গাইবান্ধায় ধান-চাল কেনায় অনিয়মের অভিযোগ
গাইবান্ধার ১১টি সরকারি খাদ্যগুদামে
ধান-চাল ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্রয় নীতিমালা উপেক্ষা করে ফড়িয়া
ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে।
এমনকি
এক আওয়ামী লীগ নেতার ধান কিনে জেলা খাদ্য বিভাগ এবারের সংগ্রহ অভিযান শুরু
করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে চলতি ভরা মৌসুমে কৃষকেরা পানির দরে ধান বিক্রি
করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে ধান-চাল সংগ্রহেও কোনো অগ্রগতি নেই। গত ১৯ মে অভিযানের শুরু থেকে ১ জুন পর্যন্ত ১১টি খাদ্যগুদামে মাত্র ছয় মেট্রিক টন ধান ও এক হাজার ৫৭৩ মেট্রিক টন চাল কেনা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় তিন হাজার ৯২৯ মেট্রিক টন ধান ও ২৩ হাজার ৬১৯ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেওয়া হয়। প্রতি মণ ধানের সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৭৪০ টাকা ও চাল প্রতি মণ এক হাজার ১৬০ টাকা। জেলার ৬৪০ জন চালকল-মালিকের মাধ্যমে চাল ও কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু নানা অজুহাতে কৃষকদের ধান ফেরত দিচ্ছে খাদ্য বিভাগ। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের কৃষক নুরুল আকন্দ বলেন, ‘জমির ফসল ছাড়া আয়ের আর কোনো পথ নাই। ধান বেচে সংসারের দেনা মিটাই। অথচ বাজারে ধানের দাম নেই। তাই বেশি দামের আশায় মহিমাগঞ্জ খাদ্যগুদামে পাঁচ মণ ধান বিক্রি করতে নিয়ে যাই। কিন্তু চিটা ও ভেজা বলে আমার ধান ফেরত দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে প্রতি মণ বিআর-২৯ জাতের ধান ৪৯০ টাকায় ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করেছি।’
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ক্রয় নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফড়িয়া ও ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। গত ১৯ মে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেনের ধান কিনে গাইবান্ধা জেলায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হয়। ফলে কৃষকেরা সরকারি মূল্যে ধান বিক্রির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মহিমাগঞ্জ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিতাই কুমার বর্মণ বলেন, কৃষকের কাছে মানসমঞ্চত ধান না পাওয়ায় আবুল হোসেনের কাছ থেকে ৪০০ কেজি ধান কেনা হয়। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে হবে ঠিক। কিন্তু কৃষকের ধান মানসমঞ্চত নয়। তাই তাঁদের ধান কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে ধান-চাল সংগ্রহেও কোনো অগ্রগতি নেই। গত ১৯ মে অভিযানের শুরু থেকে ১ জুন পর্যন্ত ১১টি খাদ্যগুদামে মাত্র ছয় মেট্রিক টন ধান ও এক হাজার ৫৭৩ মেট্রিক টন চাল কেনা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় তিন হাজার ৯২৯ মেট্রিক টন ধান ও ২৩ হাজার ৬১৯ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেওয়া হয়। প্রতি মণ ধানের সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৭৪০ টাকা ও চাল প্রতি মণ এক হাজার ১৬০ টাকা। জেলার ৬৪০ জন চালকল-মালিকের মাধ্যমে চাল ও কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু নানা অজুহাতে কৃষকদের ধান ফেরত দিচ্ছে খাদ্য বিভাগ। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের কৃষক নুরুল আকন্দ বলেন, ‘জমির ফসল ছাড়া আয়ের আর কোনো পথ নাই। ধান বেচে সংসারের দেনা মিটাই। অথচ বাজারে ধানের দাম নেই। তাই বেশি দামের আশায় মহিমাগঞ্জ খাদ্যগুদামে পাঁচ মণ ধান বিক্রি করতে নিয়ে যাই। কিন্তু চিটা ও ভেজা বলে আমার ধান ফেরত দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে প্রতি মণ বিআর-২৯ জাতের ধান ৪৯০ টাকায় ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করেছি।’
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ক্রয় নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফড়িয়া ও ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। গত ১৯ মে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেনের ধান কিনে গাইবান্ধা জেলায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হয়। ফলে কৃষকেরা সরকারি মূল্যে ধান বিক্রির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মহিমাগঞ্জ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিতাই কুমার বর্মণ বলেন, কৃষকের কাছে মানসমঞ্চত ধান না পাওয়ায় আবুল হোসেনের কাছ থেকে ৪০০ কেজি ধান কেনা হয়। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে হবে ঠিক। কিন্তু কৃষকের ধান মানসমঞ্চত নয়। তাই তাঁদের ধান কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
No comments