ছিপছিপে শরীর শুষ্ক ত্বক! by সিদ্ধার্থ মজুমদার
কম খেয়ে ওজন তো কমালেন, ত্বক আর চুলের
দিকে নজর আছে তো? না খেয়ে শুকনো মুখটায় লাবণ্যের কমতি মনে হচ্ছে? কিংবা হাত
দিলেই মুঠোভর্তি চুল উঠে আসছে না তো?
চটজলদি মেদ ঝরাতে
গিয়ে অনেকেই দিনের পর দিন আধপেটা খেয়ে থাকেন। কখনো আবার না খেয়ে থাকেন
দীর্ঘ সময়। অনেক দিন ধরে এমন চলতে থাকলে শরীরের ওজন হয়তো খানিকটা কমে ঠিকই।
কিন্তু অন্যান্য অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির ছাপ পড়ে যায়। সেটা কেমন হতে
পারে, জানতে চেয়েছিলাম বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পথ্য ও পুষ্টিবিদ
শামছুন্নাহার নাহিদের কাছে। তিনি বলেন, ‘খাওয়াদাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়ে ওজন
কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত সৌন্দর্য আমরা পেতে চাই। কিন্তু কখনো দেখা যায় তার উল্টোটা
ঘটছে। এমন অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চুল ও ত্বক।’
এ অবস্থা থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়, সে সম্পর্কেও জানালেন শামছুন্নাহার নাহিদ—
l বিশেষ কোনো ডায়েট অনুসরণ করার সময় পানি আর পানীয়-জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি করে।
l অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, এ, ই এবং আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। অর্থাৎ সবুজ, হলুদ, কমলা ও সাদা রঙের শাকসবজি ও ফল খেতে হবে প্রতিদিন।
l ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ ফল ত্বকের কোষ মেরামত করে ত্বককে সতেজ করে তোলে। আর এটা খাদ্যতালিকায় না রাখলে ত্বক ধীরে ধীরে মলিন হয়ে যায়। এ ধরনের কয়েকটি ফল হলো আপেল, কলা, জাম, খেজুর, আঙুর, পেঁপে ইত্যাদি।
l আঁশযুক্ত শাকসবজি রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। ত্বককে সতেজ ও সুস্থ রাখবে এ সবজিগুলো।
l ডায়েট করার সময় নিয়ম করে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুম খুব জরুরি। এ সময় ঘুমের ব্যাঘাতে চেখের নিচে কালি পড়তে শুরু করে।
l আর রাত জেগে দিনে ঘুমালে ওজন কমানো কিন্তু কঠিন হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে শরীর তার স্বাভাবিক সৌন্দর্যও হারায়।
ওজন কমাতে চাইলে খেতে হবে সুষম খাদ্য। আর কত ক্যালরি খাওয়া হলো তার হিসাব রাখতে হবে। ওজন কমাতে প্রয়োজন সঠিক মানের, প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ কিন্তু কম ক্যালরিযুক্ত সুষম খাদ্যের।
তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, দুধ, দই, ঘোল ও ছানা একদম ঝেড়ে না ফেলে খেতে হবে হিসাব করে।
কী ধরনের ক্ষতি হয়
খাদ্যতালিকায় আমিষের অভাবে চুল ঔজ্জ্বল্য হারায়। চুলের আগা ফাটতে শুরু করে। চুল পড়তেও পারে। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ খাবার না থাকলে চুল রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়।
অন্যদিকে ভিটামিন ই চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে আর ভিটামিন সি ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু খাদ্যতালিকায় এগুলো না থাকলে ঠিক উল্টোটা ঘটে।
এ ছাড়া ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ ও লাবণ্যহীন হয়ে যায়, চোখের নিচে কালি পড়ে এবং ত্বকে বলিরেখা পড়তে শুরু করে।
এ অবস্থা থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়, সে সম্পর্কেও জানালেন শামছুন্নাহার নাহিদ—
l বিশেষ কোনো ডায়েট অনুসরণ করার সময় পানি আর পানীয়-জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি করে।
l অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, এ, ই এবং আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। অর্থাৎ সবুজ, হলুদ, কমলা ও সাদা রঙের শাকসবজি ও ফল খেতে হবে প্রতিদিন।
l ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ ফল ত্বকের কোষ মেরামত করে ত্বককে সতেজ করে তোলে। আর এটা খাদ্যতালিকায় না রাখলে ত্বক ধীরে ধীরে মলিন হয়ে যায়। এ ধরনের কয়েকটি ফল হলো আপেল, কলা, জাম, খেজুর, আঙুর, পেঁপে ইত্যাদি।
l আঁশযুক্ত শাকসবজি রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। ত্বককে সতেজ ও সুস্থ রাখবে এ সবজিগুলো।
l ডায়েট করার সময় নিয়ম করে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুম খুব জরুরি। এ সময় ঘুমের ব্যাঘাতে চেখের নিচে কালি পড়তে শুরু করে।
l আর রাত জেগে দিনে ঘুমালে ওজন কমানো কিন্তু কঠিন হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে শরীর তার স্বাভাবিক সৌন্দর্যও হারায়।
ওজন কমাতে চাইলে খেতে হবে সুষম খাদ্য। আর কত ক্যালরি খাওয়া হলো তার হিসাব রাখতে হবে। ওজন কমাতে প্রয়োজন সঠিক মানের, প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ কিন্তু কম ক্যালরিযুক্ত সুষম খাদ্যের।
তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, দুধ, দই, ঘোল ও ছানা একদম ঝেড়ে না ফেলে খেতে হবে হিসাব করে।
কী ধরনের ক্ষতি হয়
খাদ্যতালিকায় আমিষের অভাবে চুল ঔজ্জ্বল্য হারায়। চুলের আগা ফাটতে শুরু করে। চুল পড়তেও পারে। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ খাবার না থাকলে চুল রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়।
অন্যদিকে ভিটামিন ই চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে আর ভিটামিন সি ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু খাদ্যতালিকায় এগুলো না থাকলে ঠিক উল্টোটা ঘটে।
এ ছাড়া ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ ও লাবণ্যহীন হয়ে যায়, চোখের নিচে কালি পড়ে এবং ত্বকে বলিরেখা পড়তে শুরু করে।
No comments