পারমাণবিক অস্ত্র বাড়িয়েছে তিন দেশ
বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর তিনটি দেশ তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা আরও বাড়িয়েছে। একই সময় পারমাণবিক শক্তিধর বলে ঘোষিত অন্য পাঁচটি দেশের কেউ শক্তি হ্রাস করেছে, কেউ স্থিতিশীল রেখেছে। অস্ত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করা তিন দেশ হলো চীন, ভারত ও পাকিস্তান। সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) গতকাল সোমবার তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে চীনের পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা ছিল ২৪০টি। এখন এর সংখ্যা ২৫০। একই সময়ে ভারত ও পাকিস্তান ১০টি করে যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়েছে। এখন পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা ১০০ থেকে ১২০টির মধ্যে। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের ৯০ থেকে ১১০টি। এসআইপিআরআইয়ের মতে, পারমাণবিক অস্ত্রের এই প্রতিযোগিতা এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা ‘নাজুক’ করে তুলেছে। এই অস্ত্র প্রতিযোগিতার ফলে ২০০৮ সাল থেকে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে, চীন ও জাপানের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়েছে, দুই কোরিয়া মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। এসআইপিআরআই বলছে, বিশ্বের পুরোনো শক্তিধর দুই পরাশক্তি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র গত বছর তাদের পারমাণবিক সামর্থ্য হ্রাস করেছে। রাশিয়া তার যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে কমিয়ে সাড়ে আট হাজার করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র আট হাজার থেকে কমিয়ে করেছে সাত হাজার ৭০০টি। এসআইপিআরআইয়ের প্রতিবেদন মতে, পারমাণবিক অস্ত্রের সামর্থ্য স্থিতিশীল রেখেছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েল। ফ্রান্সের যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা ৩০০, যুক্তরাজ্যের ২২৫ ও ইসরায়েলের ৮০টি। গত বছর এই তিন দেশ যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা বাড়ায়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসআইপিআরআই ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক শক্তিধর দেশের তালিকায় রাখেনি। এই দেশ দুটি এখন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রাথমিক ধাপে রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়েছে। গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটি বলছে, মোটের ওপর পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা কমলেও বিশ্ব পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি থেকে মুক্তি পাচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। বিভিন্ন দেশের হাতে থাকা রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র হ্রাস করার গতিও অনেক কম। এএফপি।
No comments