গ্যাস-সংযোগের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার পর্যায়ক্রমে সবাই পাবেন রাজশাহীর ৩২ সৌভাগ্যবান by আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ
রাজশাহীতে প্রথম দফায় আবাসিক গ্যাস-সংযোগ
পাচ্ছেন ৩২ সৌভাগ্যবান। তাঁদের মধ্যে আছেন শহরের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও
শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর আগামী বৃহস্পতিবার ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আকুঞ্জি ও আবুল হোসেনের বাসায় চুলা জ্বালিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস-সংযোগের উদ্বোধন করবেন।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর আগামী বৃহস্পতিবার ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আকুঞ্জি ও আবুল হোসেনের বাসায় চুলা জ্বালিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস-সংযোগের উদ্বোধন করবেন।
এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যরা সংযোগ পেতে থাকবেন।
তবে শুরুতেই সর্বস্তরের মানুষ সংযোগ না পাওয়ায় রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান তাঁর বাসায় সংযোগের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁকেও প্রথম দফায় সংযোগ দেওয়ার কথা ছিল।
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস বিতরণ কোম্পানির (পিজিসিএল) সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় যাঁরা সংযোগ পাবেন, তাঁদের মধ্যে দুজন ভাষাসৈনিক ছাড়াও আছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বোর্ডের সচিব (ব্যক্তিগত বাসায়), সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র আবদুল হাদি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিমন্ত্রীর ভাই মঞ্জুর ফারুক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের নেতা মীর ইকবাল, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক, জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। আরও আছেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান প্রথম আলোকে বলেন, ৩২ সৌভাগ্যবান ব্যক্তির তালিকায় তিনিও আছেন। কিন্তু সর্বস্তরের মানুষ যেহেতু এখনো গ্যাস-সংযোগ পাচ্ছেন না, তাই তিনি তাঁর বাড়িতে গ্যাস-সংযোগের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনের আগে সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে তাঁদের বাসায় আগাম গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে বলেও জানা গেছে। রাজশাহীর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, যেসব সরকারি বাসায় গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার জন্য তালিকা করা হয়েছে, তার মধ্যে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের বাসায় ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ এবং অন্যদের বাসায় গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে সংযোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু পিজিসিএল নিজ থেকেই তা দিয়ে দিচ্ছে।
সাধারণ মানুষ গ্যাস-সংযোগের জন্য ব্যাংক থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করছেন। অগ্রণী ব্যাংকের সাহেব বাজার শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ জানান, গতকাল সোমবার পর্যন্ত সাত হাজার ৩০০ আবেদনপত্র বিতরণ করা হয়েছে। এই আবেদনকারীরা কবে নাগাদ গ্যাস-সংযোগ পাবেন, তা জানা যায়নি।
জানতে চাইলে পিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাস-সংযোগের জন্য একটি প্রক্রিয়া আছে। যাঁরা আবেদনপত্রের ফরম নিচ্ছেন, তাঁরা আবেদন করার পর নির্ধারিত ফি নিয়ে তাঁদের চাহিদাপত্র দেওয়া হবে। এরপর ফি দিয়ে সিটি করপোরেশন থেকে রাস্তা কাটার অনুমোদন নিতে হবে। তারপর সংযোগ পাবেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ১৩০ জন গ্রাহককে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিনই চাহিদাপত্র দেওয়া হবে। গ্যাস-সংযোগও প্রতিদিনই দেওয়া হবে।
এদিকে তড়িঘড়ি করে গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার জন্য বিনা দরপত্রে আগের ঠিকাদারকে দিয়েই রাইজার বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পিজিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) কামরুজ্জামান খান বলেন, তাড়াতাড়ি গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আপাতত দুই হাজার রাইজার উত্তোলনের কাজ দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট কাজের জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এতে কোনো অনিয়ম হয়নি। পিজিসিএল তার এলাকার ভেতর নিযুক্ত ঠিকাদারকে দিয়ে এ কাজ করাতে পারে। এতে সরকারি আইনকানুনের কোনো লঙ্ঘন হয়নি।
গত বছরের ৩০ জানুয়ারি রাজশাহীতে পাইলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কিন্তু অনুমতি না থাকার কারণে বাসাবাড়িতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হয়নি।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান গত ৯ মে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর দুই দিন আগে নগরবাসীকে তিনি জানান, বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন।
তবে শুরুতেই সর্বস্তরের মানুষ সংযোগ না পাওয়ায় রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান তাঁর বাসায় সংযোগের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁকেও প্রথম দফায় সংযোগ দেওয়ার কথা ছিল।
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস বিতরণ কোম্পানির (পিজিসিএল) সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় যাঁরা সংযোগ পাবেন, তাঁদের মধ্যে দুজন ভাষাসৈনিক ছাড়াও আছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বোর্ডের সচিব (ব্যক্তিগত বাসায়), সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র আবদুল হাদি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিমন্ত্রীর ভাই মঞ্জুর ফারুক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের নেতা মীর ইকবাল, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক, জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। আরও আছেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান প্রথম আলোকে বলেন, ৩২ সৌভাগ্যবান ব্যক্তির তালিকায় তিনিও আছেন। কিন্তু সর্বস্তরের মানুষ যেহেতু এখনো গ্যাস-সংযোগ পাচ্ছেন না, তাই তিনি তাঁর বাড়িতে গ্যাস-সংযোগের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনের আগে সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে তাঁদের বাসায় আগাম গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে বলেও জানা গেছে। রাজশাহীর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, যেসব সরকারি বাসায় গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার জন্য তালিকা করা হয়েছে, তার মধ্যে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের বাসায় ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ এবং অন্যদের বাসায় গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে সংযোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু পিজিসিএল নিজ থেকেই তা দিয়ে দিচ্ছে।
সাধারণ মানুষ গ্যাস-সংযোগের জন্য ব্যাংক থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করছেন। অগ্রণী ব্যাংকের সাহেব বাজার শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ জানান, গতকাল সোমবার পর্যন্ত সাত হাজার ৩০০ আবেদনপত্র বিতরণ করা হয়েছে। এই আবেদনকারীরা কবে নাগাদ গ্যাস-সংযোগ পাবেন, তা জানা যায়নি।
জানতে চাইলে পিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাস-সংযোগের জন্য একটি প্রক্রিয়া আছে। যাঁরা আবেদনপত্রের ফরম নিচ্ছেন, তাঁরা আবেদন করার পর নির্ধারিত ফি নিয়ে তাঁদের চাহিদাপত্র দেওয়া হবে। এরপর ফি দিয়ে সিটি করপোরেশন থেকে রাস্তা কাটার অনুমোদন নিতে হবে। তারপর সংযোগ পাবেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ১৩০ জন গ্রাহককে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিনই চাহিদাপত্র দেওয়া হবে। গ্যাস-সংযোগও প্রতিদিনই দেওয়া হবে।
এদিকে তড়িঘড়ি করে গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার জন্য বিনা দরপত্রে আগের ঠিকাদারকে দিয়েই রাইজার বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পিজিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) কামরুজ্জামান খান বলেন, তাড়াতাড়ি গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আপাতত দুই হাজার রাইজার উত্তোলনের কাজ দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট কাজের জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এতে কোনো অনিয়ম হয়নি। পিজিসিএল তার এলাকার ভেতর নিযুক্ত ঠিকাদারকে দিয়ে এ কাজ করাতে পারে। এতে সরকারি আইনকানুনের কোনো লঙ্ঘন হয়নি।
গত বছরের ৩০ জানুয়ারি রাজশাহীতে পাইলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কিন্তু অনুমতি না থাকার কারণে বাসাবাড়িতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হয়নি।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান গত ৯ মে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর দুই দিন আগে নগরবাসীকে তিনি জানান, বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন।
No comments