নিমতলী ট্র্যাজেডি- কেমন আছেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যারা
নিমতলী ট্র্যাজেডিতে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলেন তারা। কিন্তু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মমতা আর মানুষের ভালবাসা নিয়ে নতুন জীবন শুরু
করেছিলেন রুনা, রত্না আর আসমা। তাদের ঘর আলো করে আছে তিন সন্তান। তিন জনই
স্বামী-সন্তান নিয়ে আছেন সুখে।
তবে ৩রা জুন এলেই পরিবারে নেমে আছে শোকের আঁধার। ভেসে ওঠে সেই দুঃসহ
স্মৃতি। অগ্নিকাণ্ডের পর পরিবার পরিজন হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া রুনা, রত্না ও
আসমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুকে টেনে নিয়েছিলেন সন্তানের মর্যাদায়।
নিজের সন্তান পরিচয় দিয়ে বিয়ে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন
গণভবনেই হয়েছিল এই
বিয়ের অনুষ্ঠান। নবাববাগিচায় স্বামী-সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রত্না। রত্না বলেন- ১০ মাসের সন্তানকে নিয়েই তার দিনের বেশি সময় কাটে। তিনি আরও বলেন, মা-বাবার অভাব খুব অনুভব করি। উনারা যদি থাকতেন তাহলে আজ আমাকে এ অবস্থায় দেখে, আমার সন্তানকে দেখে অনেক আনন্দিত হতেন। এখন রত্না, ভাই ফয়সাল, স্বামী সুমন ও সন্তান শ্রদ্ধাসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তার পরিবার। রত্নার স্বামী সুমন বর্তমানে বেসিক ব্যাংকে সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। রত্না বলেন- তার সন্তান জন্ম নেয়ার পর স্বামী সুমন গণভবনে মিষ্টি পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও উনার কর্মীদের মাধ্যমে তার খবর নিয়েছেন। অন্যদিকে রত্নার ছোট বোন রুনা জানান- মায়ের দোয়ায় ভালই আছি। হারিয়ে যাওয়া মা, খালা, বোনদের কথা বার বার মনে হয়। তাদের হারানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে ‘মা’ হিসেবে পাওয়ার পর আমাদের আর কোন কষ্ট নেই। ২০১১ সালের ৫ই জুন তার ঘরে এসেছে আলী মর্তুজা আযান। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য তার নাতির খোঁজ নিয়েছেন। আযান জন্ম গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে ফুল পাঠিয়েছিলেন। তার উকিল পিতা সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সঙ্গে মাঝে মধ্যে মোবাইলে কথা বলেন। তিনি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। রুনার স্বামী সৈয়দ রাশেদ হোসাইন জামিলকে প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীতে চাকরি দিয়েছেন। এখন সংসার ভালই চলছে। তিনি ও স্বামী জামিল ও সন্তান আযানকে নিয়ে সুখেই দিন কাটচ্ছেন। কিন্তু এখনও সপ্তাহে এই দিনটি এল্ে সেই সময়টা তার ভিতরে নাড়া দিয়ে ওঠে। এদিকে স্বামী আলমগীরকে নিয়ে আবদুল হাদি লেনে আছেন আসমা। তিনি বলেন, ছেলের জন্মের পর রমজান মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তার নাম দেন ‘রমাদান’। আলমগীর বর্তমানে পুরান ঢাকায় ওয়েল্ডিং ব্যবসার পাশাপাশি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টেও ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করছেন। এছাড়া, রুনা ও রত্নার ভাই ফয়সালেরও সরকারি সহায়তায় চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফয়সাল বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিন কন্যা জানান, প্রধানমন্ত্রী যে মমতায় তাদের দায়িত্ব নিয়েছেন তার তুলনা হয় না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাদের গণভবনে দাওয়াত দেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর কাছে তার নিয়মিত খোঁজ রাখেন।
শোকের আবহে নিমতলী ট্র্যাজেডির নিহতদের স্মরণ
নিমতলী ট্র্যাজেডির তিন বছরপূর্তির দিনে শোকের আবহে পালিত হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। শোকাহত পরিবারের সদস্যরা আজিমপুর কবরস্থানে জিয়ারত, নিহতদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল, কাঙালি ভোজের আয়োজন করেন। নিমতলী ট্র্যাজেডির নিহতদের স্মরণ করতে এলাকার বিভিন্ন পরিবার নিজ নিজ উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। ২০১০ সালের ৩রা জুন রাতে নিমতলী হাজী গুলজার আহম্মেদের ৪৩/১ নবাব কাটরার নিমতলার ৫ তলা ভবনের নিচের একটি কেমিক্যাল গুদাম ঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডে ১২৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও নিহতের স্বজনেরা কোন বিচার পাননি। খুঁজে পাওয়া যায়নি সেই কেমিক্যাল দোকান মালিক ওয়াজেদ মজুমদারকে।
বিয়ের অনুষ্ঠান। নবাববাগিচায় স্বামী-সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রত্না। রত্না বলেন- ১০ মাসের সন্তানকে নিয়েই তার দিনের বেশি সময় কাটে। তিনি আরও বলেন, মা-বাবার অভাব খুব অনুভব করি। উনারা যদি থাকতেন তাহলে আজ আমাকে এ অবস্থায় দেখে, আমার সন্তানকে দেখে অনেক আনন্দিত হতেন। এখন রত্না, ভাই ফয়সাল, স্বামী সুমন ও সন্তান শ্রদ্ধাসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তার পরিবার। রত্নার স্বামী সুমন বর্তমানে বেসিক ব্যাংকে সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। রত্না বলেন- তার সন্তান জন্ম নেয়ার পর স্বামী সুমন গণভবনে মিষ্টি পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও উনার কর্মীদের মাধ্যমে তার খবর নিয়েছেন। অন্যদিকে রত্নার ছোট বোন রুনা জানান- মায়ের দোয়ায় ভালই আছি। হারিয়ে যাওয়া মা, খালা, বোনদের কথা বার বার মনে হয়। তাদের হারানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে ‘মা’ হিসেবে পাওয়ার পর আমাদের আর কোন কষ্ট নেই। ২০১১ সালের ৫ই জুন তার ঘরে এসেছে আলী মর্তুজা আযান। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য তার নাতির খোঁজ নিয়েছেন। আযান জন্ম গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে ফুল পাঠিয়েছিলেন। তার উকিল পিতা সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সঙ্গে মাঝে মধ্যে মোবাইলে কথা বলেন। তিনি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। রুনার স্বামী সৈয়দ রাশেদ হোসাইন জামিলকে প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীতে চাকরি দিয়েছেন। এখন সংসার ভালই চলছে। তিনি ও স্বামী জামিল ও সন্তান আযানকে নিয়ে সুখেই দিন কাটচ্ছেন। কিন্তু এখনও সপ্তাহে এই দিনটি এল্ে সেই সময়টা তার ভিতরে নাড়া দিয়ে ওঠে। এদিকে স্বামী আলমগীরকে নিয়ে আবদুল হাদি লেনে আছেন আসমা। তিনি বলেন, ছেলের জন্মের পর রমজান মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তার নাম দেন ‘রমাদান’। আলমগীর বর্তমানে পুরান ঢাকায় ওয়েল্ডিং ব্যবসার পাশাপাশি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টেও ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করছেন। এছাড়া, রুনা ও রত্নার ভাই ফয়সালেরও সরকারি সহায়তায় চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফয়সাল বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিন কন্যা জানান, প্রধানমন্ত্রী যে মমতায় তাদের দায়িত্ব নিয়েছেন তার তুলনা হয় না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাদের গণভবনে দাওয়াত দেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর কাছে তার নিয়মিত খোঁজ রাখেন।
শোকের আবহে নিমতলী ট্র্যাজেডির নিহতদের স্মরণ
নিমতলী ট্র্যাজেডির তিন বছরপূর্তির দিনে শোকের আবহে পালিত হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। শোকাহত পরিবারের সদস্যরা আজিমপুর কবরস্থানে জিয়ারত, নিহতদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল, কাঙালি ভোজের আয়োজন করেন। নিমতলী ট্র্যাজেডির নিহতদের স্মরণ করতে এলাকার বিভিন্ন পরিবার নিজ নিজ উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। ২০১০ সালের ৩রা জুন রাতে নিমতলী হাজী গুলজার আহম্মেদের ৪৩/১ নবাব কাটরার নিমতলার ৫ তলা ভবনের নিচের একটি কেমিক্যাল গুদাম ঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডে ১২৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও নিহতের স্বজনেরা কোন বিচার পাননি। খুঁজে পাওয়া যায়নি সেই কেমিক্যাল দোকান মালিক ওয়াজেদ মজুমদারকে।
No comments