ্বজুড়েই এখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। পাটপণ্যের বড় ক্রেতা তুরস্ক, ইরান, ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য ওই দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পাটপণ্য কেনা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। এই অবস্থায় সরকার পাটকল শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন-কাঠামো চালু করতে যাচ্ছে। বর্তমান বেতন-কাঠামোয় শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ২ হাজার ৭০০ টাকা। নতুন কাঠামোয় সরকার শ্রমিকদের বেতন ১১০ শতাংশ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। নতুন বেতন-কাঠামো চালু করলে বেশির ভাগ পাটকল মালিক বেতন দিতে পারবেন না। তাই চালু পাটকলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এই মুহূর্তে বেতন বৃদ্ধি না করার জন্য তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
পাটকল মালিকরা আরও জানান, সরকার পাটকলগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে নগদ সহায়তা দিচ্ছে। সরকারের সহায়তার কারণেই বাংলাদেশের পাটপণ্য বিশ্ববাজারের সিংহ ভাগ দখল করেছে। নগদ সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। তবে গেল অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত নগদ অর্থ সহায়তা এখনও পাননি তারা।
তাই ২০১২-১৩ অর্থ বছরের বকেয়া ভর্তুকি পরিশোধের জন্য ৫৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে নগদ সহায়তা প্রদানের জন্য ৫০০ কোটি টাকাসহ মোট ১ হাজার ৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিযেছে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির নেতারা জানান, এই টাকা বরাদ্দ না পেলে তারল্য সঙ্কটের কারণে উৎপাদন ও রফতানি চরম ব্যাহত হবে। একই সঙ্গে তারা ভর্তুকি ১০ থেকে ২০ ভাগ করারও দাবি জানান।
নেতারা আরও জানান, পাটপণ্য কৃষিভিত্তিক শিল্প। এ বিবেচনায় ২০০৩ সালের ১ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যাংক ঋণের সুদের হার ৭ ভাগ করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলো। একই তারিখে বেসরকারি জুটমিলগুলোর উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর ২০০৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিতরণ করা পূর্বের ৫ বছরের ঋণের সুদসহ ব্লকড অ্যাকাউন্টে রেখে ৩০ মাস পর থেকে তা ৮ শতাংশ সুদসহ ১০ বছরে পরিশোধের সুযোগ চান মালিকরা।
তারা জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারত পাটকল আধুনিকীকরণের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য মোট মূল্যের শতকরা ৩০ ভাগ অনুদান হিসেবে দিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও এটি বিবেচনার জন্য তারা দাবি জানান।
জানা যায়, ভারত বছরে ১৭ লাখ মেট্রিক টন পাটপণ্য উৎপন্ন করে। বছরে তাদের চাহিদা ১৫ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে তারা রপ্তানি করে ২ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে বাংলাদেশ উৎপন্ন করে ৮ লাখ মেট্রিক টন। দেশে মাত্র ১ লাখ মেট্রিক টন পাটপণ্যের চাহিদা রয়েছে। উৎপাদিত পাটপণ্যের মধ্যে ৭ লাখ মেট্রিক টন বিদেশে রফতানি হয়ে তাকে। তাই সরকার ভারতের মতো পাটকলের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনুদান দিলে এই শিল্প আরও বিকশিত হবে বলে জানান সংগঠনটির নেতারা।
একই সঙ্গে এই শিল্প থেকে আরও রফতানি আয় বাড়বে বলে জানান তারা। পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১-১২ অর্থ বছরে পাটপণ্য রফতানি করে আয় হয়েছে ৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। আগের বছর ২০১০-১১ অর্থ বছরে আয় হয় ৫ হাজার ২৯৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে আয় হয় ৩ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে আয় হয় ২ হাজার ৩৩৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অপর দিকে ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে আয় হয়ে ছিলো ২ হাজার ৫০৯ কোটি ১ লাখ টাকা।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সরকারের সহযোগিতার কারণে মাত্র ৫ বছরে পাটপণ্য বিদেশে রফতানি করে এ খাত থেকে আয় হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। তাই এই খাতটিকে আরও পৃষ্ঠপোষকতা দিলে আবারও পাটের হারানো গৌরব ফিরে আসবে বলে বিশ্বাস করেন পাটকলের মালিক এবং এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান সাব্বির ইউসুফ বাংলানিউজকে জানান, সরকারের সহযোগিতার কারণেই পাটশিল্প বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। আগামীতে পাটপণ্যের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাই। আশা করছি সরকার আমাদের দাবিগুলো সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে।
পাটকল মালিকরা জানান, বিশ্বজুড়েই এখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। পাটপণ্যের বড় ক্রেতা তুরস্ক, ইরান, ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য ওই দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পাটপণ্য কেনা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। এই অবস্থায় সরকার পাটকল শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন-কাঠামো চালু করতে যাচ্ছে। বর্তমান বেতন-কাঠামোয় শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ২ হাজার ৭০০ টাকা। নতুন কাঠামোয় সরকার শ্রমিকদের বেতন ১১০ শতাংশ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। নতুন বেতন-কাঠামো চালু করলে বেশির ভাগ পাটকল মালিক বেতন দিতে পারবেন না। তাই চালু পাটকলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এই মুহূর্তে বেতন বৃদ্ধি না করার জন্য তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
পাটকল মালিকরা আরও জানান, সরকার পাটকলগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে নগদ সহায়তা দিচ্ছে। সরকারের সহায়তার কারণেই বাংলাদেশের পাটপণ্য বিশ্ববাজারের সিংহ ভাগ দখল করেছে। নগদ সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। তবে গেল অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত নগদ অর্থ সহায়তা এখনও পাননি তারা।
তাই ২০১২-১৩ অর্থ বছরের বকেয়া ভর্তুকি পরিশোধের জন্য ৫৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে নগদ সহায়তা প্রদানের জন্য ৫০০ কোটি টাকাসহ মোট ১ হাজার ৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিযেছে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির নেতারা জানান, এই টাকা বরাদ্দ না পেলে তারল্য সঙ্কটের কারণে উৎপাদন ও রফতানি চরম ব্যাহত হবে। একই সঙ্গে তারা ভর্তুকি ১০ থেকে ২০ ভাগ করারও দাবি জানান।
নেতারা আরও জানান, পাটপণ্য কৃষিভিত্তিক শিল্প। এ বিবেচনায় ২০০৩ সালের ১ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যাংক ঋণের সুদের হার ৭ ভাগ করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলো। একই তারিখে বেসরকারি জুটমিলগুলোর উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর ২০০৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিতরণ করা পূর্বের ৫ বছরের ঋণের সুদসহ ব্লকড অ্যাকাউন্টে রেখে ৩০ মাস পর থেকে তা ৮ শতাংশ সুদসহ ১০ বছরে পরিশোধের সুযোগ চান মালিকরা।
তারা জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারত পাটকল আধুনিকীকরণের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য মোট মূল্যের শতকরা ৩০ ভাগ অনুদান হিসেবে দিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও এটি বিবেচনার জন্য তারা দাবি জানান।
জানা যায়, ভারত বছরে ১৭ লাখ মেট্রিক টন পাটপণ্য উৎপন্ন করে। বছরে তাদের চাহিদা ১৫ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে তারা রপ্তানি করে ২ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে বাংলাদেশ উৎপন্ন করে ৮ লাখ মেট্রিক টন। দেশে মাত্র ১ লাখ মেট্রিক টন পাটপণ্যের চাহিদা রয়েছে। উৎপাদিত পাটপণ্যের মধ্যে ৭ লাখ মেট্রিক টন বিদেশে রফতানি হয়ে তাকে। তাই সরকার ভারতের মতো পাটকলের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনুদান দিলে এই শিল্প আরও বিকশিত হবে বলে জানান সংগঠনটির নেতারা।
একই সঙ্গে এই শিল্প থেকে আরও রফতানি আয় বাড়বে বলে জানান তারা। পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১-১২ অর্থ বছরে পাটপণ্য রফতানি করে আয় হয়েছে ৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। আগের বছর ২০১০-১১ অর্থ বছরে আয় হয় ৫ হাজার ২৯৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে আয় হয় ৩ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে আয় হয় ২ হাজার ৩৩৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অপর দিকে ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে আয় হয়ে ছিলো ২ হাজার ৫০৯ কোটি ১ লাখ টাকা।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সরকারের সহযোগিতার কারণে মাত্র ৫ বছরে পাটপণ্য বিদেশে রফতানি করে এ খাত থেকে আয় হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। তাই এই খাতটিকে আরও পৃষ্ঠপোষকতা দিলে আবারও পাটের হারানো গৌরব ফিরে আসবে বলে বিশ্বাস করেন পাটকলের মালিক এবং এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
No comments