কার স্বার্থে রাজনীতি

আমাদের দেশে আজকাল রাজনীতি অনেকটা ব্যাধিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য হরতাল, মামলা, হয়রানি ইত্যাদি আমরা দেখছি। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মানুষ কখনও এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রত্যাশা করে না।
ফলে তাদের প্রশ্ন_ এই অরাজকতা কার মঙ্গলের জন্য? এসব কি মানুষের মঙ্গলের জন্য? আমরা আশা করি, বর্তমান সমস্যা সমাধানের জন্য উভয় পক্ষ সংলাপে বসবে। রাজনৈতিক সমঝোতা হলে দেশের মানুষ স্বস্তি পাবে।
বিদ্যুৎ দেব
নাপোড়া, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম

সাইবার সেন্টারে অচলাবস্থা
কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার অগ্রপথিক ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কৃষিবিষয়ক শিক্ষাদানের একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমান সময়ে যে কোনো বিষয়ে সারাবিশ্বের সর্বশেষ তথ্য জানতে ইন্টারনেটের বিকল্প নেই। শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে সহজেই আমরা এসব তথ্য পেয়ে থাকি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্রাউজিং সুবিধা দিতে ২০০৩ সালে ইউএনডিপির আর্থিক সহযোগিতায় লাইব্রেরি ভবনের তৃতীয় তলায় সার্ভার স্থাপনসহ একটি সাইবার সেন্টার চালু করা হয়। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ২৫টি কম্পিউটার নিয়ে সাইবার সেন্টারটি পরিচালিত হচ্ছে। বলা যায়, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। ২৫টি কম্পিউটার কখনও একসঙ্গে চলে না। অধিকাংশ সময় দেখা যায় বেশির ভাগ কম্পিউটার বন্ধ। একটার মাউস নষ্ট তো অন্যটার মনিটর। আর ইন্টারনেটের স্পিড_ সে তো কচ্ছপ গতি! একটা ওয়েবসাইটে ঢুকতে লাগে অনেক সময়। সঠিক তত্ত্বাবধান না করার দরুন যেসব কম্পিউটার সচল আছে, সেগুলোও ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া হাতেগোনা কয়েকটি কম্পিউটার দিয়ে সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের জন্য লাইব্রেরির সাইবার সেন্টারটির উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।
মোফাজ্জল হোসেন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ
মাদক ব্যবসা
পিরোজপুর জেলা শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বলেশ্বর নদ সংলগ্ন খানাকুনিয়ারী গ্রাম। একদল তরুণ গ্রামের বিভিন্ন স্পটে সন্ধ্যার পর মাদক সেবন করে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি অবহিত কি-না জানা নেই। কাজীবাড়ির পোল থেকে রহিম খাঁর কালভার্ট এলাকা পর্যন্ত মাদক সেবন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এভাবে শত শত তরুণ মাদকের দিকে ঝুঁঁকে পড়ছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে তরুণরা এসে ভিড় জমাতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় সর্বনাশা কার্যক্রম বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শাহিন আল মামুন, মনির হোসেন রিজভী, আবদুল আউয়াল মিন্টু
খানাকুনিয়ারী, কদমতলা
পিরোজপুর

ভূমিহীন কৃষককে বাঁচান
বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশে ৭০ ভাগেরও বেশি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে কৃষি ও ভূমি সংস্কার যেমন অতি জরুরি, তেমনি কৃষির ওপর নির্ভরশীল দেশে কৃষক, কৃষি শ্রমিক সর্বোপরি ভূমিহীন মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। স্বাধীনতা-উত্তরকালে এ দেশে ভূমিহীন খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে খাস জমি বন্দোবস্ত দিতে আইন পাস করেন। ফলে এ দেশের বহু ভূমিহীন খাস জমি পায়। বাংলাদেশে ভূমিহীনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই ভূমিহীন বিশাল জনগোষ্ঠী বেঁচে থাকে বেকারত্বের মধ্য দিয়ে। বছরে ৮ মাস তাদের হাতে কোনো কাজ থাকে না। কৃষি উপকরণের মূল্য বাড়ছে। অথচ উৎপাদিত কৃষিপণ্যের মূল্য বাড়ছে না। আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্যহীনতায় কৃষি অলাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় প্রতি বছর লোকসান দিয়ে এক সময়ের সচ্ছল কৃষক ভূমিহীন হয়ে যায়। আমাদের দেশে ভূমিহীনরা সমাজে অসচ্ছল কিন্তু কঠোর পরিশ্রমী। তারা অত্যন্ত সৎভাবে জীবন যাপন করে। দেশের এ জনগোষ্ঠীকে অপুষ্টি, অশিক্ষা, অজ্ঞতার অন্ধকারে রেখে দেশের সার্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। খাস জমিতে ভূমিহীনদের অগ্রাধিকার। 'কৃষি খাস জমি' ভূমিহীনদের মাঝে সুষমভাবে বণ্টন করা গেলে দেশের সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধি এবং চূড়ান্তভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে ভূমিহীনদের মধ্যে খাস জমি বণ্টন খুবই জরুরি।
রবিউল ইসলাম
হাই স্কুল সড়ক, পাইকগাছা
খুলনা

No comments

Powered by Blogger.