অন্যান্য অপরাধ দমনেও চাই সক্রিয়তা সন্ত্রাসবাদ দমনে সাফল্য
সন্ত্রাসবাদ তথা জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ যে
সাফল্য দেখিয়েছে, তার কৃতিত্ব বর্তমান সরকার দাবি করতে পারে। যদিও
সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান
এবং অপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া যথেষ্ট বেগবান হয়।
বর্তমান সরকারের আমলে সেই অভিযানকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে আশার খবর।
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সন্ত্রাসবাদ দমনবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে যখন সন্ত্রাসবাদ জাঁকিয়ে বসেছে এবং শত শত মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন আমাদের এই সাফল্যকে খাটো করে দেখা যায় না। স্বীকার করতে হবে যে এই সাফল্যের পেছনে যেমন সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার আছে, তেমনি জনগণেরও রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে অব্যাহত জঙ্গি হানায় ক্ষমতাসীন কোনো কোনো মহলের সক্রিয় সমর্থন থাকলেও দেশের সাধারণ মানুষ কখনোই জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়নি।
মার্কিন প্রতিবেদনে যে আইন প্রণয়ন, আইনের প্রয়োগ এবং সীমান্ত নিরাপত্তা, জঙ্গি অর্থায়ন রোধ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ—এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অর্জনের কথা বলা হয়েছে, তার সঙ্গে দ্বিমত করার কিছু নেই। সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বৃহৎ শক্তিগুলো, বিশেষ করে ভারতের প্রভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এতে। ‘দুই বিশাল অর্থনীতির’ মাঝখানে থাকা বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে আমরা অবশ্যই লাভবান হব। আবার সেই ভারসাম্য রক্ষিত না হলে ক্ষতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য সত্ত্বেও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে যতখানি সফল, রাজনৈতিক বা সাধারণ অপরাধ দমনে ততটাই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক সহিংসতায় জনজীবন আরও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। আইন নিজস্ব গতিতে না চলার ঘটনাও কম নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনেও সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিচার-প্রক্রিয়া শ্লথ বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে। সন্ত্রাসবাদসহ সব ধরনের অপরাধ নিরোধের প্রধান উপায় হচ্ছে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা। অপরাধ দমনে যেসব আইন চালু আছে সেগুলো যথাযথ প্রয়োগ করা হলে অন্যান্য অপরাধের মাত্রাও অনেকাংশে কমে যাবে।
সন্ত্রাসবাদ একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। যেকোনো দেশ বা অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে গেলে কার্যকর অভিযানের পাশাপাশি এর কারণগুলো অপনোদন করা জরুরি। সন্ত্রাসবাদ দমনে যারা নিয়ত আমাদের উপদেশ দেন, তাঁদেরও বিষয়টি মনে রাখতে হবে।
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সন্ত্রাসবাদ দমনবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে যখন সন্ত্রাসবাদ জাঁকিয়ে বসেছে এবং শত শত মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন আমাদের এই সাফল্যকে খাটো করে দেখা যায় না। স্বীকার করতে হবে যে এই সাফল্যের পেছনে যেমন সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার আছে, তেমনি জনগণেরও রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে অব্যাহত জঙ্গি হানায় ক্ষমতাসীন কোনো কোনো মহলের সক্রিয় সমর্থন থাকলেও দেশের সাধারণ মানুষ কখনোই জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়নি।
মার্কিন প্রতিবেদনে যে আইন প্রণয়ন, আইনের প্রয়োগ এবং সীমান্ত নিরাপত্তা, জঙ্গি অর্থায়ন রোধ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ—এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অর্জনের কথা বলা হয়েছে, তার সঙ্গে দ্বিমত করার কিছু নেই। সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বৃহৎ শক্তিগুলো, বিশেষ করে ভারতের প্রভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এতে। ‘দুই বিশাল অর্থনীতির’ মাঝখানে থাকা বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে আমরা অবশ্যই লাভবান হব। আবার সেই ভারসাম্য রক্ষিত না হলে ক্ষতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য সত্ত্বেও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে যতখানি সফল, রাজনৈতিক বা সাধারণ অপরাধ দমনে ততটাই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক সহিংসতায় জনজীবন আরও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। আইন নিজস্ব গতিতে না চলার ঘটনাও কম নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনেও সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিচার-প্রক্রিয়া শ্লথ বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে। সন্ত্রাসবাদসহ সব ধরনের অপরাধ নিরোধের প্রধান উপায় হচ্ছে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা। অপরাধ দমনে যেসব আইন চালু আছে সেগুলো যথাযথ প্রয়োগ করা হলে অন্যান্য অপরাধের মাত্রাও অনেকাংশে কমে যাবে।
সন্ত্রাসবাদ একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। যেকোনো দেশ বা অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে গেলে কার্যকর অভিযানের পাশাপাশি এর কারণগুলো অপনোদন করা জরুরি। সন্ত্রাসবাদ দমনে যারা নিয়ত আমাদের উপদেশ দেন, তাঁদেরও বিষয়টি মনে রাখতে হবে।
No comments