বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পরিচর্যামূলক নজরদারি দরকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুর্নীতি বহুল
প্রচারিত কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত বাণিজ্যিক
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কী অবস্থা? সম্প্রতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির
অনুমোদন ছাড়াই ‘ফার্ম ডি’ তথা ডক্টর অব ফার্মাসি কোর্স এবং ফার্মাসি বিভাগ
চালু করার ঘটনা সংবাদ হয়েছে।
এ রকম কাজকারবার প্রায়ই ঘটছে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড ও সিন্ডিকেট দাবি করেছে, বিষয়টি ঘটেছে তাদের অগোচরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেটকে অনুমোদন পাওয়ার অসত্য দাবি করে এই অপকর্ম ঘটিয়েছেন। ট্রাস্টি বোর্ড ও সিন্ডিকেটের কাছে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এবং সিন্ডিকেটের একজন সদস্য দাবি করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও ফার্মাসি কাউন্সিলের অনুমোদন তাঁরা লাভ করেছেন। অনুমোদনের অসত্য তথ্য দিয়ে ফার্মাসি ও ফার্ম ডি কোর্স চালু করা হয়, দুই বিভাগে দুজন শিক্ষককেও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ গত শুক্রবারের প্রথম আলোর সংবাদে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাঁকেও অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। নর্থ সাউথের মতো একটি অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের অনিয়ম একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
উদ্দেশ্যটি বাণিজ্যিক। কিন্তু শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করারও তো একটা সীমা থাকতে হবে। বিশেষত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কয়েকটি ছাড়া বেশির ভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে বাইরে থেকে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া কঠিন। প্রায়ই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তরফে অনেক অভিযোগ ওঠে, যেগুলোর আইনি প্রতিকারের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। সরকার এ ব্যাপারে একটি নীতিমালা করে দিলেও তা কতটা পালিত হচ্ছে, তার খতিয়ান দরকার।
অভিযোগ আছে, শিক্ষকদের ওপর চাপ থাকে, যাতে পরীক্ষায় অকৃতকার্যদেরও পাস করানো হয়। অতিরিক্ত ফি আদায়ের কথা হরহামেশাই ওঠে। ভর্তি-প্রক্রিয়া, পাঠদানসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম গণমাধ্যম ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরের মধ্যে থাকা জরুরি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে একসময় বিকশিত হয়ে মূলধারার উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিপূরক হয়ে ওঠে, পরিচর্যামূলক নজরদারি দরকার সে কারণেই।আ
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড ও সিন্ডিকেট দাবি করেছে, বিষয়টি ঘটেছে তাদের অগোচরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেটকে অনুমোদন পাওয়ার অসত্য দাবি করে এই অপকর্ম ঘটিয়েছেন। ট্রাস্টি বোর্ড ও সিন্ডিকেটের কাছে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এবং সিন্ডিকেটের একজন সদস্য দাবি করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও ফার্মাসি কাউন্সিলের অনুমোদন তাঁরা লাভ করেছেন। অনুমোদনের অসত্য তথ্য দিয়ে ফার্মাসি ও ফার্ম ডি কোর্স চালু করা হয়, দুই বিভাগে দুজন শিক্ষককেও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ গত শুক্রবারের প্রথম আলোর সংবাদে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাঁকেও অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। নর্থ সাউথের মতো একটি অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের অনিয়ম একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
উদ্দেশ্যটি বাণিজ্যিক। কিন্তু শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করারও তো একটা সীমা থাকতে হবে। বিশেষত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কয়েকটি ছাড়া বেশির ভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে বাইরে থেকে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া কঠিন। প্রায়ই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তরফে অনেক অভিযোগ ওঠে, যেগুলোর আইনি প্রতিকারের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। সরকার এ ব্যাপারে একটি নীতিমালা করে দিলেও তা কতটা পালিত হচ্ছে, তার খতিয়ান দরকার।
অভিযোগ আছে, শিক্ষকদের ওপর চাপ থাকে, যাতে পরীক্ষায় অকৃতকার্যদেরও পাস করানো হয়। অতিরিক্ত ফি আদায়ের কথা হরহামেশাই ওঠে। ভর্তি-প্রক্রিয়া, পাঠদানসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম গণমাধ্যম ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরের মধ্যে থাকা জরুরি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে একসময় বিকশিত হয়ে মূলধারার উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিপূরক হয়ে ওঠে, পরিচর্যামূলক নজরদারি দরকার সে কারণেই।আ
No comments