বৃষ্টিতে জর্জেট শাড়ি by রয়া মুনতাসীর
হালকা, আরামদায়ক ও সব বয়সের জন্য
মানানসই—জর্জেট শাড়ির মজাটাই এখানে। এখনকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়েও যাবে
চমৎকারভাবে। কড়া রোদে গরম লাগবে না। বৃষ্টির পানি লাগলেও শুকিয়ে যাবে
তাড়াতাড়ি।
এককথায় এ মৌসুমে শাড়ির ক্ষেত্রে জর্জেট শাড়ি হতে পারে অন্যতম পছন্দ।
কর্মক্ষেত্র, অনুষ্ঠান, প্রতিদিনকার চলাফেরায় জর্জেট শাড়ি অনেকটাই আরামদায়ক। সহজভাবে সামাল দেওয়া যায়। দিন থেকে রাত পর্যন্ত পরে ঘুরে বেড়ালেও ইস্তিরি নষ্ট হওয়ার ভয়টা থাকে না।
বাজার ঘুরে জর্জেট শাড়ির সম্ভারে দেখা গেল বৈচিত্র্য। ক্রেতাদের মধ্যে প্রিন্ট করা শাড়ির চাহিদা বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। ফুলেল নকশা, কলকা ও জ্যামিতিক নকশা বেশি দেখা গেল।
ড্রেসিডেলের ডিজাইনার মায়া রহমান বলেন, ‘সত্তরের দশকে বাংলাদেশে জর্জেট শাড়ির জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। তখনো প্রিন্ট শাড়ির প্রচলন বেশি ছিল। জর্জেট শাড়িগুলো মূলত বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা হয়।’
জর্জেট শাড়ি পরলে আঁটসাঁট হয়ে থাকে, এ কারণে শারীরিক গঠন ভালো দেখায়। ভারী স্বাস্থ্য যাঁদের, তাঁরা এ কারণে জর্জেট শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারেন।
ফ্যাশন ডিজাইনার রামীম রাজ বলেন, ‘জর্জেট শাড়ির সঙ্গে সাটিনের তৈরি ফিশ কাটের পেটিকোট পরলে ভালো দেখাবে। এতে শারীরিক কাঠামোটা দেখতে ভালো লাগবে।’
হালকা গড়ন হলে দুই থেকে তিনরঙা শেডের শাড়ি মানাবে। তাঁরা একটু চড়া নকশাও বেছে নিতে পারবেন অনায়াসে। উচ্চতা একটু কম হলে একরঙা জর্জেট শাড়ি না পরার পরামর্শ দেন রামীম। কারণ, শাড়িতে কোনো পাড় না থাকলে দেখতে আরও খাটো লাগে।
কর্মক্ষেত্রে পরে যাওয়ার জন্য পোলকা ডট, জ্যামিতিক নকশা, বিমূর্ত নকশা বেছে নিতে পারেন।
জর্জেট শাড়ির সঙ্গে ছোট হাতা কিংবা হাতা কাটা ব্লাউজই বেশি মানানসই। রুবিয়া ভয়েল, ক্রেপের কাপড় দিয়ে ব্লাউজ বানাতে পারেন। একরঙা শাড়ি হলে পরতে পারেন কাতান, সিল্কের চেক প্রিন্ট ব্লাউজ অথবা ব্রোকেডের তৈরি ব্লাউজ।
বৈচিত্র্য আনতে পারেন শাড়ির পাড়ে বিপরীত রঙের কাপড় লাগিয়ে। সাটিন, ব্রোকেড বা পছন্দমতো যেকোনো কাপড়কেই পাড় হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
যদি নিজে জর্জেটের শাড়িতে কাজ করিয়ে নিতে চান, তাহলে শাড়ির ওজনটা মাথায় রাখতে হবে। সাধারণত গ্রাম হিসেবে জর্জেট শাড়ির ওজন করা হয়।
৬০ থেকে ৭০ গ্রাম ওজনের জর্জেট শাড়িতে সুতা, কারচুপি, পুঁতি ও এমব্রয়ডারির কাজ করাতে পারবেন। তবে কাজটি যেন খুব যত্নসহ করা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ৪০ থেকে ৬০ গ্রাম ওজনের শাড়িগুলো প্রিন্টের জন্যই মানানসই।
দরদাম
জর্জেট শাড়ির বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া গেল বিভিন্ন দোকানে। দরদামে তুখোড় হলেই অনেক কম দামে কিনতে পারবেন। ৮০০ থেকে শুরু করে তিন হাজার ৫০০ টাকার ওপরেও শাড়ি আছে। জর্জেট শাড়ি যত হালকা হবে, এর দামটাও তত বেশি হবে।
ছবিতে ব্যবহূত শাড়িগুলো দেশের বাইরে থেকে কেনা হয়েছে। এ ধরনের নকশার শাড়ি দেশীয় দোকানগুলোতে কিনতে পাওয়া যাবে বলে জানান রামীম রাজ।
কর্মক্ষেত্র, অনুষ্ঠান, প্রতিদিনকার চলাফেরায় জর্জেট শাড়ি অনেকটাই আরামদায়ক। সহজভাবে সামাল দেওয়া যায়। দিন থেকে রাত পর্যন্ত পরে ঘুরে বেড়ালেও ইস্তিরি নষ্ট হওয়ার ভয়টা থাকে না।
বাজার ঘুরে জর্জেট শাড়ির সম্ভারে দেখা গেল বৈচিত্র্য। ক্রেতাদের মধ্যে প্রিন্ট করা শাড়ির চাহিদা বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। ফুলেল নকশা, কলকা ও জ্যামিতিক নকশা বেশি দেখা গেল।
ড্রেসিডেলের ডিজাইনার মায়া রহমান বলেন, ‘সত্তরের দশকে বাংলাদেশে জর্জেট শাড়ির জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। তখনো প্রিন্ট শাড়ির প্রচলন বেশি ছিল। জর্জেট শাড়িগুলো মূলত বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা হয়।’
জর্জেট শাড়ি পরলে আঁটসাঁট হয়ে থাকে, এ কারণে শারীরিক গঠন ভালো দেখায়। ভারী স্বাস্থ্য যাঁদের, তাঁরা এ কারণে জর্জেট শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারেন।
ফ্যাশন ডিজাইনার রামীম রাজ বলেন, ‘জর্জেট শাড়ির সঙ্গে সাটিনের তৈরি ফিশ কাটের পেটিকোট পরলে ভালো দেখাবে। এতে শারীরিক কাঠামোটা দেখতে ভালো লাগবে।’
হালকা গড়ন হলে দুই থেকে তিনরঙা শেডের শাড়ি মানাবে। তাঁরা একটু চড়া নকশাও বেছে নিতে পারবেন অনায়াসে। উচ্চতা একটু কম হলে একরঙা জর্জেট শাড়ি না পরার পরামর্শ দেন রামীম। কারণ, শাড়িতে কোনো পাড় না থাকলে দেখতে আরও খাটো লাগে।
কর্মক্ষেত্রে পরে যাওয়ার জন্য পোলকা ডট, জ্যামিতিক নকশা, বিমূর্ত নকশা বেছে নিতে পারেন।
জর্জেট শাড়ির সঙ্গে ছোট হাতা কিংবা হাতা কাটা ব্লাউজই বেশি মানানসই। রুবিয়া ভয়েল, ক্রেপের কাপড় দিয়ে ব্লাউজ বানাতে পারেন। একরঙা শাড়ি হলে পরতে পারেন কাতান, সিল্কের চেক প্রিন্ট ব্লাউজ অথবা ব্রোকেডের তৈরি ব্লাউজ।
বৈচিত্র্য আনতে পারেন শাড়ির পাড়ে বিপরীত রঙের কাপড় লাগিয়ে। সাটিন, ব্রোকেড বা পছন্দমতো যেকোনো কাপড়কেই পাড় হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
যদি নিজে জর্জেটের শাড়িতে কাজ করিয়ে নিতে চান, তাহলে শাড়ির ওজনটা মাথায় রাখতে হবে। সাধারণত গ্রাম হিসেবে জর্জেট শাড়ির ওজন করা হয়।
৬০ থেকে ৭০ গ্রাম ওজনের জর্জেট শাড়িতে সুতা, কারচুপি, পুঁতি ও এমব্রয়ডারির কাজ করাতে পারবেন। তবে কাজটি যেন খুব যত্নসহ করা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ৪০ থেকে ৬০ গ্রাম ওজনের শাড়িগুলো প্রিন্টের জন্যই মানানসই।
দরদাম
জর্জেট শাড়ির বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া গেল বিভিন্ন দোকানে। দরদামে তুখোড় হলেই অনেক কম দামে কিনতে পারবেন। ৮০০ থেকে শুরু করে তিন হাজার ৫০০ টাকার ওপরেও শাড়ি আছে। জর্জেট শাড়ি যত হালকা হবে, এর দামটাও তত বেশি হবে।
ছবিতে ব্যবহূত শাড়িগুলো দেশের বাইরে থেকে কেনা হয়েছে। এ ধরনের নকশার শাড়ি দেশীয় দোকানগুলোতে কিনতে পাওয়া যাবে বলে জানান রামীম রাজ।
No comments