কারণ সনাক্ত, সমাধান নেই
পুঁজিবাজার ধসের কারণ সনাক্ত করে তা
সমাধানের জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ
(ডিএসই)। এই উদ্যোগের ফলে কারণ সনাক্ত হলেও সমাধানে দেখা যায় না তেমন কোনো
পদক্ষেপ।
পুঁজিবাজার ধসের শুরু থেকে বিভিন্ন সময়
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেছে ডিএসই পরিচালনা
পর্ষদ। কিন্তু আজও সেসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেনি
প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, ডিএসই’র এ ধরনের কার্যক্রমে মোটেও সন্তুষ্ট নয় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের দাবি বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট মুষ্টিমেয় কয়েকজন “বিনিয়োগকারীকে” সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কাজ করেছে। ফলে বাজার স্থিতিশীল না হয়ে উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর-রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, “পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পক্ষ থেকে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা কখনও সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল হওয়ার পেছনে অনেক কারণের মধ্যে প্রধান হলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব।”
সুতরাং এ সমস্যার সমাধান না করে ছোট ছোট সমস্যার কথা বলে বাজারকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলা হয়েছে।
তবে বাজারে খুব শিগগিরই স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মিজান-উর-রশিদ।
এ বিষয়ে ডিএসই’র প্রেসিডেন্ট মো. রকিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা বিভিন্ন সময় বাজার স্থিতিশীল করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সুপারিশ করেছি। তারা সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছেন।তবে সবগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি।”
তিনি আরো বলেন, “সুপারিশগুলোর মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে তার সুফল আমরা পাচ্ছি। ভবিষ্যতে ওই সুপারিশগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা হলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে।”
সর্বশেষ গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে পুঁজিবাজার ধসের পেছনে চার সমস্যা চিহ্নিত করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে একটি প্রস্তাবনা জমা দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কিন্তু এসব সমস্যা চিহ্নিত করা হলেও তা সম্পূর্ণরুপে বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে বাজারে গতি ফিরে নি। প্রস্তাবনায় বলা হয়,
প্রথমত স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার মার্জিন ঋণ আটকে আছে। বাজারে অব্যাহত পতনের কারণে ২৫ শতাংশ মার্জিন লোন ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে না।
এতে অনেক বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে এবং তাদের পক্ষে লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ মার্জিন ঋণ সুবিধাভোগীরাই বাজারে লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং বর্তমানে তারা বিনিয়োগের বাইরে রয়েছেন।
এ অবস্থা উত্তরণের জন্য ডিএসই ১৯৯৯ সালের মার্জিন ঋণের ৩ (৫) বিধিটি শিথিলের সুপারিশ করে। পাশাপাশি মার্জিন ঋণের আওতায় থাকা ঋণাত্মক বিও হিসাবে লেনদেনের ক্ষমতা মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজের ওপর দেওয়ার সুপারিশ করে।
মার্জিন লোনের ১৩৫ ভাগ পর্যন্ত পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত মার্জিন ঋণের বিধিটি শিথিল থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ওই পোর্টফোলিও থেকে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী অথবা লেনদেনের দায়িত্বে থাকা মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজ কেউই টাকা তুলতে পারবে না।
দ্বিতীয়ত, ডিএসই সদস্যদের ব্যাংক লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, স্টক ডিলাররা লেনদেনে প্রধান অংশগ্রহণকারী হিসেবে কাজ করে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে তারা বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করে বাজারকে সাপোর্ট দিতে পারেন।
এক্ষেত্রে তাদের আর্থিক সক্ষমতার প্রধান মাধ্যম হলো ব্যাংক লোন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩ (১) (ঙ) ধারায় লোন প্রদানের সীমাবদ্ধতার কারণে তারা পর্যাপ্ত লোন নিতে পারছেন না।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য ডিএসই স্টক ডিলারদের ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনার জন্য লোন প্রদানের সীমা এক কোটি টাকা থেকে ২০ কোটিতে উন্নীত করার সুপারিশ করে।
তৃতীয়ত, ঋণাত্মক ইক্যুইটির বিপরীতে প্রভিশনিং করতে না পারা। ডিএসই’র প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি ন্যাশনাল ব্যাংক সিকিউরিটিজ কমিশনের কাছে ঋণাত্মক ইক্যুইটির ২০ শতাংশ প্রভিশনিংয়ের অনুমোদন চেয়েছে। এ বছর প্রতিষ্ঠানটির ঋণাত্মক ইক্যুইটি রয়েছে ১২৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ইক্যুইটি রয়েছে ১০০ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
এ অবস্থায় ব্যবসায় টিকে থাকতে ঋণাত্মক ইক্যুইটির ২০ শতাংশ প্রভিশনিংয়ের সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ করে ডিএসই।
চতুর্থত, বাজারে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহী করতে নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনে কোর ক্যাপিটালের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ রাখার সুপারিশ করেছে ডিএসই।
এদিকে, ডিএসই’র এ ধরনের কার্যক্রমে মোটেও সন্তুষ্ট নয় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের দাবি বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট মুষ্টিমেয় কয়েকজন “বিনিয়োগকারীকে” সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কাজ করেছে। ফলে বাজার স্থিতিশীল না হয়ে উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর-রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, “পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পক্ষ থেকে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা কখনও সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল হওয়ার পেছনে অনেক কারণের মধ্যে প্রধান হলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব।”
সুতরাং এ সমস্যার সমাধান না করে ছোট ছোট সমস্যার কথা বলে বাজারকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলা হয়েছে।
তবে বাজারে খুব শিগগিরই স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মিজান-উর-রশিদ।
এ বিষয়ে ডিএসই’র প্রেসিডেন্ট মো. রকিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা বিভিন্ন সময় বাজার স্থিতিশীল করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সুপারিশ করেছি। তারা সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছেন।তবে সবগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি।”
তিনি আরো বলেন, “সুপারিশগুলোর মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে তার সুফল আমরা পাচ্ছি। ভবিষ্যতে ওই সুপারিশগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা হলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে।”
সর্বশেষ গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে পুঁজিবাজার ধসের পেছনে চার সমস্যা চিহ্নিত করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে একটি প্রস্তাবনা জমা দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কিন্তু এসব সমস্যা চিহ্নিত করা হলেও তা সম্পূর্ণরুপে বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে বাজারে গতি ফিরে নি। প্রস্তাবনায় বলা হয়,
প্রথমত স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার মার্জিন ঋণ আটকে আছে। বাজারে অব্যাহত পতনের কারণে ২৫ শতাংশ মার্জিন লোন ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে না।
এতে অনেক বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে এবং তাদের পক্ষে লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ মার্জিন ঋণ সুবিধাভোগীরাই বাজারে লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং বর্তমানে তারা বিনিয়োগের বাইরে রয়েছেন।
এ অবস্থা উত্তরণের জন্য ডিএসই ১৯৯৯ সালের মার্জিন ঋণের ৩ (৫) বিধিটি শিথিলের সুপারিশ করে। পাশাপাশি মার্জিন ঋণের আওতায় থাকা ঋণাত্মক বিও হিসাবে লেনদেনের ক্ষমতা মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজের ওপর দেওয়ার সুপারিশ করে।
মার্জিন লোনের ১৩৫ ভাগ পর্যন্ত পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত মার্জিন ঋণের বিধিটি শিথিল থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ওই পোর্টফোলিও থেকে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী অথবা লেনদেনের দায়িত্বে থাকা মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজ কেউই টাকা তুলতে পারবে না।
দ্বিতীয়ত, ডিএসই সদস্যদের ব্যাংক লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, স্টক ডিলাররা লেনদেনে প্রধান অংশগ্রহণকারী হিসেবে কাজ করে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে তারা বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করে বাজারকে সাপোর্ট দিতে পারেন।
এক্ষেত্রে তাদের আর্থিক সক্ষমতার প্রধান মাধ্যম হলো ব্যাংক লোন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩ (১) (ঙ) ধারায় লোন প্রদানের সীমাবদ্ধতার কারণে তারা পর্যাপ্ত লোন নিতে পারছেন না।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য ডিএসই স্টক ডিলারদের ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনার জন্য লোন প্রদানের সীমা এক কোটি টাকা থেকে ২০ কোটিতে উন্নীত করার সুপারিশ করে।
তৃতীয়ত, ঋণাত্মক ইক্যুইটির বিপরীতে প্রভিশনিং করতে না পারা। ডিএসই’র প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি ন্যাশনাল ব্যাংক সিকিউরিটিজ কমিশনের কাছে ঋণাত্মক ইক্যুইটির ২০ শতাংশ প্রভিশনিংয়ের অনুমোদন চেয়েছে। এ বছর প্রতিষ্ঠানটির ঋণাত্মক ইক্যুইটি রয়েছে ১২৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ইক্যুইটি রয়েছে ১০০ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
এ অবস্থায় ব্যবসায় টিকে থাকতে ঋণাত্মক ইক্যুইটির ২০ শতাংশ প্রভিশনিংয়ের সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ করে ডিএসই।
চতুর্থত, বাজারে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহী করতে নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনে কোর ক্যাপিটালের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ রাখার সুপারিশ করেছে ডিএসই।
No comments